আমাদের দেশে কবুতর-
কবুতর শান্তি, ভালোবাসা ও বার্তা বাহনের প্রতীক। মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশ থেকেই কবুতরের সাথে মানুষের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।ঐতিহাসিকদের মতে,প্রায় ৬ হাজার বছর পূর্বে কবুতরের সাথে মানুষের সম্পর্ক হলেও প্রাচীন মিশর,ব্যবিলন,ও লিবিয়ার সভ্যতার সাথে এর যোগসূত্র পাওয়া যায়।জীববিজ্ঞানীদের মতে,রোমানরাই সর্বপ্রথম কবুতরকে শান্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে।
কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম হল Columba livia domestical আর বুনো কবুতর হচ্ছে Columba livia. বাংলাদেশে বুনো কবুতরকে জালালি কবুতর (Rock pigeon) নামে পরিচিত। অনেকেই জংলি কবুতর, কপোত ও গোলা কবুতর বলে।
মূলত ধর্ম প্রাচারক হয়রত শাহজালাল (র.)তিনি আমাদের দেশে এই কবুতর নিয়ে আসেন।এবং তার নাম অনুসারে কবুতরের নামকরণ করা হয়। আর এই কবুতরের প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়া বংশ ধরেই আজকের বুনো বা জংলি কবুতর।
আমাদের দেশে সাধারণত এই বুনো কবিতরগুলোকে রেলওয়ে স্টেশন,ব্রীজের নিচে,পরিত্যক্ত বাড়ি কিংবা লোকসমাগম কম হয় এমন স্থানে বাসা বাঁধতে দেখা যায়। বুনো কবুতর দলবদ্ধভাবে বাস করে এবং ফসলের মাঠে ঝাঁকে-ঝাঁকে নেমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এদের উপপ্রাকৃতিক পাখি (Feral Pigeon) বলা হয়।কারণ পোষা কবুতর ছাড়া পাওয়ার পরই প্রাকৃতিক্রমে এরা বন্য পাখির মত আচরণ করে।
এদের দৈঘ্য সর্বোচ্চ ৩৭ সেন্টিমিটার এবং ওজন ২৩৮ থেকে ৩৮০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।এদের ঘাড় ও গলায় ধাতব আবরণের মত এক ধরনের সবুজ ও গোলাপি ধূসর দাগ কাটা থাকে।ডানায় দুটো চওড়া চিহ্ন থাকে,লাল ব্লাকচেক বা মাক্সি রঙের দেখা যায়। চোখে মনি বেশীরভাগই লালচে আবার কোনটা কালো ধূসর রঙের। এদের ঠোঁটের গঠন ঘুঘু পাখির মত হলেও ঠোঁট মোটা হরিয়াল জাতের আরেকটি বুনো কবুতর পাওয়া যায়।
বুনো কবুতর প্রতিবার ২ টা করে ডিম পাড়ে এবং ১৫ থেকে ১৯ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফোটায়। জলবসন্ত রোগের জন্য এর মাংস খুবই উপকারী।
প্রাচীন ও মধ্যযুগে কবুতরকে জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম মনে করা হত। সেসময় নবাব,রাজা,জমিদার কবুতরের মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করত।কবুতর কখনোই ভুল পথে যায় না কারণ এর শরীরের এক ধরনের কোষ থাকে যা কবুতরকে পথ চিনতে সাহায্য করে।
যাইহোক, বাংলাদেশে মূলত হজরত শাহজালাল (র.) নিয়ে আসা জালালি কবুতরের বংশধর হল বুনো বা জংলি কবুতর। আর এই বুনো কবুতরই হল বিশ্বের সব ধরনের কবুতরের আদি ধারার একটি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

কবুতর নিয়ে চমৎকার কিছু কথা লিখেছেন ভাই। হ্যাঁ আমাদের দেশের রেলওয়ে স্টেশন গুলোতে সব সময়ই কবুতর দেখা যায় তবে মজার বিষয় অনেক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এই কবুতরের গুলোর বাসা তৈরি করে দেওয়া থেকে শুরু করে কমবেশি সব ধরনের সুবিধা দেয়। আমাদের পাশের জেলার রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে এমন কিছু চিত্র দেখেছিলাম।
0.00 SBD,
0.76 STEEM,
0.76 SP
@rex-sumon, what a fascinating post about pigeons! I had no idea about their deep historical connection to humans, especially in the context of Bangladesh and the story of Hazrat Shahjalal (R.A.). The details about the জালালি কবুতর (Jalali Pigeon) and their significance are incredibly interesting.
I especially appreciate the breakdown of their physical characteristics and how they adapt to both domesticated and wild environments. The mention of their historical use for communication is a great reminder of how vital they were before modern technology.
The pictures are also great. Thanks for sharing this insightful look into the world of pigeons. I'm sure many others will find this post as captivating as I did! What inspired you to research and write about this topic?
কবুতর শান্তির প্রতীক।কবুতর দেখলে মনটাতে শান্তি অনুভূত হয়।আপনি আজ কবুতর নিয়ে খুব সুন্দর আলোচনা তুলে ধরেছেন। জানা ছিল কিছুটা আর অজানা ছিল যা কিছু তা জানলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।