বাংলা কবিতা: ভিখারী।
২২আষাঢ় , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০৬জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৭জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী
বৃহস্পতিবার।
বর্ষাকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
মনে বড় শখ, চোখে অনেক বড় স্বপ্ন সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই।সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় ফরিয়াদ করি আমাকে এতোটুকুনি সম্পদের মালিক করো, যে সম্পদ দিয়ে আমি নিজে চলতে পারি এবং কিছু অসহায় মানুষকে আমার তত্ত্বাবধানে রেখে চালাতে পারি। সব সময়ের জন্য তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে পারি। পথের ধারে বাড়ির আশেপাশে দেখেছি অনেক অসহায় মানুষকে কত কষ্ট করে আহার নিদ্রা করতে। এটা দেখেই ছোটবেলা থেকে মনের মধ্যে এই স্বপ্নের জাল বুনে যাচ্ছি। আজকের কবিতাটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা থেকে লিখেছি। ঈদের তিন দিন আগে কুষ্টিয়া চৌরহাস মোরে একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম, সেই সময়ই হঠাৎ এমন একজন ভিখারীর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তার সাথে বেশ কিছু সময় কথা বললাম। কোথায় বাড়ি কোথায় ঘর কে তাহার আপনজন কিছুই জানে না। রাস্তায় খায় রাস্তায় থাকে রাস্তা যেন তার রাজপ্রাসাদ। যাহোক দীর্ঘ কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় লেখা আজ এই কবিতাটি ।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ভিখারী
সেই দিন বসে ছিলাম
রাস্তার মোড়ে
হঠাৎ এক ভিখারীর অনুপ্রবেশ
হলো সেই ক্ষণে।
খুবই জীর্ণ-শীর্ণ বদন তার
রুক্ষ শুষ্ক সমস্ত কায়া,
চোখে পড়লো দেহের কিছু হাড়
তবুও মুখে বড় মায়া।
অগোছালো মাথার কেশ
গরণে ছেঁড়া জামা,
পড়নেতে ছেঁড়া চাদর
পায়ে ধূলা জমা।
ভিখারি অতি ঊনপাজুরে
চলাচল ধীর গতি,
শান্ত শিষ্ট মেজাজ তাহার
যেন শান্তির ধারা প্রবাহ্।
মুখে দেখি চিন্তার ছাপ
করিলাম তাহার সাথে আলাপ,
একটা দুটে কথায়
জন্মালো মমতা।
দু- পায়ে দাঁড়ায়ে ভিখারী
জলে ছল ছল আঁখি,
যেন কষ্টের এক ঝড়র্ণা
বক্ষে রাখিছে ঢাকি।
মায়াবী ঐ আঁখি দু'টি
যেন জল ভরা প্রবাহিনী,
তাহাতে স্নান করলে
ধুয়ে যাবে মনের কালি।
কখনো সে দুয়ারে দুয়ারে ফেরে,
সারাটি প্রহর ধরে,
দু'মুঠো খাবার জুটলে তবে
হবে উদর ভরে আহার।
হঠাৎ যদি হয় সে
রোগে অস্থির,
কি করিবে তখন সে
করিতে নাহি পারে স্থির।
কেউ-বা আবার দুয়ারে গেলে
ঘৃণা চোখে করে ভ্রূকুটি,
দেখেনা কেউ মমতার চোক্ষে
ক্ষুধার তাড়নে বোঝা মুশকিল পেট পিঠ।
সুখ বিহীন দিবাস্বপ্ন,
দুখের সাথে করে বাস,
জীবন তাদের করে শুধু
দুঃখ কষ্টে ভয়াল পরিহাস।
রাস্তায় আহার রাস্তায় বাস
ফুটপাত রাজ প্রাসাদ
চৈত্রে খরা আষাঢ়ে বৃষ্টি,
শীতে আগুনে সন্তুষ্টি।
মাঝে মাঝে দুঃখ ওদের
ডেকে বলে ভাই,
আমি-তুমি এক হয়ে
আপন মনে মিশে যাই।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
VOTE @bangla.witness as witness

OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Posted using SteemPro Mobile
রাস্তার মোড়ে
হঠাৎ এক ভিখারীর অনুপ্রবেশ
হলো সেই ক্ষণে।
খুবই জীর্ণ-শীর্ণ বদন তার
রুক্ষ শুষ্ক সমস্ত কায়া,
চোখে পড়লো দেহের কিছু হাড়
তবুও মুখে বড় মায়া।
অগোছালো মাথার কেশ
গরণে ছেঁড়া জামা,
পড়নেতে ছেঁড়া চাদর
পায়ে ধূলা জমা।
ভিখারি অতি ঊনপাজুরে
চলাচল ধীর গতি,
শান্ত শিষ্ট মেজাজ তাহার
যেন শান্তির ধারা প্রবাহ্।
মুখে দেখি চিন্তার ছাপ
করিলাম তাহার সাথে আলাপ,
একটা দুটে কথায়
জন্মালো মমতা।
দু- পায়ে দাঁড়ায়ে ভিখারী
জলে ছল ছল আঁখি,
যেন কষ্টের এক ঝড়র্ণা
বক্ষে রাখিছে ঢাকি।
মায়াবী ঐ আঁখি দু'টি
যেন জল ভরা প্রবাহিনী,
তাহাতে স্নান করলে
