বৃষ্টির দিনে চা আড্ডা
আষাঢ় শ্রাবণ এ দুইমাস বর্ষাকাল।বর্ষাকালে আকাশ মেঘলা থাকে।সারা মৌসুম জুড়ে বৃষ্টি হয়। সারা বর্ষা ঋতু জুড়ে কখনো মুষলধারে, কখনো গুড়িগুড়ি, আবার কখনো বা একটানা বৃষ্টি থাকে। বৃষ্টির পানিতে নদী-নালা,খাল-বিল, পুকুর ঘাট সব টইটুম্বুর থাকে। এখন শ্রাবণ মাসের শেষের দিক বিদ্যমান থাকায় বর্ষা মৌসুমের প্রভাব বেশি হারে হারে টের পাওয়া যাচ্ছে। সব সময় আকাশে প্রায় বৃষ্টি লেগেই আছে।
বর্ষা মৌসুম এ লোকজন রাস্তাঘাটে তেমন একটা বের হতে পারে না। মাটির তৈরি রাস্তাগুলো বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে যায়।লোকজন তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম গুলো বন্ধ রেখে বাইরে থেকে চার দেয়ালের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখে। বৃষ্টি থেমে গেলে কিছু কিছু লোকজন এদের জরুরী কার্যক্রম সম্পুর্ন করতে রাস্তায় বেরোই। বর্ষা মৌসুম আবহাওয়া ভেজা ও শীতল থাকে। এ শীতল আবহাওয়ায় লোকজন সাধারণত গরম খাবার খেতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বৃষ্টির দিনে ছেলেপেলে থেকে শুরু করে মধ্য বয়স্ক লোকজন সবাই সাধারণত মুড়ি মাখা,খিচুড়ি কিংবা চা খায়। আমিও বা এর ব্যতিক্রম কিসে। বৃষ্টির দিনে বাসায় থাকলে মাকে সাধারণত মুড়ি মাখা কিংবা খিচুড়ি রান্না করতে বলি। আর বাড়ির বাইরে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে চা খাওয়া হয়। বৃষ্টিস্নাত দিনে বন্ধুদের সঙ্গে চা আড্ডা দিতে আমার ও বেশ ভালই লাগে। বৃষ্টির দিনে গ্রামীণ অঞ্চলে চায়ের দোকানগুলোতে লোকজন প্রচুর ভিড় করে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সবার একটাই চাহিদা, তা হল চা পান করা।
বৃষ্টিময় দিনগুলোতে ঘরে শুয়ে বসে অলস সময় পার না করে মাঝে মাঝে চা আড্ডা দিতে বেশ ভালই উপভোগ করা যায়। সুতরাং এমন দিনগুলোতে তরুণ ছেলেপেলেদের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া উচিত। এসব আড্ডার মাধ্যমে অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
বৃষ্টির দিনে চা পানের মজাটাই আলাদা।তাও যদি হয় বন্ধুদের সঙ্গে তাহলে তো কথাই নেই ।