সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছিআর আপনারা সকলেই সবসময় সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা।
বন্ধুরা খুব বেদনা ভরা ক্লান্ত মনে আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের সকলের অনেক আদরের, অনেক প্রিয়। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে "মাশরাফি" বেশ অসুস্থ অবস্থায় ছিল। তার নাকের ভেতরের হার অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছিল। এবং পুরো নাক বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। ফলে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাই ডক্টরের পরামর্শ আজ তাকে অপারেশন করানো হয়।আমাদের নীলফামারীতে বেশ উন্নত একটি প্রাইভেট হাসপাতাল। যে হাসপাতালের নাম "এবাদত হাসপাতাল" সেখানে অপারেশন করানো হয়।আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন অনেক সাকসেসফুল হয়েছে।
অপারেশনের আগে মাশরাফিকে স্যালাইন এবং তার সাথে বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেয়া হলো।মাশরাফি মূলত একটু চাপা স্বভাবের। সে সহজে অনেক কষ্ট পেলে ও কারো সাথে শেয়ার করে না।আজও ঠিক সেরকম। অনেক ব্যথা পাচ্ছে চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। কিন্তু কাউকে কিছু বলছে না।ওকে দেখে আমার ভীষণ মায়া হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম যাইহোক ওকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেল। তখন মনে হচ্ছিল আমি যদি ভিতরে যেতে পারতাম। কিন্তু কোনো সুযোগ ছিলনা ভেতরে যাওয়ার।পুরো এক ঘন্টা তিরিশ মিনিট অপারেশন চলছিল।এদিকে আমরা বাইরে সবাই বেশ উৎকণ্ঠার ভেতরে ছিলাম।আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, বেশ কিছুদিন আগে আমার মায়ের চোখের অপারেশন করিয়েছি। আমার মা-ও বেশ ভালোবেসে মাশরাফিকে। তাই অনেক কান্নাকাটি করছিল।আজকে কেন যেন আমাদের চারিপাশ বেশ ভারী হয়ে উঠছিল।আসলে সন্তানদের কিছু হলে অভিভাবকদের যন্ত্রণার তীব্রতা এটা আবেগ দিয়ে বোঝানো যাবে না।
মাশরাফিকে যখন অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হল। তখন ওকে দেখতে অনেক অদ্ভুত লাগছিল।এত সুন্দর চেহারাটা কেন যেন বীভৎস হয়ে গিয়েছিল।দুচোখ দিয়ে পানি ঝরছিল আর ঠোট গুলো ফুলে অনেক মোটা মোটা হয়েছিল।এদিকে নাকে ব্যান্ডেজ করা।কি যে কষ্ট কি করে বোঝাবো।ডক্টর একজনের বেশি ভিতরে থাকতে দিচ্ছে না।যেহেতু মুখদিয়ে নিশ্বাস নিতে হবে। তাই খেয়াল রাখতে হল ও যেন কোনোভাবেই ঘুমিয়ে না পড়ে। এবং ওর সাথে শুধু কন্টিনিউ কথা বলতে বলা হয়েছিল। এবং জোরে জোরে ঢোক গিলতে বলা হয়েছিল।আমি সকাল থেকে প্রায় রাত 9 টা পর্যন্ত ওর পাশে বসে ছিলাম।ওর কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। সেই সাথে ঠোট গুলো শুকিয়ে যাচ্ছিল। বারবার ভেজা কাপড় দিয়ে ঠোট গুলো মুছে দিচ্ছি। চোখ গুলো মুছে দিচ্ছি যেন ঘুম না আসে। সেই সাথে ওর সাথে গল্প করছিলাম কন্টিনিউ।স্যালাইন শেষ হওয়ার পর ডাক্তার বললেন লাল চায়ের সাথে বিস্কুট দিয়ে ওকে খাওয়াতে।আমি ওকে লাল চায়ের সাথে বিস্কুট দিয়ে খুব আলতো ভাবে খাইয়ে এরপরে,, ওকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাসায় চলে আসলাম। ক্লিনিকে ওর সাথে আমার মা আছে ওর নানী আছে এবং ওর বাবা মাকে রেখে আমি এসেছি।কাল সকালে আবার যেতে হবে।বন্ধুরা আপনারা সকলে মাশরাফির জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন ও যেন সুস্থ অবস্থায় খুব দ্রুত বাড়ি ফিরে আসে।এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।নানাবিধ কারণে গতকাল কেও পোস্ট, কমেন্ট, কিছুই করতে পারিনি। আজ সারাদিন মোবাইল ফোন হাতে নিতে পারেনি।আর যখন ফোনটা হাতে নিয়ে পোস্ট লিখতে বসলাম তখন এত মানুষজনের ফোন আসতে ছিল যা বলাই বাহুল্য।যাইহোক অনেক সময় ধরে এই পোস্টটি লিখলাম।ত্রুটি মার্জনীয়।
