
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। অনেকদিনের প্রচন্ড রোদ গরমের তাপদাহ শেষে হঠাৎ যেন বৃষ্টি এসে শীতল করে দিয়ে গেছে মন জমিন, নতুন করে বাচ্চার আসা জাগিয়েছে শত শত প্রাণ কে। ঠিক তেমনি একটি সুন্দর অনুভূতি নিয়ে আজকের এই পোস্ট। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনই বিস্তারিত আলোচনা পরবে যাওযা যাক।
অনেকদিন পরে যেন বৃষ্টি এসেছে ফিরে তার নিজ ঠিকানায়। বৃষ্টি কি রাগ করেছিল না কি করেছিল অভিমান, নাকি দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কারণে তারও দাম বেড়ে গেছে? হয়তো সে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে বৃষ্টিকে পাওয়ার আশায় কত জন পথ চেয়েছিল দীর্ঘ আশায়। বৃষ্টিকে পাওয়ার জন্য ছিল মনের মধ্যে ব্যাকুলতা কবে আসবে সে নিজ ঠিকানায়। মনের মধ্যে ছিল বৃষ্টিকে পাওয়ার এক প্রবণতা সে আসবে! এসে ফিরিয়ে দেবে হাজারো প্রাণ আমার সবজি ক্ষেতের। আমার সবজি ক্ষেত আবারো বৃষ্টির ছোঁয়ায় শীতল হয়ে সবুজ থেকে আরো ঘন সবুজে রূপান্তরিত হবে প্রত্যেকটা সবজি গাছে নতুন নতুন ফল ধরবে যেমন লাউয়ের গাছে লাউ ভরপুর হয়ে যাবে, কুমড়া গাছে ভরপুর হয়ে যাবে কুমড়াগুলো, ঝাল গাছ ভর্তি ঝাল ধরবে,আমার পুকুরের মাছগুলো বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে আনন্দে আটখানা হয়ে লাফাতে থাকবে এপার ওপার। হয়তো বৃষ্টি এসে আবারও বাঁচিয়ে দেবে এই গরমে পুড়ে যাওয়া পথ প্রান্তরের মরা ঘাস গুলো। কারণ দীর্ঘ গরমের কারণে অতিষ্ট হয়ে যে মন আজ চঞ্চলতা ভুলে পড়ে রয়েছে কোন এক গাছের তলে হাত পাখা নিয়ে। সেই মন হয়তো ফিরে পাবে প্রিয়জনকে নিয়ে রোমান্টিক অনুভূতি শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে। এমন হাজারো মানুষের হাজারো অনুভূতি পড়ে রয়েছে বৃষ্টির আশায়। ঠিক তেমনি চিন্তাভাবনা নিয়ে নির্জন নিরালায় যখন পুকুর পাড়ে অতিষ্ঠ গরমে কাজ করছিলাম হঠাৎ দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে আকাশে মেঘ জোরে গর্জন করে উঠলো।


একাকী নির্জনে মাঠে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে চলল এমন মুহূর্তে অবস্থান করছিলাম হঠাৎ আকাশে যখন শুনি মেঘের গর্জন তখন মনের মধ্যে যেন মন পাখি নিচে উঠল অতি আনন্দে হয়তো, আজ বৃষ্টি হবে! বৃষ্টি আসবে তার চিরচেনা সে মুখটা দেখতে? তখনো আনন্দের ছলে শীতল হাওয়া গায়ে বয়ে যেতে লাগলো। অনুভব করলাম অতিষ্ট এই গরমে বুঝি প্রাণটা বেঁচে যাবে শুধু নিজের প্রাণ নয় চারই পাশে অবস্থান করছে যে সমস্ত গাছপালা কীটপতঙ্গ পুকুরের মাস সহ যার প্রাণ রয়েছে সে সমস্ত প্রাণ থাকা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি গুলো। হঠাৎ মেঘ ডাকতে ডাকতে কালো আঁধারে ছেয়ে গেল চারিপাশ। পথ চলতে লক্ষ্য করলাম যে যেখানে অবস্থান করছিল বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল হয়তো দ্রুত পায়ে হেঁটে অথবা নিজের পোশা প্রাণীগুলোকে সাথে নিয়ে। বৃষ্টি আসবে এমন অনুভূতি যেন মনের মধ্যে আনন্দ ছড়াতে থাকলো সেই মুহূর্ত টাই। তবে মনের মধ্যে ভয় জমছিল মেঘের গর্জন শুনে, না জানি কখন কোথায় বিদ্যুৎ চমকে বাজ পড়ে। মনের মধ্যে এ ভয় নিয়ে দ্রুত বাড়ির দিকে ছুটে আসলাম পুকুর থেকে।


