প্রজেক্ট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গত মাসে একটা দিন আমি ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারিনি। ঐদিন আমার অফিসে বেশ চাপ ছিল সেজন্য
আর যাওয়া হয়নি। ঐদিনই আমাদের ইলেকট্রনিক্স ফ্যাকাল্টি শিক্ষক বলেছে ফাইনালের আগে আমাদের একটা প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে। সার্কিট ডিজাইন সিমুলশন রিপোর্ট তৈরি আমাদের করতে হবে। একটা গ্রুপে সর্বোচ্চ ৩ জন থাকতে পারে। সাধারণত আমরা যে চারজন একসঙ্গে প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে থাকি এখানে একটা সমস্যা দেখা দিল। অর্থাৎ কোন একজন দল থেকে বের হবে। সেরকম কেউ রাজি ছিল না। তো আমরা একটু কৌশল করে স্যারকে বললাম স্যার ইলিয়াস কোন গ্রুপ পাচ্ছে ওকে আমাদের গ্রুপে নিয়ে চারজন মিলে প্রজেক্ট টা করি। জবাবে স্যার যেটা বলেছিল সেটা শোনার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
স্যার ঠিক আছে ও কোন গ্রুপ পাচ্ছে না তাহলে তোমরা চারজন দুজন দুজন ভাগ হয়ে দুইটা গ্রুপ করো। এক গ্রুপে তিনজনের বেশি কোন ভাবেই হবে না। এটা শুনে আমরা সবাই হতবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক পরবর্তীতে ইলিয়াস অন্য একটা গ্রুপ করলো। আমার গ্রুপে আমি ইয়ামিন এবং সৈকত। সবাইকে একটা করে কাজ করতে হবে। কেউ প্রজেক্ট সিলেক্ট করবে এবং সার্কিট ডিজাইন করবে। অন্যজন সিমুলেশন করে আউটপুট ঠিকঠাক দিচ্ছে কীনা এটা করবে। এবং অন্যজন করবে পুরো প্রজেক্ট রিপোর্ট। যাইহোক যথারীতি দুইটা দায়িত্ব আমার উপর এসে পড়লো। কারণ সার্কিট ডিজাইন এবং গুছিয়ে রিপোর্ট লিখতে সৈকত কিংবা ইয়ামিন কেউ পারবে না। ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ওরা চেষ্টায় করবে না। বাধ্য হয়ে দুইটা দায়িত্ব আমি নিজেই নিলাম। তবে সিমুলেশন টা ওদের করতে হবে শর্ত এটা দিলাম।
আমি একটু ঘাটাঘাটি করে একটা প্রজেক্ট সিলেক্ট করলাম টেম্পাচার সেন্সর ফ্যান কট্রোল। যথারীতি এই প্রজেক্ট অনুযায়ী একটা সার্কিট তৈরি করলাম। মোটামুটি সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। সিমুলেশনে আউটপুট দিলে সার্কিট টা ঠিক আছে বোঝা যাবে। তারপর সেই সাকিব ওদের কে দিয়ে দেয়। পুরো একটা সপ্তাহে কেটে গেলেও সেটার চেষ্টা পযর্ন্ত ওরা দুজনের কেউ করে নাই। পরবর্তীতে আমি একটু তাড়া দিতে ইয়ামিন ঐটা নিয়ে বসেছিল। মোটামুটি চেষ্টা করে সার্কিট টা সিমুলেশনে দাঁড় করালেও ও আউটপুট কোনভাবেই আনতে পারছিল না। আমাদের প্রজেক্ট প্রিন্সিপাল ছিল এমন কোন একটা প্যানেলের তাপমাত্রা ৩৫° হলে ফ্যান অটোমেটিক চালু হবে এবং ২৫° তে যখন তাপমাত্রা নেম আসবে তখন ফ্যান অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে।
ফ্যান চালু হলেও বন্ধ হচ্ছিল না কোনভাবেই। অর্থাৎ কাঙ্ক্ষিত আউটপুট কোনভাবেই পাচ্ছিল না। শেষমেশ ওরা আসে আমার কাছে। এবং বলে সমস্যা টা কোথায় দেখ। যথারীতি আমি নিজেও কয়েকজন কে জিজ্ঞেস করে একটু গুগল ঘাটাঘাটি করে ওদের বললেও সেই মতো ওরা কোন কাজ করে নাই। এদিকে প্রজেক্ট সাবমিটের ডেট এগিয়ে আসছে। একসময় গিয়ে ওরা বলেই ফেলে এটাও তুই কর। অর্থাৎ সিমুলেশন টাও আমি করব। এটা শুনে রীতিমতো আমার রাগ হয়ে গেল। আরে ভাই গ্রুপ প্রজেক্টের তিনটা কাজ সবগুলো যদি আমি করে দেয় তোরা কী করবি বল আমাকে। আবার সেই প্রজেক্ট স্যারকে বুঝিয়েও আমাকেই দিতে হবে। অর্থাৎ সবকিছু আমি করব তাহলে তোরা কেন গ্রুপে আছিস। প্রজেক্ট টা তো আমি নিজেই করতে পারতাম।জবাবে ওরা কিছু বলে না। বন্ধুত্বের জন্য ওদের সাথে প্রজেক্ট করতে গিয়ে এই অবস্থা এখন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।