আগামীকাল ওর অবস্থা কি হয়। তা জানিয়ে আবারও আপনাদেরকে পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
আপু সত্যি অনেক খারাপ লাগলো যে আপনার বড় ভাইয়ের ছেলের নাকের মাংস বেড়ে যাওয়ার কারনে অপারেশন করেছেন ৷ আসলে প্রায় অনেকের হয়ে থাকে ৷ সর্বোপরি মাশরাফি খুব তারাতারি যেন সুস্থ হয় এটাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ৷
তবে আপু আপনি এসব বাস্তব অপারেশন ছবি গুলো না দিয়ে ফ্রি ইমেজ হতে ছবি নিতে পারতেন ৷
ধন্যবাদ
মাশরাফির আগের চেহারা এবং অপারেশন পরবর্তী চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে দুইরকম চেহারা বা দুইজন লোক। আসলে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগছিল মাশরাফির জন্য। অবশ্যই মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ মাশরাফিকে সম্পন্ন সুস্থ করে তার মায়ের কোলে যাতে ফিরে যেতে পারে। আমীন।
আপনার বড় ভাইয়ের ছেলের নাকের মাংস বেড়ে যাওয়ার জন্য অপারেশন করা হয়েছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো। অপারেশনের পর না ঘুমিয়ে এভাবে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া সত্যি বেশ কষ্টকর। দোয়া করি, সে যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আল্লাহতালার কাছে তার সুস্থতা কামনা করছি।
সত্যিই মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো, ওনার অবস্থা দেখে। যাক অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে জেনে একটু স্বস্তি পেলাম। তবে সত্যিই নাক ছাড়া মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। আল্লাহ পাক উনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিন, এই কামনা করছি।
আসলে নিজেদের কারো এরকম অবস্থা হলে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগে। আপনার ভাইয়ের ছেলের এই অবস্থা আপনাদের তো অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। বিশেষ করে অপারেশন করার বিষয়টি আমার কাছে সব থেকে বেশি খারাপ লাগে। যখন একটা মানুষকে অপারেশন করার জন্য নিয়ে যায় সত্যি ভেতরটা অনেক বেশি কষ্ট হয়। আর এই জন্য আমার নিজেরও ভীষণ খারাপ লাগছিল। কিন্তু শেষমেষ অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। মাশরাফি যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এটাই কামনা।
আল্লাহ মানুষকে ছোট খাটো অসুখ দেয় বড় কোনো বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। অপারেশনের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে কবুল করুক।নাকে মাংস বাড়াটা এর সময় অনেকেরই হয়ে থাকে। যাইহোক অপারেশন টা ভাল ভাবে হয়েছে এবং তিনি যেন আবারো সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে সেই দোয়াই করি আমিন।
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার বড় ভায়ের ছেলের সুস্থতা কামনা করছি। এই হাসপাতালে আপনার মায়ের অপারেশনের পোষ্টও পড়েছিলাম। আল্লাহ মানুষকে রোগ দিয়ে পরিক্ষা করে। আপু আপনি আপনার বড় ভাইয়া সহ সবাইকে ধর্যধারন করতে বলুন। সব ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপু সব সময় তাদের পাশে থাকবেন।
মাশরাফি এখন মোটামুটি সুস্থ আছে। ওর বাবা-মায়ের ও টেনশন অনেক কমেছে। আপনি ওর জন্য দোয়া করেছেন।। অনেক খুশি হলাম। মহান আল্লাহতায়ালা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সবসময় ভাল রাখুক। সুস্থ রাখুক। আমিন।♥♥
আপু সত্যি অনেক খারাপ লাগলো যে আপনার বড় ভাইয়ের ছেলের নাকের মাংস বেড়ে যাওয়ার কারনে অপারেশন করেছেন ৷ আসলে প্রায় অনেকের হয়ে থাকে ৷ সর্বোপরি মাশরাফি খুব তারাতারি যেন সুস্থ হয় এটাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ৷
