"বর্ধমান রাজবাড়ীর কিছু ইতিহাস ও ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বর্ধমান রাজবাড়ীর কিছু ইতিহাস ও ফটোগ্রাফি:
এগুলো হচ্ছে রাজবাড়ীর দৃশ্য।বর্ধমান রাজপরিবারের শেষ রাজা ছিল উদয়চাঁদ।আর এই রাজা উদয়চাঁদের রানীর অন্দরমহল-ই বর্তমানে বর্ধমানের উইমেন্স কলেজ অর্থাৎ (মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ উইমেন্স কলেজ)নামে পরিচিত।যেখানে আমি তিন বছর অনার্স এর পড়াশুনা করেছি।আমাদের এই কলেজের পাশেই রাজবাড়ী অবস্থিত।কিন্তু কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি।পূর্বে এটি রাজবাড়ী থাকলেও বর্তমানে এটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন নামেই পরিচিত।আর এই মূল ভবনটিই প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বে বর্ধমান রাজবাড়ী ছিল,যেটি গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে শিক্ষাদানের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে অর্থাৎ পাঠভবন হিসেবে অবস্থিত।বর্ধমান রাজবাড়ীর অংশবিশেষ মহতাব মঞ্জিল নামে পরিচিত।যেটি ১৯৬০ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দান করেন রাজা উদয়চাঁদ।ফর্ম ফিলাপের কাজে গিয়ে ইচ্ছে ছিল এই রাজবাড়ীটি ঘুরে দেখার।কিন্তু 5-6 ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্ত সময় চলে গিয়েছে তারপর যখন বিকেলে ঘোরার মন স্থির করলাম।হয়তো তেমন এনার্জি ছিল না শরীরে কিন্তু ওখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষেরা বিকেল হয়ে যাওয়াতে ওদিকে যেতে নিষেধ করেছিল।তাই ঝটপট কিছু ছবি আশেপাশে থেকেই সংগ্রহ করেছিলাম।
এই রাজবাড়ীর মধ্যে একটি সংগ্রহশালা ও আর্ট গ্যালারী রয়েছে, যেখানে প্রাগৈতিহাসিক যুগের মৃৎশিল্প প্রদর্শন করা হয়।রাজবাড়ীর বিল্ডিংটি ইয়া বড় আর পুরোনো হওয়াতে ভিতরে অনেকটাই অপরিস্কার।কর্মরত মানুষের সংখ্যাও অনেকটাই কম।ভিতরের ব্যবস্থা খুব একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে।ভিতরে কাগজপত্রগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, ফ্যানগুলি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে আর অনেক বিল্ডিং এর গায়ে ফাটল ধরেছে।তাছাড়া দেওয়ালে ধুল-কালি জমেছে আর মাকড়সারা মনের সুখে জাল বুনেছে।
এই বিল্ডিং এর অসংখ্য রুম খালি অবস্থায় পড়ে আছে।এগুলো পরিস্কার করলে দারুণ একটা রুপ দেওয়া যাবে অন্যান্য বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে।রাজবাড়ীর এই বিল্ডিং এর মধ্যে পরিচর্যার অভাব থাকলেও বাইরের পরিবেশ বেশ মনোরম।মাঠটি সবসময় ঘাস কেটে পরিষ্কার করে রাখা হয়, ফলগাছে ফল ঝুলছে আর গাছে গাছে ফুল ফুটে আছে।
তবে আমার মনে হয় আমরা যে বিল্ডিং এ গিয়েছিলাম সেটি অপরিচ্ছন্ন থাকলেও অন্যান্য বিল্ডিংগুলি বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।আসলে রাজবাড়ীতে এত এত বিল্ডিং আর বড় টাইপের যে পরিচর্যা করা মানুষের বেশ কমতি রয়েছে।তবে বাইরে থেকে প্রকৃতিগুলি খুবই মুক্ত ও বিশুদ্ধ।আর এই বটগাছটি ছিল ইয়া বড় ও বেশ পুরোনো।পুরোনো এই বট গাছের শরীর থেকে কত মূল বা শিকড় বের হয়ে ঝুলে পড়েছে।আর সেই গাছের ফাক দিয়ে সূর্যের আলো কোনোরকম উঁকি মেরে ঠিকরে পড়ছে এই পাশটিতে।আর রয়েছে বড় বড় গাছের গুঁড়ি।যার ঠিক পাশেই রয়েছে একটি মঞ্চ আর অনেকগুলো চেয়ার সাজিয়ে রাখা।হয়তো এখানেই মিটিং হয় বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিচারদের।যেগুলো বেশ আকর্ষণীয় দেখতে লাগছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
টুইটার লিংক