মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ঘৃণা করো, মুক্তিযোদ্ধাকে নয়
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমানে আমাদের দেশের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলতেছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা রাজপথ উত্তাল করে রেখেছে। কারণ তারা কোনোভাবেই আর কথা মানতে রাজি নয় এবং আমি নিজেও এটা একেবারে পূর্ণ সমর্থনকারী। তবে আমি আজকে যে ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে এসেছি। সেটা একটু আলাদা। অর্থাৎ প্রতিটা ভালো দিকের ই কিন্তু কিছু কিছু ছোটখাট ভুল রয়েই যায়। আর আমরা যদি সে সব ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে আমি মনে করি তাহলে সেই ভালো জিনিসটা আরো বেশি ভালো হতে পারে।
ঠিক তেমনটাই ঘটেছে কোটা বিরোধী আন্দোলনে। অর্থাৎ কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন শ্লোগানে আমি কিছু অন্যায় ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। অর্থাৎ সেসব আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা হচ্ছে। যেটা অত্যন্ত অন্যায়। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা যদি তাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করতো। তাহলে কিন্তু আমাদের এ দেশ আমরা স্বাধীন হিসেবে পেতাম না। তাই কোটা বিরোধী আন্দোলনে শুধুমাত্র কোটা বিষয়ে কথা বললে মনে হয় ভালো হয়। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা যদি না থাকতো। তাহলে আমাদের কিন্তু সেই পাকিস্তানিদের অধীনে থাকতে হতো এবং তাদের দাস হয়ে থাকতে হতো। তাদের হাত থেকে মুক্ত করেছে একমাত্র আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
আমি কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। যেটা হচ্ছে বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধারা কিন্তু নিজেরাও কোটাকে সমর্থন করছে না। কারণ তাদের মতে কথা হলো তারা কোনো কোটার জন্য লড়াই করেনি। তারা কোনো সুবিধা পাওয়ার জন্যই দেশকে স্বাধীন করেনি। তারা দেশকে স্বাধীন করেছে নিজের দেশের মাটি রক্ষা করার জন্য।তাই কোটা বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগানে কিংবা কোটাবিরোধী আন্দোলন করার সময় কোটাকে আমরা ঘৃণা করি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা যে সম্মানটা আগে দিতাম। এখনো আমাদের সেই সম্মানটাই দেওয়া উচিত। কারণ তারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
সে সাথে আমাদের দেশ যদি মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো আলাদা ফ্যাসিলিটিস দিয়ে থাকে। তাহলে তা নিয়ে আমাদের কথা বলার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের সমস্যা হল কোটা নিয়ে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের চৌদ্দগুষ্টি যে কোটায় বসে বসে আলাদা সুবিধা ভোগ করবে। এটা হলো বর্তমান সমস্যা। তাই আসলে সেটা নিয়েই আমাদের মাথা ঘামানো উচিত এবং সেটা প্রতিকার কি করে হবে। সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। এটা সম্পর্কেই আসলে সকলকে সচেতন করতে এসেছি। কারণ আমরা অনেক সময় অনেক ভালো করতে গিয়ে অনেক খারাপ কিছু করে ফেলি।
Salamualaykom brother