তবে আপু আপনি এসব বাস্তব অপারেশন ছবি গুলো না দিয়ে ফ্রি ইমেজ হতে ছবি নিতে পারতেন ৷
ধন্যবাদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য। তবে আমি ফ্রী ইমেজ ব্যবহার করিনা। কারন একবার করে অনেক বড় বিপদে পড়েছিলাম।
♥♥
মাশরাফি যেন তারাতারি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে, সেটাই কামনা করছি।
মহান বিধাতা যেন মাশরাফিকে খুব দ্রুত সুস্থতা দান করেন। আমিন।♥♥
মাশরাফির আগের চেহারা এবং অপারেশন পরবর্তী চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে দুইরকম চেহারা বা দুইজন লোক। আসলে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগছিল মাশরাফির জন্য। অবশ্যই মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ মাশরাফিকে সম্পন্ন সুস্থ করে তার মায়ের কোলে যাতে ফিরে যেতে পারে। আমীন।
অপারেশনের আগে মাশরাফিকে দেখতে যতটা ভালো লাগছিল। তার চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর এবং বীভৎস লাগছিল অপারেশনের পরে।চা অনেক বেদনাদায়ক।♥♥
আপনার বড় ভাইয়ের ছেলের নাকের মাংস বেড়ে যাওয়ার জন্য অপারেশন করা হয়েছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো। অপারেশনের পর না ঘুমিয়ে এভাবে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া সত্যি বেশ কষ্টকর। দোয়া করি, সে যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আল্লাহতালার কাছে তার সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে নাক ছাড়া মুখ দিয়ে এভাবে নিশ্বাস নেয়া, কতটা কঠিন, সেটা আজ দুদিন ধরে মাশরাফিকে দেখেই বুঝলাম।♥♥
সত্যিই মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো, ওনার অবস্থা দেখে। যাক অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে জেনে একটু স্বস্তি পেলাম। তবে সত্যিই নাক ছাড়া মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। আল্লাহ পাক উনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিন, এই কামনা করছি।
খুবই সুন্দর করে মাশরাফির জন্য শুভকামনা করার জন্য, অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ♥♥
আসলে নিজেদের কারো এরকম অবস্থা হলে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগে। আপনার ভাইয়ের ছেলের এই অবস্থা আপনাদের তো অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। বিশেষ করে অপারেশন করার বিষয়টি আমার কাছে সব থেকে বেশি খারাপ লাগে। যখন একটা মানুষকে অপারেশন করার জন্য নিয়ে যায় সত্যি ভেতরটা অনেক বেশি কষ্ট হয়। আর এই জন্য আমার নিজেরও ভীষণ খারাপ লাগছিল। কিন্তু শেষমেষ অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। মাশরাফি যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এটাই কামনা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপু সু।ন্দর করে মাশরাফির জন্য দোয়া করার জন্য।♥♥
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আল্লাহু ছোটখাটো অসুধ দিয়ে মানুষেকে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করে।♥♥
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার বড় ভায়ের ছেলের সুস্থতা কামনা করছি। এই হাসপাতালে আপনার মায়ের অপারেশনের পোষ্টও পড়েছিলাম। আল্লাহ মানুষকে রোগ দিয়ে পরিক্ষা করে। আপু আপনি আপনার বড় ভাইয়া সহ সবাইকে ধর্যধারন করতে বলুন। সব ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপু সব সময় তাদের পাশে থাকবেন।
মাশরাফি এখন মোটামুটি সুস্থ আছে। ওর বাবা-মায়ের ও টেনশন অনেক কমেছে। আপনি ওর জন্য দোয়া করেছেন।। অনেক খুশি হলাম। মহান আল্লাহতায়ালা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সবসময় ভাল রাখুক। সুস্থ রাখুক। আমিন।♥♥