"আমাদের বাড়ির পুশির রান্নাবান্না"
নমস্কার
আমাদের বাড়ির পুশির রান্নাবান্না:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে পছন্দ করি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে।আজকের অনুভূতিটা ভীষণই আলাদা রকমের।অনেক আগে আমি আমার বাড়ির পোষ্য বিড়াল নিয়ে নানান অনুভূতি শেয়ার করতাম।কিন্তু বেশ অনেকদিন যাবৎ তাদের নিয়ে আর কোনো পোষ্ট শেয়ার করা হয়না।কিন্তু অনেক স্মৃতি ,অনেক ভালোবাসা, অনেক কথা জমে আছে মনে আর ফোনের গ্যালারিতে।হয়তো আজীবন সেগুলো মনে থাকবে। যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
বাড়িতে আমাদের পছন্দের জিনিস থাকা মানেই সেটি সকলের পছন্দের নয়।আশেপাশের মানুষের কাছে সেটি ব্যাপক হিংসার হতে পারে।কথায় বলে,কারো আনন্দ কেউ সহ্য করতে পারে না।আর বাড়িতে পোষ্য কিছু থাকা মানেই খুনসুটির মাঝে রীতিমতো লড়াই।হয়তো যারা না পোষেন তারা কখনোই অনুধাবন করতে পারবেন না।
যাইহোক তো এটি আমাদের মিনির ছোট মেয়ে।অর্থাৎ আমার মা আদর করে ওর নাম রেখেছে পুশি।সে তো সারাদিন খুবই দুষ্ঠুমি করে আর লাফালাফি সঙ্গে ছোটাছুটি।তার চোখে ঘুম খুবই কম,খেলা করে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে স্থান বেছে নেয় সৌর বিদ্যুৎ ইনভার্টারের উপর।কারণ সেখানে হালকা গরম যে থাকে!আর প্রথমে তো পুশি মাছ দিলেও তা না খেয়ে গুঁড়া দুধ ছাড়া ভাত খেতেই চাইতো না।কিন্তু এখন পুশি বিপরীত অর্থাৎ গুঁড়া দুধ খাওয়া যেন ভুলেই গেছে তার এখন মাছ ভাত প্রিয়।
পুশি দেখতে একদম তার মায়ের মতোই হয়েছে।আর মিনির মতোই সেও খুব কাজ দেখতে ভালোবাসে ও ডিউটি করতে।আমি খুবই যত্নে একদম ছোট্ট থেকে একটু একটু করে বড় করে তুলেছি।সেইজন্য সে তো আমাকে খুবই আদর করে আর আমার পিঠের উপরে কখনো কাঁধের উপর উঠে বসে থাকে।রান্নার সময় পুশি তো পিঁড়ির উপর বসে থাকে।গতকাল আমি যখন কাঠ দিয়ে মাটির চুলায় রান্না করছিলাম তখন পুশিও বসে ছিল।তারপর যখন ভাত উলতে গেল ও তো রীতিমতো উঁচু হয়ে হাত এগিয়ে দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলো।সেই মুহূর্তগুলিই ক্যামেরাবন্দি করে রাখলাম।
একবার তো পুশির হাতে পায়ে আমি গোল করে গাড় খয়েরী দাগ দেখতে পেলাম।কি হলো তা নির্ধারণ করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম ও যে দুস্টু তাতে ওগুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার দাগ।মজার বিষয় হচ্ছে ,মশার ধূপ বা ঠাকুর ঘরের জ্বালানো ধূপে হাত দিয়ে দিয়ে খেলা করতে গিয়েই তার এই অবস্থা।একবার তো চুলার পাশে গরম পোহাতে গিয়ে পুশির মা মিনির শরীরের একটু লোমের অংশ পুড়ে লাল হয়ে গিয়েছিলো।দীর্ঘদিন সেই দাগ স্পষ্ট ছিল।
আর এই পোষ্যরা আমাদের কাছে যেহেতু সন্তানের মতো হয়ে থাকে সেহেতু এরা পরিবারের সদস্য।তাই এদের আনন্দে আমাদের আনন্দ আর এদের কষ্টে আমাদের কষ্ট।তবে এটা অবশ্য সকলের অনুভব করার বাইরে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1973939579414786150?t=aZKY7fDFxom-ysDC9vCLHA&s=19
https://x.com/green0156/status/1973940309823529389?t=Ta0_DMDX-JYu3FaHqPdC1Q&s=19