ধুয়ে যাবে মনের কালি।
কখনো সে দুয়ারে দুয়ারে ফেরে,
সারাটি প্রহর ধরে,
দু'মুঠো খাবার জুটলে তবে
হবে উদর ভরে আহার।
হঠাৎ যদি হয় সে
রোগে অস্থির,
কি করিবে তখন সে
করিতে নাহি পারে স্থির।
কেউ-বা আবার দুয়ারে গেলে
ঘৃণা চোখে করে ভ্রূকুটি,
দেখেনা কেউ মমতার চোক্ষে
ক্ষুধার তাড়নে বোঝা মুশকিল পেট পিঠ।
সুখ বিহীন দিবাস্বপ্ন,
দুখের সাথে করে বাস,
জীবন তাদের করে শুধু
দুঃখ কষ্টে ভয়াল পরিহাস।
রাস্তায় আহার রাস্তায় বাস
ফুটপাত রাজ প্রাসাদ
চৈত্রে খরা আষাঢ়ে বৃষ্টি,
শীতে আগুনে সন্তুষ্টি।
মাঝে মাঝে দুঃখ ওদের
ডেকে বলে ভাই,
আমি-তুমি এক হয়ে
আপন মনে মিশে যাই।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে রাস্তার ধারে অনেক মানুষ দেখা যায়। যারা রাস্তায় থাকে রাস্তায় ঘুমায়। আর সেই মানুষগুলো সত্যি রাস্তাকেই রাজপ্রাসাদ মানে। আপনি অনেক সুন্দর একটা টপিক নিয়ে কবিতা লিখেছেন। এরকম টপিক নিয়ে কবিতা লিখলে পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার লেখা কবিতাটা পড়তে খুব ভালো লেগেছে।
উপরের এই লাইনগুলো একটু বেশি ভালো লাগলো। একেবারে বাস্তবিক বিষয় তুলে ধরেছেন সম্পূর্ণটা লিখতে।
ধন্যবাদ আপু কবিতাটি পড়ে সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে যে দোয়া করেন ঠিক এমন দোয়াটা আমিও করে থাকি। আমাকে যেন সেই পরিমাণ সম্পদ দেয়, যে পরিমাণ সম্পদ আমি মানুষকে সাহায্য করতে পারবো। আমি নিজে ভালো থাকতে পারবো। কিন্তু এটা মনে এক ধরনের ধোকা। আপনার যতটুক আছে তার সেই সামর্থ্যের মধ্যে মানুষকে সাহায্য করবেন এতে আল্লাহ বেশি খুশি হয়। ভিখারি নিয়ে কবিতাটি কিন্তু দারুন লিখেছেন ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপাতত এখন আমাদের যতটুকু উনি সার্ধ আছে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে ততটুকুনি করে যাচ্ছি তবে ভবিষ্যতে আমাদেরকে আরো বড় করার ইচ্ছা আছে।
আসলে ভিখারি গুলো যেরকম পরিস্থিতিতে থাকুক না কেন, তাদের মুখে সব সময় হাসি থাকে, আর তাদের মনটা অনেক নরম হয়। কষ্টের সেই অনুভূতি তারা সবসময় ঢেকে রাখে। আমাদের দেশে অনেক ভিখারি রয়েছে যাদেরকে দেখলে অনেক খারাপ লাগে। আপনি সেই ভিখারিদের কে নিয়ে আজকের কবিতাটি লিখেছেন। অনেক বাস্তবিক কথা এই কবিতাটির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আপনি যা দেখে বুঝতে পারছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া কবিতাটি পড়ে সুন্দর এবং উৎস মূলক মন্তব্য দেয়ার জন্য।।
আপনার লেখা ভিখারি কবিতাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আমরা চলাচল পথে রাস্তার ধারে দেখতে পাই অনেক ভিখারি।তাদের চুলগুলো এলোমেলো এবং পোশাকের কোন ঠিক নেই। তারা শুধু পেট ভরলে খুশি থাকে। রাস্তায় তাদের ঘরবাড়ি রাস্তায় তাদের রাজপ্রাসাদ এবং অল্পতেই তারা অনেক খুশি হয়ে যায়। আপনার সৃজনশীলতার মাধ্যমে সুন্দর একটি কবিতা আমাদের উপহার দিয়েছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
চলার পথে রাস্তার ধারে কত অসহায় মানুষকে আমরা দেখি আমাদের উচিত আমাদের সাধ্যমত তাদের সহায়তা করা।
রাস্তা ঘাটে এমন কিছু কিছু ভিখারী আছেন যাদের জীবন বৈচিত্র জানতে পারলে খুব করুন হয়। অনেকেই পেশাগত ভাবে ভিখারী আছেন আবার অনেকে আছেন বাধ্য হয়ে ভিখারী হয়ে যান। এছাড়া অনেক মানুষ আছেন যারা মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ভিখারীতে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের জীবন বৈচিত্রগুলো খুবই করুন। এক সময় দেখবেন ওদের জীবন গুলো অনেক সুখের ছিল। কবিতাটি অসাধারণ লিখলেন আপনি বেশ ভালো লেগেছে ভিখারী কবিতাটি পড়ে।
অনেকেই আছে হাত পাততে লজ্জা পাই কিন্তু পরিস্থিতির শিকার কত করুন কাহিনী তাদের জীবনের সাথে মিশে আছে।