বাংলাদেশ ভারত আধ্যাত্মিক কবিতা উৎসব ২০২৪ ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশ ভারত আধ্যাত্মিক কবিতা উৎসব ২০২৪ নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আমি আজকে বাংলাদেশ ভারত আধ্যাত্মিক কবিতা উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। এই প্রোগামটিতে আমার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
বাংলাদেশ ভারত আধ্যাত্মিক কবিতা উৎসব ২০২৪ প্রোগামটি আয়োজন করা হয় ঢাকা প্রেস ক্লাবে। ঢাকা প্রেস ক্লাব পল্টনে অবস্থিত। প্রোগামটি শুরু হাওয়ার সময়কাল ছিলো সকাল ১০ টায়। আমি আর আম্মু যেহেতু বরপা নারায়ণগঞ্জ এ ছিলাম তাই সকাল ৮'৩০ এই রওনা দেই প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে। প্রোগাম শুরু হাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমরা ঢাকা প্রেস ক্লাবে পৌঁছে যাই।
আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবে পৌঁছানোর পর প্রোগামটি শুরু হয়। প্রোগামের শুরুতেই কুরআন থেকে তিলওয়াত ও তারপর গিতা থেকে পাঠের মাধ্যমে প্রোগামটি উদ্বোধন করা হয়। এই প্রোগামে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক কবি-সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই থেকেও কবি-সাহিত্যিকরা এসেছিলেন আজকের প্রেস ক্লাবের এই প্রোগামে।
এরপর অনুষ্ঠানের শুরু হয়ে যায়। সবাই নিজেদের আসন গ্রহণ করে। অতিথি রা সবাই নিজেদের আসন গ্রহণ করেন এবং বাকি কবি-সাহিত্যিকরাও নিজেদের আসন গ্রহণ করে। এরপর অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এই পর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের কবি-সাহিত্যিকেরা নিজেদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন। একে একে অনেক কবিরা নিজেদের স্বরচিত কবিতা আমাদের পাঠ করে শোনান। বাংলাদেশ ও ভারত মিলে অনেক কবি-সাহিত্যিকেরা ছিলো তাই এই পর্ব অনেকটা সময় ধরে চলে। বাংলাদেশ ও ভারতের কবিরা একে একে নিজেদের কবিতা আমাদের শোনায় ও আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকি।
এরপর শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে উপস্থাপনা করে আমার মা। এই পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় ও এরপর অনেকেরই কবিতা পাঠ বাকি থেকে যায় তারা আবার একে একে আমাদের নিজেদের স্বরচিত কবিতা শোনাতে থাকে। এর মধ্যেই অনেক সাংবাদিক আমাদের এই প্রোগামটিতে চলে আসে এবং প্রোগামটি তারা রেকর্ড করে ও কেউ কেউ লাইভ রেকর্ডিং করে ফেসবুকে।
সবার কবিতা পাঠ শেষ হলে এবার অমর একুশে বই মেলায় যেসকল কবিদের বই বের হয়েছে তাদের নতুন বই অতিথিদের দিয়ে বরণ করে নেয়। এই সেশনে বেশ কয়েকজন কবি যাদের বই এবার একুশে বই মেলায় বের হয়েছে তারা অংশগ্রহণ করে।
এরপর অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্ব, এই পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য সাজানো হয়। একে একে আমন্ত্রিত অতিথি রা তাদের মূল্যবান বক্তব্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে ও সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে। সবার বক্তব্য শেষ হয়ে গেলে সবাইকে দুপুরের খাবার ও একটি ব্যাগে একটি সার্টিফিকেট ও বই দেওয়া হয়। এরপর প্রোগামের আয়োজোক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রোগামটির সমাপ্তি ঘোষণা করে।
অনুষ্ঠান শেষে হলের বাইরে সাংবাদিক রা কবি-সাহিত্যিকদের ইন্টারভিউ নেন। সেখানে এপার ও ওপার বাংলার বেশ কিছু কবি-সাহিত্যিকেরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে। আমার মা ও একটি ইন্টারভিউ দেয় সাংবাদিকদের কাছে প্রোগামটি নিয়ে।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আপনার পোষ্টটি পড়ে বাংলাদেশ ভারত আধ্যাত্মিক কবিতা উৎসব ২০২৪ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেলাম। আপনি বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে প্রতিটি পর্বই আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। সাথী আপুর ইন্টারভিউ টা দেখার সুযোগ হলে বেশ ভালো লাগতো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই চমৎকার ভাবে পুরো প্রোগ্রামটার বিস্তারিত তুলে ধরেছো তুমি। আমি আশা করছি তুমি নিয়মিত এখানে লেগে থাকলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা তোমার জন্য।