এসিআই মটরস এর NTGP এর প্রোগ্রামে একদিন।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



IMG_20230312_024234.jpg

ক্যানভা দিয়ে বানানো।

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? ভালো খারাপ এর মধ্যে দিয়েই আমার দিন যাচ্ছে। এভাবেই কাটবে স্বাভাবিক। তবে সব সময়ই চাপ মুক্ত থাকতে চাই আমি। যদিও চারিদিক থেকে চাপ বলতে গেলে এসেই যায়। তবে কি আর করা। সব কিছুর সাথে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হয়। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার অফিস এর একটি প্রোগ্রাম এ উপস্থিত থাকার অনুভূতি। আপনারা অনেকেই জানেন আমি ইয়ামাহা বাইক সার্ভিস সেন্টার এ স্পেয়ার পার্টস ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছি। অনেক বড় দায়িত্ব আমার কাধে। তো সেদিন সার্ভিস সুপারভাইজর আমাকে জানালো যে আমাদের সিনিয়র সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার স্যার এসিআই এর একটি প্রোগ্রামে দাওয়াত করেছেন। আমাদের বলতে সার্ভিস সুপারভাইজর আর আমি।


IMG-20230304-WA0014.jpg


প্রোগ্রাম ছিলো গত শনিবার। তাই আগে থেকেই হালকা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। শুক্রবার আমার শার্ট ধুয়ে দেই। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার যে শার্ট আয়রন করতে মনেই ছিলোনা। তাই রাতে ছোট ভাই ভাজ করে বালিশ এর নিচে রেখে দেয়। এভাবে নাকি কাজ চালানো যায়। সকালে উঠে দেখি আসলে হয়েছেও তাই। ভালো না হলেও চলার মতন। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো কিন্তু। হেহেহে। যথারিতি অফিস চলে গেলাম। শনিবার সরকারী অফিস ও ব্যংক গুলো ছুটি থাকায় আমাদের পার্টস এ একটু চাপ থাকে বেশি। এইদিকে সময় দেখি বিকাল ৪ টার মতন বেজে গেছে। এইদিকে সার্ভিস সুপারভাইজর এর তো খবর নাই। একটু পর উনি এসে বলেন রাজু ভাই দ্রুতো প্রস্তুতি নেন যেতে হবে। আমি প্রস্তুতই ছিলাম। তবুও হাত মুখ ধুয়ে ইন করে নিলাম ভালো মতন। যেহেতু ওই প্রোগ্রামে সব বড় স্যার রা থাকবে। ইন ছাড়া ভালো লাগবেনা। যাই বের হতে হতে ৫ টা বেজে গেলো। এইদিকে তো আমাদের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার স্যার বার বার কল দিচ্ছে। আমরা তো ভয়ে কল ধরছিনা। তারপর বললাম ৫ মিনিটে আসতেছি। আমরা প্রথম এক রিকশা নিয়ে হাতিরঝিল চলে গেলাম। তারপর সেখান থেকে রাস্তা পার হয়ে নতুন রিকশায় চড়ে এসিআই সেন্টার এ চলে গেলাম। সেখানে যেয়ে নিচে আগে দেখে নিলাম দুজনের লুক ঠিক আছে কিনা।

