শীতের রাতে ধোপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৩-০২-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শীতের রাতে ধোপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে অল্প একটু লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম কোচিং এর উদ্দেশ্যে। কোচিং থেকে বাড়িতে ফিরে চুল কাটানোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম আমাদের বামুন্দি বাজারে। গিয়ে দেখি দোকানে অনেক ভিড় তাই চুল না কাটিয়ে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করা যায়। প্রত্যেকদিন ভিন্ন ভিন্ন টপিক নিয়ে পোস্ট করতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করি সপ্তাহে সাত দিন ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার। তবে চলুন পোস্টি আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা যাক........
আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। একটি মধ্যে রয়েছে খেজুরের গুড় অপরটির মধ্যে রয়েছে চাউলের গুড়া। এমনিতেই খেজুরের গুড় দিয়ে ধোপা পিঠা তৈরি করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আসলে আমার দুলাভাই মূলত পুলিশের চাকরি করে। কয়েকদিন আগে আমার দুলাভাই বাড়িতে আসবে বলে খুলনা থেকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে রওনা দিয়েছিল। এসে ছাতিয়ান বাজারে নামার কিছু সময় আগে আমার কাছে ফোন দিয়েছিল বলে বাইক নিয়ে একটু নিয়ে যেতে। আসলে যেহেতু রাত অনেক হয়েছে তাই আমি বাইক নিয়ে একা গিয়েছিলাম না। আমার সাথে আমার ছোট কাকাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। ছাতিয়ান বাজারে পৌঁছানোর পর দেখি এখনো আমার দুলাভাই সেখানে আসেনি।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একজন লোক অনেক সুন্দর ভাবে ধোপা পিঠা তৈরি করছে তখন আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা ছাতিয়ান বাজারে পৌঁছানোর পর দেখি লোকটি ধোপা পিঠা তৈরি করছিল সেখানে বসে। সেখানে গিয়ে আমরা একটি চেয়ার নিয়ে বসে ছিলাম এবং ধোপা পিঠা খেয়েছিলাম। ধোপা পিঠা খাওয়ার সময় ভাবলাম কয়েকটি ছবি তুলে রাখি তাহলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাবে। তাই অনেক আগ্রহ নিয়ে ছবিগুলো আমি তুলেছিলাম। এমনিতেই শীতের সময় গরম গরম ধোপা পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যখন ধোপা পিঠা তৈরি করা হয়েছিল তখন একটি আমাদেরকে দিয়েছিল খাওয়ার জন্য। আমি তখন প্লেটের উপরে ধোপা পিঠা নিয়ে অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। যেহেতু খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাই খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এমনিতেই খেজুরের গুড়ের কোন কিছু খেতে আমার কাছে বেশ সুস্বাদু লাগে। সেখানে পিঠা বিক্রয় করছিল ১০ টাকা করে। কিন্তু আমরা পিঠা খেয়েছিলাম ১৫ টাকা দিয়ে। কারন আমাদের পিঠার মধ্যে একটু খেজুরের গুড় বেশি করে দিতে বলছিলাম এই জন্য আমরা প্রত্যেকটা পিঠার জন্য ৫ টাকা করে বেশি দিয়েছিলাম।
আমি এবং আমার কাকা যখন পিঠা খেয়েছিলাম তখন অনেক সুন্দরভাবে একটি সেলফি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে আমরা যেখানে যাই দুজন প্রায় একই সাথে ঘুরে বেড়ায়। পিঠা খাওয়া শেষ দেখি আমার দুলাভাই একটি বাস থেকে নামছে। তারপরে আমরা পিঠার দোকানে বিল দিয়ে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকের পোস্ট লেখা এখানে শেষ করছি। আশা করি আজকের পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
শীতের সকালে কিংবা রাতে গরম গরম পিটা খাওয়ার মজাই আলাদা ৷ আমিও প্রায় সময় চলে যাই চার রাস্তার মোড়ে পিঠার দোকানে ৷ সেখানে এভাবেই ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে ৷ গরম গরম পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে ৷ শীতের রাতে আপনাদের পিঠার খাওয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অনুভূতি সুন্দর ভাবে আমদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি শীতের সময় পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রত্যেকদিন ভিন্ন ভিন্ন টপিক নিয়ে পোস্ট করতে ভালো লাগে। আর শীতের সময় পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এসব দোকান দেখতে পাওয়া যায়। আর এই দোকানগুলো থেকে পিঠা কিনে খেতে বেশ ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি বিভিন্ন জায়গায় মোড়ে মোড়ে দোকানে এ ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।
আপনার দুলাভাইকে আনতে গিয়ে ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি বেশ ভালো লাগলো।আমরা ধোপা পিঠাকে ভাপা পিঠা বলে থাকি।খুব মজাদার এই ভাপা পিঠা খেতে।বেশ ভালো লাগলো আপনার পিঠার রিভিউ। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
https://x.com/GKibreay/status/1754067723947319773?s=20
শীতকালের চমক মানেই নানারকম পিঠাপুলি খাওয়া।আপনি ধোয়া ওঠা ভাপা পিঠা বেশ মজা করেই খেয়েছেন।আপনার অনুভূতি পড়ে অনেকটা ভালো লাগলো। পিঠার মধ্যে খেজুরের গুড় বেশি দিতে বলেছিলেন এজন্য ৫ টাকা বেশি দিয়েছিলেন ১৫ টাকায় দুজন মজাদার পিঠা খেয়েছেন।ভালো লাগলো ভাইয়া পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি শীতকালে চমক মানেই নানান ধরনের পিঠাপুলি খাওয়ার উৎসব।
তাহলে দুলাভাইকে আনতে গিয়ে কাকা আপনি খুব মজা করে ধোপা পিঠা খেয়েছেন। ধোপা পিঠা গুলোকে আমরা ভাপা পিঠা বলে থাকি। শীতকালে এই পিঠাগুলো খেতে অনেক মজা লাগে। কিছুদিন আগে এই পিঠাগুলো আমি নিজেও বাজারে খেয়েছিলাম তবে দশ টাকা করে একটি। যদিও আপনারা বলেন একটু গুড অন্যান্য বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে ৫ টাকা করে বেশি দিয়েছেন পিঠাগুলোর দাম। সত্যি এই পিঠাগুলো খেতে অন্যরকম স্বাদ লাগে। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি দুলাভাইকে আনতে গিয়ে সেদিন সন্ধ্যা রাতে দুজন বেশ ভালোভাবে ধোপা পিঠে খেয়েছিলাম।
শীতের সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা, এরকম ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা বা ধোপা পিঠা খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। যদিও আমাদের এখানে এইগুলোকে ভাপা পিঠে বলে। তবে যেহেতু শীতকালে এই ধরনের পিঠা বানানো হয় তাই সাধারণত খেজুরের গুড় দিয়ে বানানো হয়। তার জন্য পাঁচ টাকা কেন বেশি নিল, এটা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমাদের এখানেও ওরকম মনে হয় দশ টাকা করে নেয় প্রতি পিস। তবে খেতে অনেক সুস্বাদু হয় এগুলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।