সস্তির হালকা বৃষ্টি
কথায় বলে মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি। আমার জন্য ও তাই। মামার
বাড়ি গেলে শুধু মজা আর মজা। যাই হোক কিছু দিন আগে গিয়েছিলাম মামার বাড়ি। আমার মামা বাড়ি পাবনা জেলায়।
যাই হোক যেদিন গেলাম তখন থেকেই আকাশ খারাপ ছিল।
তার পর মধ্যে রাতেই শুরু হলো ধুম বৃষ্টি সাথে বাতাস আর বাজ
পরা।মামার বাসায় রুম কম থাকায় আমি, মা, বোন, দিদা,দাদু,আর দুই একজন এক রুমেই থাকি।তো বৃষ্টির সাথে শুরু হলো সকলের সুখ,দুঃখ, আনন্দ, মজার, ভুতের গল্প। কেউ
আর ঘুমায় না। বেশ মজায় কাটল রাত টা। ঝামেলা শুরু সকালে
কারন বৃষ্টি তখন হচ্ছে। আর এদিকে পুরো উঠান পানিতে ভরপুর।
পানি বাড়তে দেখে মাটিতে থাকা কাঁথা বালিশ সব তাড়াতাড়ি করে তুলে ফেলা হলো। এদিকে আমার অন্য দুই মামার ঘরে পানি
ঢুকে পড়েছে। আর আমাদের রুমে একটু বাকি। হটাৎ করে তখন বৃষ্টি থেমে গেল। আমাদের রুমে আর পানি ওঠেনি। প্রয় এক ঘন্টা
পর উঠানের পানি নামল।তার পর সবাই সবার রুমের পানি ছাকল।যদিও পানি ছাকা টা কষ্টের কিন্তু আমার বেশ মজা লাগছিল।
তারপর দুপুর থেকে আবার বৃষ্টি শুরু। সকালে খাবার না খেলেও
দুপুরএ মজা করে সবাই মিলে খিচুড়ি, আলুভাজি, আর মাছ ভুনা
ব্যপার টা খুব সুন্দর ছিল।
তবে এটা সত্যি বৃষ্টি সবার জন্য আনন্দ দায়ক হয় না। যাদের আশ্রয় স্থল নেই যারা দিন আনে দিন যাপন করে তাদের মতো
মানুষের কাছে বৃষ্টি ভিষণ কষ্ট দায়ক।
সৃষ্টিকতা সকলের দুঃখ কে আনন্দে পরিনত করুক।আজ আর নয়। ব্লগ টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভুল গুলো ক্ষমা করবেন।
মামার বাড়ি আসলেই রসের হাঁড়ি। আসলে গত কয়েকদিন যাবত যেভাবে গরম পড়ছিল যদি একটু বৃষ্টি না হত তাহলে মানুষের বসবাস করাটা অনেক কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু এটা সত্য কথা যাদের আশ্রয়স্থল নেই তাদের জন্য বৃষ্টি খুবই কষ্টদায়ক।
ধন্যবাদ ভাইয়া