বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মুলক পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিতে গাছটির নাম হলো দন্ড কলস। এই গাছটির আরও বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন দল কলস, শ্বেতদ্রোণ, ধুবরি ইত্যাদি আরও অনেক নাম রয়েছে। এই গাছটি বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন রকম নামে পরিচিত। যেমন আমরা ছোট থাকতে এই গাছটিকে মধু গাছ বলতাম। কারণ এই গাছের যে সাদা সাদা ফুলগুলো রয়েছে সেই ফুলগুলো মুখে দিলে মিষ্টি অনুভব হয় আর যার কারণেই আমরা এই গাছগুলোকে মধু গাছ বলে থাকতাম। এই গাছ নানা ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন। আমাদের দেশে ত্রিপুরা আসাম এসব রাজ্যগুলোতে এই গাছের পাতাগুলো শাক হিসেবে খেয়ে থাকে। রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে এই গাছগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মে থাকে। এই গাছের পাতা ও কান্ড বিভিন্ন ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জ্বর,সর্দি,কাশি, ও বাতের ব্যথা সহ আরও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় দন্ড কলস গাছের উপকারিতা অন্যতম। আমার আজকের শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফিটি আমি গ্রামে আমার এক দাদুর বাড়ি ঘুরতে গিয়ে করেছিলাম। দাদুদের বাড়ির সামনে একটি রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তার দুই ধার দিয়ে অসংখ্য দণ্ডকলস গাছ আমি দেখতে পেয়েছিলাম। সেই জায়গায় যেমন অনেক গাছ ছিল তেমনি গাছে সাদা সাদা অনেক ফুল ছিল। আর এগুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে গেছিলো। ছোটবেলায় এই গাছের ফুলগুলো ছিড়ে যখন মুখে দিতাম আর যখন মিষ্টি অনুভব হতো মনে হতো যেন ফুল থেকে মধু খাচ্ছি। আর সেই থেকেই আমরা এই গাছগুলোকে ছোট থেকে মধু গাছ বলতাম। যাইহোক, আমি সেদিনের তোলা সেই দন্ড কলস গাছের ফটোগ্রাফি গুলো আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানিও। তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।





◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্টটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে

আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations @ronggin, your post was upvoted by @supportive.
ফটোগ্রাফির পাশাপাশি এরকম গল্পগুলো যখন থাকে, তখন সেটা শুধু ছবি দেখা না, বরং একটা অনুভব করার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আশা করি, এই ধরনের আরও পোস্ট সামনে পাবো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর স্মৃতিচারণের মেলবন্ধনে আপনার এই ব্লগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
দন্ড কলস কে আমরা কান শিসা গাছ বলে থাকি দাদা। আমাদের এলাকায় এই গাছগুলো আনাচে-কানাচে জমিতে রাস্তার ধারে অনেক দেখা যায়। এই ফুলে অনেক মধু থাকে আমরা তো ছোটবেলায় ফুলের মধু খেতাম সত্যিই অনেক মিষ্টি মধু থাকে ফুলে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এই ফুল গাছ ঔষধীগুণে ভরপুর। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সুন্দর একটি ঔষধি ফুল গাছের বর্ণনা ও ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমাদের চারপাশে ঝোপে জঙ্গলে রাস্তাঘাটে এমন অনেকই ঔষধিগুন সম্পন্ন গাছপালা দেখতে পাওয়া যায় যা আমরা অনেকেই জানিনা। তবে আগেকার দিনের মানুষেরা অনেক কিছুই জানতো। এই দন্ড কলস গাছটির নাম এবং ফটোগ্রাফি প্রথম বার দেখলাম, ভালো লাগলো এই গাছটি সম্পর্কে জানতে পেরে। ধন্যবাদ আপনাকে।