IMG_20230304_212338.jpg

IMG_20230304_195351.jpg

IMG_20230304_180541.jpg

এরপর সোজা উপরে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি প্রোগ্রাম শুরু হয়নি এখনো। তো স্যার আমাদের বসালেন একটা টেবিল এ নিয়ে। যেহেতু আমরা সেই স্যার এর আয়তায় রয়েছি। স্যার আমাদের ছবি নিলেন। এরপর আমরা নিজেরাও ছবি তুললাম। এরপর সব বড় স্যার রা আসতে শুরু করলেন। শুরু হয়ে গেলো আমাদের প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটি মূলত ছিলো টেকনিশিয়ান দের নিয়ে। National Technician Grand Prix ছিলো যার নাম। সারা বাংলাদেশের ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার গুলো থেকে দক্ষ টেকনিশিয়ান রা এখানে অংশগ্রহন করে। তাদের থেকে সেরা ৫ জনকে পুরস্কৃত করার জন্যই আজকের এই প্রোগ্রাম। একে একে সবাই বক্তৃতা প্রদান করেন। সবই শুনতে হয়। তবে তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতেছিলো। তাই শুনতে বেশ ভালোই লাগছিলো। এক পর্যায়ে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। আমি যতটুক পারি ছবি তোলার চেস্টা করি। যদিও সেখানে ছবি তোলার আলাদা ব্যবস্থাই ছিলো। এরপর আমরা স্যার দের সাথে ছবি তুলি। যদিও সব গুলো ছবি আমার কাছে নাই। একটি ছবি ম্যানেজ করেছি অনেক কষ্টে। আর বাকি গুলো আমার তোলা।

IMG_20230304_212448.jpg

IMG_20230304_193006.jpg

IMG_20230304_192810.jpg

এরপর আমাদের জন্য ডিনার এর ব্যবস্থা করা হয়। বাফেট টাইপ এর ডিনার ছিলো। যদিও তেমন খেতে পারিনি। খাবোই কিভাবে। সেদিন দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম বিকালে। আহা খাবার গুলো এতো স্বাদের ছিলো। মনে মনে ভাবতেছিলাম কেনো যে বিকালে খেতে গেলাম পেট ভরে। যাক কি আর করা। কম করেই নিয়েছি যেনো নষ্ট না করি। খাওয়া দাওয়া শেষে একটু জিরোলাম। এরপর শুরু হলো ছোট খাটো একটি কনসার্ট। সেই আপু অনেক গুলো গান শুনিয়েছে। আমরা সবাই মিলে নাচছি প্রচুর। স্পেশালি আমাদের স্যার আমাদের বার বার সামনে নিয়ে যাচ্ছিলো। এভাবেই আমাদের প্রোগ্রাম শেষ হলো। তারপর বাসায় চলে আসি।

IMG_20230304_204812.jpg

IMG_20230304_203917.jpg

IMG_20230304_202753.jpg

IMG_20230304_202749.jpg

IMG_20230304_201548.jpg


তো এই ছিলো আমার আজকের এই পোস্ট এ । আবার দেখা হবে নতুন কোনো এক পোস্ট এ। ধন্যবাদ সবাইকে।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আপনার এসিআই মটরস এর NTGP এর প্রোগ্রামে কাটানো মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এসব প্রোগ্রামে একটু বক্তব্য শুনতেই হয়। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন সব জায়গায় ছবি তোলার পারমিশন থাকে না তাই একটু লুকিয়ে লুকিয়ে ছবি তুলতে হয়। যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি বেশ ভালোই ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বি ভাই। লুকিয়ে ছবি তুলতে হয় কিছু কিছু যায়গাতে।

 2 years ago 

এসিআই মটরস এর NTGP এর প্রোগ্রামে খুবই মজা করলেন দেখতেছি। আপনার কাঁধে অনেক বড় একটি দায়িত্ব ছিল। কিন্তু এটা সত্যি কথা যে বালিশের তলে যে কোন জামাকাপড় ভাঁজ করে রেখে দিলে আয়রন হয়ে যায়। ছোটবেলায় আমারও যখন আয়রন করতে মনে থাকতো না আমিও ঠিক এমন করতাম। আপনার ভাই আপনাকে দারুন বুদ্ধি দিয়েছেন। খাবারগুলো খুবই মজা ছিল কিন্তু বিকেলে লেট করে খাবার কারণে খেতে পারলেন না বেশি। এটা ঠিক যে যখন খিদে পায় তখন খেতে না পারলে পরে খিদে টা মরে যায়। বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আর সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে উপহার দিলেন।

