স্বরচিত অনুভূতিমূলক কবিতা || বোবা কান্না
আজ - বুধবার
আসসালামু আলাইকুম
কবিতা
বুঝে দেখ মন নেই আপনজন।
আপন আপন ভাবিস যারে
সে তোর নয় আপন!
আপন ছিল মা জননী
ছিল সুখের ঘর
দিনশেষে চেয়ে দেখ
সকলেই সার্থপর।
ছিল তোর মা বাবা
ছিল ভাই বোন
স্নেহ দিয়ে ভালোবেসে
ভেঙ্গে দেয় মন।
আদর দিয়ে স্নেহ দিয়ে
নিত যারা কোলে
জানিনা এ নিঠুর দুনিয়ায়
কেমনে তারা ভোলে!
মা তোর চলে যায়
কোন এক নিরঝুম নিরালায়
কলিজা ছেড়া আঘাত পেতো
হলে রোগ বালাই।
বাবা নাই বিপদে তাই
নেই মায়ার বাহুডোর
ভাই বোন স্বার্থের টানে
কবে কখন হয়ে গেছে পর
কেন তুই কি আশায়
স্বার্থবাদী হতে চাস
কতটা তরে ভালবাসে সে
যার সাথে করিস বাস?
চোখ খুলে চেয়ে দেখ
ওই যে মায়ের কবর
কত অধিকার দেখাতো তোর
আজ আর নিতে চাই না খবর!
দেখেছি কত আত্মীয়
স্নেহ ভালোবেসে
জড়িয়ে রাখতো আমায়
সুখেরই আবেসে।
বিপদে যখন পড়েছি আমি
কেউ নেয় না খবর।
বেঁচে থাকলেও প্রিয়জন
দিয়ে রেখেছে কবর।
যতদিন দিতে পারছি
পকেট ভরা টাকা
বউ সন্তান পাড়া-প্রতিবেশীকে দেখেছি
অনুগত্য হয়ে থাকা।
একটুখানি বিপদ হইলে
তাদের চেনা যায়।
যারা আসতো হাসি খুশি মুখে
তারা পাশে আর নাই।
বিপদ হইলে বউয়ের মুখে
মরণ কামনা দেখি
ভাবতে গিয়ে অবাক লাগে
দুনিয়াটা একি?
সময়ের ব্যবধানে
হেটেছে পিছু পানে
ভবিষ্যতে কি আছে
বিধাতাই শুধু জানে।
আবার যেন নিজের পায়ে
চলছি নিজের মত।
গড়ছি ঘর শুনছি কথা
পরিবারে আবদার আছে যত।
স্বার্থবাদী হতে চেয়ে
হতে পারিনি আমি।
বিবেক নামের আদালত খানি
সত্যি অনেক দামি।
খুব সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন আপনি। কবিতার লাইনের মধ্যে জীবনের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার কবিতার লাইনগুলো পড়ে। খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
কবিতাটি গভীর আবেগ ও বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এখানে সম্পর্কের রূপ ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জীবনের অভিজ্ঞতা, আপনজনের বদলে যাওয়া, এবং একাকীত্বের বেদনা কবিতার প্রতিটি ছত্রে স্পষ্ট। বিশেষ করে মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা ও সমাজের পরিবর্তিত রূপের ব্যাখ্যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। শেষের দিকে আত্মসম্মান ও বিবেকের মূল্য বোঝানোর অংশটি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। বাস্তবতার কঠিন চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য ধন্যবাদ।
কবিতাটি আবৃত্তি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
05-03-25