রেইনকোট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি মুভি খুব একটা দেখি না। বতর্মানে যেসব অ্যাকশন মুভি রিলিজ হয় এই টাইপের মুভি আমার মোটেই পছন্দ না। আমার পছন্দ কিছুটা বাস্তবিক ধরনের গল্প। যেখানে মানুষের জীবনের একটা কঠিন সত্য লুকিয়ে থাকে। এমনই একটা মুভি হলো রেইনকোট। মুভিটা পরিচালনা করে ঋতুপর্ণ ঘোষ। এবং এই মুভিতে প্রধান চরিত্র মন্নু এবং নিরু চরিত্রে অভিনয় করে অজয় দেবগন এবং ঐশ্বরিয়া রায়। মুভিটা আমার পছন্দের কারণ এখানে ভালোবাসার একটা গভীর দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদিও বক্স অফিসে মুভিটা পুরোপুরি ফ্লপ হয়। কিন্তু মুভিটার কাহিনী এককথায় অসাধারণ। যেখানে মন্নু এবং নিরুর বাড়ি ছিল পাশাপাশি। দুজনে একে অপরকে ভালোবাসতো। কিন্তু নিরুর বিয়ে হয়ে যায় অন্য জায়গাই। বিয়ের সময় ছেলের অনেক বড় ঘর দেখে নিরু না করতে পারেনি।
মন্নু তখন বেকার থাকায় নিজেও কিছু করতে পারেনি। বেশ কয়েক বছর পরে মন্নুর চাকরি নেই। মন্নু ঠিক করে একটা ব্যবসা করবে। সেই টাকা যোগার করার জন্য দিল্লি আসে। দিল্লিতে বিভিন্ন বন্ধুর থেকে সেটা টাকা ধার নেয়। একপর্যায়ে সে যায় নিরুর ঠিকানায়। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। নিরুর স্বামী তখন বাসায় ছিল না। মন্নুকে দেখেই দরজা খোলে নিরু। পরবর্তীতে নিরু একের পর এক মিথ্যা বলতে থাকে। নিজেকে সুখী প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু বাস্তবতা ছিল নিরু খুবই দুঃখ দূর্দশায় ছিল। কারণ যার সাথে তার বিয়ে হয় সে মোটেই বড়লোক ছিল না। সে ছিল একটা চিটার। কিন্তু নিরু সেটা কখনোই বুঝতে দিতে চাই না মন্নুকে। অন্যদিকে মন্নু যে দিল্লিতে শুধুমাত্র ব্যবসার টাকার জন্য এসেছে সেটা সে নিরুর থেকে গোপন করে।
মন্নু বলে দেয় সে ব্যবসার কাজে এসেছে। তার ব্যবসা অনেক ভালো যাচ্ছে। একটা দরকারে মন্নুর রেইনকোট নিয়ে বাইরে যায় নিরু। তখন সে রেইনকোটে একটা চিঠি পায়। এবং জানতে পারে মন্নুর চাকরি নেই এইজন্যই সে ব্যবসার টাকা যোগার করতে দিল্লি এসেছে। এটা দেখে নিরু তার একমাত্র অবলম্বন তার সোনার গহনা মন্নুর রেইনকোটের পকটে দিয়ে দেয় এবং একটা চিঠি লিখে দেয়। অন্য দিকে মন্নু যখন বাড়িতে একা নিরু বাইরে গেছে তখনই হঠাৎ বাড়িতে আসে বাড়িওয়ালা। এবং তিনি সব খুলে বলেন। অর্থাৎ ঐটা নিরুদের বাড়ি না। তারা ভাড়া থাকে। এবং গত দশ মাস তারা কোন ভাড়া দেয়নি। বাড়িওয়ালা থেকে লুকিয়ে আছে। মন্নুর বুঝতে বাকি থাকে নিরু খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। এবং সে যা বলেছে সব মিথ্যা । বাড়িওয়ালা যেন তাদের বাড়ি থেকে বের করে না দেয় এইজন্যই মন্নু যে টাকা যোগার করেছিল পুরোটাই দিয়ে দেয় বাড়ি ভাড়া। এবং বাড়িওয়ালাকে বলে ওদের যেন বাড়ি থেকে বের না করে।
অর্থাৎ একপর্যায়ে দুজনেই দুজনের অবস্থা জেনে যায়। কিন্তু কেউ সেটা বুঝতে পারে না। এবং দুজনেই নিজের সব দিয়ে একে অন্য কে সাহায্য করে। কিন্তু কাউকে জানিয়ে সেই সাহায্য করে না। যদি সাহায্য নিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে মন্নু বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই মন্নুর রেইনকোটে চিঠি এবং সোনার একটা গহনা। এখানে দুজনেই একে অপরের কাছে ভালো থাকার অভিনয় করে। কিন্তু দুজনেই ছিল অভাবের চরম সীমায়। কিন্তু এরপরও যখন দুজন জানতে পারে হে ভালো নেই। দুজনই নিজের সবটা দিয়ে দেয় সাহায্য করার জন্য। অর্থাৎ দুজন দুজনের প্রতি এখনও কতটা সদয়। এমন গল্প সাধারণত হয় না। ভালোবাসার ব্যাপার টাই হয়তো এমন। আপনি তাকে জানতে দেবেন না কিন্তু সাহায্য ঠিকই করবেন। এই মুভির গল্পটা এককথায় অসাধারণ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1972936074738757892?t=UldWj64JAX6ImCtygKIjAA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1972936316276048238?t=H6L6mtfsZylIET3PCjqZ5Q&s=19
https://x.com/Emon423/status/1972936561873633420?t=xRxxQVI0qotMysVYfk9NIA&s=19