পুরী ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে পুরীর প্রথম দিনের কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পুরীতে থাকার দ্বিতীয় দিনের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
দ্বিতীয় দিন যেহেতু আমদের পুজো দেওয়ার কথা ছিল তাই ভোর চারটের সময় উঠে যেতে হয়েছিল ।ভেবেছিলাম ভোর ভোর পুজো দিতে গেলে একটু ফাঁকা পেতে পারি, তাই ভোর পাঁচটার মধ্যে মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলাম ।কিন্তু যা ভেবেছিলাম সেটা একেবারেই হয়নি। কারণ ভোর পাঁচটায় যে পরিমাণ আমরা লাইন পেয়েছিলাম তা কল্পনার বাইরে ছিল। প্রায় দু'ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল।
আসলেই পুরীতে খ্রিস্ট মাসের ছুটিতে সমস্ত বাঙালিরা ঘুরতে আসে। আর এই সময়টা অনেক ভিড় হয় ।তাও এইবারের মত ভির আমি কোনো বার আগে দেখিনি তবে যাই হোক সত্যি কথা বলতে গেলে ধর্মের জায়গা এখন বিক্রি হয়ে গেছে টাকার কাছে । মন্দিরের পুরোহিতরা পুজোর বিনিময়ে বা পুজো দেওয়ার আগে থেকেই টাকা চাইতে থাকে। এখানে মানুষের ভক্তি অনেক ছোটো হয়ে যায়।
ওই ভিড়ের মধ্যেই আমরা কোনো ভাবে পুজো দিয়ে বেরিয়ে এলাম। কিন্তু সত্যি বলতে মন মতো সকাল বেলা পুজো দিতে পারিনি। সামান্য একটু দর্শন করেই আমাদের বেরিয়ে যেতে হয়েছিল।
মনের মধ্যে এরকম দ্বন্দ্ব নিয়ে বেরোতে হয়েছিল বলে আমার একেবারেই ভালো লাগছিল না ।কারণ আমি বলেছিলাম যে বেশ কয়েকটা বছর পরে আমি এখানে এসেছি। তাই ভালোমতো পুজো দিতে পারিনি বলে মনটা একটু খারাপ ছিল ।হোটেলে গিয়ে ভাবলাম আবার দুপুর বেলা ঠাকুর দর্শন করতে যাবো । কোনো ভাবে ব্রেকফাস্ট সেরে একটু রেস্ট নিয়েই আবার দুপুর বেলা বেরিয়েছিলাম ঠাকুর দর্শন করার জন্য প্রায় চার ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর খুব ভালো করে আমরা দর্শন করতে পেরেছিলাম আর সেই দিনটা আমাদের মন্দির ঘুরে অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল। এবং সারাটা দিন এই ভাবেই আমরা কাটিয়েছিলাম ।
বিকেল বেলার দিকে প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য বিচে ঘোরাঘুরি করেছিলাম। যেহেতু ভোরবেলা উঠেছিলাম তাই শরীর দিচ্ছিল না।তাই তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে সেদিনের মতো হোটেলে চলে গিয়েছিলাম ।আর তারপরের দিনে ছিল আমাদের পুরীর সাইট সিন দেখার জায়গা গুলো। পরের পর্বে আমরা পুরীর আশেপাশে ঘোরার জায়গা গুলো ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

এটা জেনে খারাপ লাগলো দিদি, ধর্মের জায়গাটা এখন টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে! পূজো দেয়ার আগেই পুরোহিতরা টাকা চেয়ে বসে! তবে ভোর রাতে উঠেও ঠিকমতো পূজো দিতে পারলেন না জেনে খারাপই লাগলো! মন্দিরে তাহলে অনেক মানুষেরই সমাগম দেখছি দিদি
যদি দুই থেকে চার ঘন্টা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে তো অনেক বড় সিরিয়াল আর মানুষের চাপও অনেক ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচুর লোকজন সেখানে এসেছে। হয়তো ছুটির সময় বলে লোকের ভিড় আরো বেশি।
একেবারে ভোরবেলা গিয়েও দেখেন অনেক মানুষের ভীড়। সত্যি ব্যাপার টা বেশ আলাদা। আর এই সময়ে তাহলে পুরীতে ছুটিতে সবাই যায় ঘুরতে। পূজা টা দিতে পারলেও ঠিকমতো ঠাকুর দর্শন টা আপনাদের হয়নি তাহলে। বেশ চমৎকার ছিল আপনাদের পুরী ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব।
সবাই হয়তো ভেবেছে সকালবেলা গেলে ফাঁকা পাওয়া যাবে এজন্য সবাই বুদ্ধি করে সকালেই গেছে। সবাই চালাক হয়ে গেছে 🙆♂️
দাদার পোস্ট থেকে অবশ্য আপনাদের উটের উপর উঠা অনেকগুলো ছবি দেখেছি। ভয় পাচ্ছিলেন একটু বোঝা যাচ্ছিল।
যখন আমরা ফিরছি তখন দেখছি ফাঁকা হয়ে গেছে🤐।
একটু না ,অনেক ভয় পেয়েছি🥹।
😆😅😅
এটা খুবই বাজে একটি কাজ। আসলে ধর্মীয় ব্যাপারগুলো খুব সেনসিটিভ। তাই এসবের মধ্যে টাকা পয়সা দেওয়া নেওয়া হলে,মানুষের ভক্তি উঠে যায়। যাইহোক এতো ভোরে যাওয়ার পরও, এমন লম্বা সিরিয়াল ধরতে হয়েছিল আপনাদেরকে। দুপুর বেলা বের হয়ে মন্দিরে গিয়ে খুব ভালোভাবে ঠাকুর দর্শন করতে পেরেছিলেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। বিচে থাকা সুসজ্জিত উটটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
দিদি দ্বিতীয় দিন পুজো দিতে মন্দিরে যাবেন বলেছিলেন।মন্দিরে ভোর ৫ টায় গেলেন ভীড় কম পাবেন বলে। কিন্তু গিয়ে দেখেন প্রচুর ভীড়।প্রায় ২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে পরে গেলেন।কিন্তু আপনার খারাপ লেগেছে পুজোর আগেই টাকা চাওয়ার প্রবনতা দেখে।সত্যি দিদি এটা খুব খারাপ লাগলো।আপনি ভীড়ের কারনে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না।তাই আবার পরে দেখতে গিয়েছিলেন।ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি।অনেক ধন্যবাদ দিদি।
দিদি এখন সব জাগায় ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। ধর্মের নামেও এখন ব্যবসা চলে। এত সকালে এত মানুষের উপস্থিতি সত্যিই অকল্পনীয়। পুরীর সৈকতের সব গুলো উটই সুসজ্জিত দেখলাম। ফটোগ্রাফি আর অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।