রাস্তা থেকে বাড়ির দিকে নামতে নিজের বাড়ির পাশের পুকুরটা লক্ষ্য করলাম পুকুরে পানি নেই বললেই চলে যে হালকা পানি হয়েছে তার মধ্যে পাড়ার হাঁস গুলো যেন খেলছে। এদিকে গায়ে বৃষ্টি ফোটা করতে থাকলো আনন্দের সাথে কয়েকটা ফটো উঠালাম আনন্দরত হাঁস গুলোর হয়তো তারা বৃষ্টি পড়তে দেখেই আনন্দের সাথে খেলছে অনেক বন্ধু বান্ধবী মিলে। ফটো উঠিয়ে রাখলাম না জানি পুকুরটা আমার কত আনন্দে আটখানা হয়ে ভরপুর হয়ে ওঠে বৃষ্টির পানিতে। পুকুরপাড় থেকে ঠিক বাড়ি পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আসলাম খুবই আনন্দ বোধ করছিলাম। বাড়িতে এসেও দীর্ঘক্ষণ ভেজার চেষ্টা করছিলাম অনেকজন বৃষ্টির পানিতে ভিজতে মানা করছিল জ্বর আসতে পারে। কার কথা কে শুনে। বৃষ্টিতে ভিজতে যে আমার ছোট থেকে ভালো লাগে কারণ বৃষ্টি এসে যে আমার গা ছুয়ে যায়, মনে হয় ভালোবাসার মানুষ এসে গাছ ছুয়ে গেল।



বৃষ্টি হতে থাকলো বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমি দ্রুত গোসল সেরে নিজের ঘরের দিকে উঠে এলাম, আর এমনই মুহূর্তে হঠাৎ কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুইটা বাজ পড়লো নিকট সাইডে। অবশ্য বিদ্যুৎ চমকালে আমি কানে হাত লাগিয়ে ফেলি তাই ভয় পায় না বা তেমন কিছু একটা মনে হয় না। বৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকলেও আর নিজের গ্রামটা যেন খুব সুন্দরভাবে শীতল ঠান্ডা করে পেয়ে গেল দীর্ঘদিনের প্রচণ্ড গরমের দুর্যোগ অনুভূতি এত নিমেষে দূর করে মনের মধ্যে দক্ষিণা হাওয়া বয়ে চলতে লাগলো। এমন মুহূর্তে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটি ঘুম দিয়ে মনে হচ্ছিল অনেকদিন শান্তিতে ঘুমাতে পারি নাই রাত্রে কালীন মুহূর্তে কারেন্ট থাকে না সারা দিনে রোদের অতিতাপদ দাহ যেন মন অতিষ্ঠ করে ফেলেছিল যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। দীর্ঘ দুই থেকে তিন ঘন্টা ঘুম দিয়ে ওঠার পরে শুনতে পারলাম আমাদের এক চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে নারিকেল গাছে বাজ পড়েছিল। নারিকেল গাছটার ক্ষতি হয়ে গেছে। তবুও তারা বৃষ্টি হওয়াতেই সন্তুষ্ট কারণ অনেকদিন ধরে কত বৃষ্টির পানি চেয়ে থাকা নিজের ফসলগুলো বাঁচানোর জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পরিবেশ যেন বেঁচে থাকে সেই আশায়। আর এভাবেই যেন হঠাৎ আকাশে মেঘ জমে বৃষ্টি এসে জান টাকে বাঁচিয়ে রেখে গেছে। আশা করি এই বৃষ্টি আবারও বাঁচিয়ে তুলবে রোদে পোড়া ঝলসানো শত শত প্রাণ। স্বপ্ন দেখবে ঘরের রমণী তার ঘরের চালে কুমড়োর লতাই ধরা শুরু হয়েছে চাল কুমড়া, সে তো শুধু বৃষ্টির ভালোবাসার কারণ।



পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

আসলে এই বৃষ্টিটা বেশ উপভোগ করার মত। দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি না পেয়ে সব জায়গায় যে একটা হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। কালকের বৃষ্টিতে পুরোটা পৃথিবী যেন ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আপনি তো দেখছি বেশ ভালই উপভোগ করেছেন বৃষ্টি। ঠিক বলেছেন ভাইয়া পুকুরের অল্প পানিতে হাঁসগুলো নতুন পানি পেয়ে বেশ খুশি হয়েছে 😁।
অনেকদিন পরে বৃষ্টি তাই ভিজলাম আপু।
সত্যিই কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। আমাদের এদিকেও আজ দুদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে এবং পরিবেশটা আগের থেকে অনেক ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আপনাদের ওদিকটায় বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং এর কারণে আমিও কয়েকদিন ঠিকমত ঘুমোতে পারিনি এখন আবহাওয়া ঠান্ডা হয়েছে তাই বেশ ভালো লাগছে। আর আপনাদের ওদিকটায় বেশ কিছু বজ্রপাত হয়েছে বলছিলেন খুব সাবধানে থাকবেন ভাই।
প্রচন্ড গরম আর লোডশেডিং এর যন্ত্রণা একবারে ধুয়ে পুছে দিয়ে গেছে এই বৃষ্টিতে
এই গরমের পরে এত সুন্দর বৃষ্টি হলো সবাই অনেকে উপভোগ করল। আমি তো বৃষ্টি দেখে বেজার জন্য চেষ্টা করলাম। তবে আমার শাশুড়ি মানা করায় তাই আর বৃষ্টিতে ভিজলাম না। এই বৃষ্টির কারণে গাছপালা হইতে সব কিছু স্বতেজ হয়েছে। তবে মনে হয় বৃষ্টি আমাদের দিকে তাকিয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
গরমের সময় বৃষ্টিতে একটু ভেজা ভালো শরীর ভালো থাকে ঘামাছি দূর হয়ে যায়