 2 years ago 

হুম বুদ্ধি পেয়ে ভালোই হয়েছিলো। নাইলে বিপদে পরে যেতাম আমি।

 2 years ago 

প্রথমেই এই চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে জব সেক্টরে প্রচুর চাপ নিতে হয়, আর সবথেকে বড় বিষয় খেয়াল রাখতে হয় কেউ বিপদে ফেলছে নাতো? তাই সবসময়ই সতর্ক থেকে সাবধানে এগিয়ে যেতে হবে ভাই দোয়া রইল আপনার জন্য।
আপনার স্যার দেখছি দারুন একটি অনুষ্ঠানে আপনাদের দাওয়াত দিয়েছেন, এখানে চমৎকার আয়োজন করেছেন, সাথে খাওয়া দাওয়া আর সুন্দর গান। সবমিলিয়ে দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন ভাই। অনেক দোয়া রইল এভাবেই এগিয়ে যান।

 2 years ago 

চেষ্টা করি ভাই সব সময় সতর্ক থাকার। তবে কিছু মানুষ আছে পিছনে লেগে থাকে সব সময়। এদের থেকে বাচবো কেমনে আল্লাহ জানে। দেখা গেলো নিজে এক দোষ করে আমার নাম দিয়ে দেয়।

 2 years ago 

হা হা 😄
এটা আমার দশ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতায় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। জব পলিটিক্স জঘন্য একটা জিনিস, যা আপনাকে বিপদে ফেলতে চাইবে বারবার। তাই সবসময়ই যারা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে, সেই লোকগুলোকে মার্ক করে তাদের থেকে সাবধানে থাকবেন। দোয়া রইল।

 2 years ago 

যে কোন জায়গায় গেলে তার পূর্ব প্রস্তুতি নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেহেতু আপনাদের অফিসের সিনিয়র সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার স্যার এসিআই প্রোগ্রামের দাওয়াত করেছেন। যেহেতু প্রোগ্রাম ছিল শনিবারে তাই শুক্রবারে শার্ট ধুয়ে দিয়েছেন কিন্তু আয়রন করতে মনে ছিল না, শার্ট আয়রন করার জন্য একটি গিন্নি লাগবে ভাই। খাবার গুলো খুব সুস্বাদু ছিল কিন্তু আপনি খেতে পারেননি। দুপুরের খাবার বিকালে খেয়েছিলেন বলে। ভাই বিয়ে বাড়ির মত পলিথিনে খাবারগুলো নিয়ে আসতে পারতেন 😄😄।আপনাদের এই অনুষ্ঠানে তো দেখছি কনসার্ট হয়েছেন গান-বাজনা হয়েছে। সব মিলে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনি সেখানে ব্যয় করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

সব কথার এক কথা তা হচ্ছে একটা বউ লাগবে। সত্যি সেদিন বউ থাকলে এই প্যারাটা নিতে হইতোনা।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালো-মন্দ নিয়েই আমাদের চলতে হবে। আপনার মত আমিও এরকম বুদ্ধি করতাম যখন কাপড় আয়রন করতে মনে থাকতো না ভাজ করে বালিশের নিচে রেখে দিতাম কিংবা ভাতের গরম হাড়ি দিয়ে আয়রন করার কাজটা সেরে নিতাম।আসলে হোস্টেলে যখন থাকতাম তখন তো আয়রন করার মেশিন ছিল না। যাইহোক আপনার বিরিয়ানি দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যা আপু এই পদ্ধতি কাজ করেছে দেখে আমি অবাক।

 2 years ago 

এটা ঠিক বলেছেন নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। তবে এইভাবে ভাঁজ করে বালিশের নিচে রেখে আয়রন করা যায় এই আইডিয়াটা আগে জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে নতুন একটা আইডিয়া জানতে পারলাম। তবে বেশ সুন্দর একটা প্রোগ্রামে এটেন্ড করবেন। বিশেষ করে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে কনসার্ট হওয়া সবকিছুই অসাধারণ ছিল। সত্যি এরকম অনুষ্ঠানে এটেন্ড করলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনাকে দেখেও ভীষণ ভালো লাগলো।

 2 years ago 

হুম আপু। এটা করা যায়। আমি নিজেও জানতাম না। সেদিন দেখে তো পুরাই অবাক আমি।