নীরব বাংলাদেশ!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সত্যি বলতে কিছু বলার মতো মনের অবস্থা নেই। পুরো বাংলাদেশের মানুষ আজ নীরব। তাদের দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই। এই অবস্থা টা ঠিক এতোটা কঠিন হতো না যদি কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপর এমন অবস্থা নেমে আসতো। কিন্তু যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক যারা মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে তারা সবাই শিশু। কত বাবা মায়ের একমাএ প্রদীপ। এই কথাটা আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি। ঢাকা সবচাইতে বাজে একটা শহর। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন টা খুবই বাজেভাবে হয়েছে। সবকিছু হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রিক। বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজেই ঢাকামুখী হয়ে থাকে। আর এখানেই হয়েছে ঝামেলা।
ঢাকা শহরে এমনভাবে ক্রমাগত বিল্ডিং হচ্ছে যে যেকোনো ছোট দূর্ঘটনায় অনেক বড় বড় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে। সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিশেষ করে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ সাধারণত কোন জনবসতিহীন জনমানবহীন এলাকায় করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে পদ্মার চর রয়েছে কয়েকশ মাইল। আবার বঙ্গোপসাগর রয়েছে। কিন্তু না এসব জায়গা ফেলে রেখে আমাদের দেশের বিমান বাহিনী জেট নিয়ে ঢাকার আকাশে মহড়া দেওয়া শুরু করে। এবং সেই জেড আজ থেকে ৬০ বছর আগের তৈরি। চীন ২০১৩ সাল থেকে সেটা তৈরি করা পযর্ন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখনও সেই জেট ব্যবহার করছে। একলাখ ঘন্টা প্রশিক্ষণের পরে আজই প্রথম একা একা জেট নিয়ে আকাশে উড়েছিল লেফটেন্যান্ট তৌকির।
হঠাৎ জেটে জটিলতা দেখা দেয়। কন্ট্রোল সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তৌকীর চাইলেই প্যারাসুট নিয়ে সুস্থ্যভাবে বেরিয়ে যেতে পারতো। এতে করে সে নিজে ভালো থাকত। কিন্তু সে যখন দেখলো সামনেই উওরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে বিমানের সংঘর্ষ যেন স্কুলের সাথে না হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জেট টা সরাসরি গিয়ে স্কুলের জুনিয়র সেকশন ক্লাস ওয়ান থেকে অষ্ঠম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভবনে গিয়ে আঘাত করে। বিস্ফোরিত হয় বিমানটা। আগুন ধরে যায় পুরো ভবনে। স্কুলের অসংখ্য বাচ্চা আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়। অনেকেই মারা গিয়েছে। লেফটেন্যান্ট তৌকিরও আর বেঁচে নেই। এখন পযর্ন্ত অনেক বাচ্চা নিখোঁজ। অনেক বাবা মা তাদের বাচ্চাদের খুজে পাচ্ছে না। একটা বাজে অবস্থার তৈরি হয়েছে।
এখন পযর্ন্ত শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০। আহত প্রায় দেড় শতাধিক। এবং এদের সবাই শিশু। দুপুরের পর থেকে স্যোসাল মিডিয়ায় যাওয়া যাচ্ছে না। শুধু বাচ্চাদের সেই নৃশংস ছবি ভিডিও সামনে আসছে। জানি না শেষ পযর্ন্ত এই মৃত্যুর সংখ্যা কতই গিয়ে দাঁড়াবে। কত বাবা মা তাদের সন্তান হারাবে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক। আমি আর কিছু লিখতে পারছি না এককথায়। কিন্তু এসবের পেছনে দায়ী কারা এটা নিয়ে কেউ কথা বলবে না। কেন এখনও দেশের বিমান বাহিনী এতো পুরাতন জেট ব্যবহার করে। ঠিক কোন কারণে ঢাকার মতো একটা জনবহুল শহরে মহড়া দেওয়া হলো। এগুলোর জবাব দেবে কে?
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1947580385195659676?t=jdHQk7IJoLFlKRV9wTIPkQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1947580570361622774?t=qEoGMKa63skZH7FeazYGTQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.