৭ টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম #27 || শখের ফটোগ্রাফি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা। কি অবস্থা সবার। কেমন আছেন সবাই। ঈদ এর ছুটি শেষ ঢাকায় এসে গেছি। তবে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছি কিছু স্মৃতি। গ্রামের কিছু ছবি নিয়ে সাজানো আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি পর্ব। আশা করি সবাই উপভোগ করবেন। মিস করবো আমার গ্রাম কে। দায়ীত্বের জন্য ঢাকায় আগেই ফেরত আসতে হয়েছে। কাল থেকে অফিস জয়েন আমার।
প্রথমে শুরু করছি শত বছর পুরনো একটি গাছের ছবি দিয়ে। এই গাছটির বয়স শত বছরের বেশি। এই গাছটি নিয়ে অনেক ভয়ংকর ঘটনাও আছে। মানুষ রাতের বেলা খুব সাবধানে এই গাছের নিচ দিয়ে যাতায়াত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আগুন নিয়ে যাতায়াত করে। আগুন কাছে থাকলে নাকি ভুত আসেনা। আমি নিজেও এই কাজ করতাম। বাজার থেকে ফেরার পথে দুইটা ম্যাচ কিনতাম। এরপর গাছের কাছা কাছি আসার পর শুরু করতাম ম্যাচ এর কাঠি জ্বালানো। পুরো বাড়ি পৌছানো পর্যন্ত চলতো এই ম্যাচ জ্বালানো। হাহাহা 🤣🤣🤣।
আজকের দ্বিতীয় ছবিটি হচ্ছে আকাশের। আর আকাশ ভালোবাসেনা এমন কেউ নাই আমার মনে হয়। সুন্দর আকাশের দিকে চেয়ে থাকলে মন ভালো হয়ে যায়। এটা সব সময়ই। আপনাদের ক্ষেত্রে কেমন জানিনা। তবে আমি যদি আকাশ এর দিকে চেয়ে থাকি তাহলেই মন ভরে যায় আমার। খুব সুন্দর ভাবে আকাশ উপভোগ করতে পারি। আসলে এমন সুন্দর আকাশ উপভোগ না করে পারা যায়? আমি একটা জিনিশ খুব সুন্দর ভাবে বুঝি সেটা হচ্ছে সব কিছুই আমাদের সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে হবে।
এমন সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে মন চায়। না থুক্কু। ডুবাইতে মন চায়। কারণ যে গরম পরে। যদিও ডুব দিয়ে উঠার পর চেহারা একদম পরিবর্তন হয়ে যাবে। এক ডুবে সুন্দর। দুই ডুবে বিশ্ব সুন্দর। হাহাহা 😂😂😂। কেউ ডুব দিবেন নাকি? খবরদার কেউ আবার আরো বেশি সুন্দর হতে যেয়ে ৩ ডুব দিয়ে ফেলিয়েন না। তাইলে কিন্তু শেষ। ধংশ। মজা করলাম। এগুলো সব কচুরি পানার বাচ্চা। মানে যত সম্ভব মনে হয় এগুলো থেকেই বড় কচুরিপানা হয়। আমি শিউর না। তবে মনে হচ্ছে। কারণ এ ছাড়া আর কি হতে পারে। আবার বলাও যায়না। অন্য কিছুও হতে পারে।
কলার থোর সবাই চিনেন। আপনাদের এলাকার ভাষায় এটাকে কি বলে? দেখতে কিন্তু বেশ। একটু একটু করে থোর খুলবে আর নতুন কলার আগমন ঘটবে। যেমনটা ছবিতেই দেখা যাচ্ছে। এভাবে ভরে উঠবে পুরো থোর। কলা আর কলা। থোর সরাসরিও খাওয়া যায়। অর্থাৎ কলা হওয়ার আগেই কলা খাওয়া যেটাকে বলে। লাইনটা এভাবে হলে কেমন হয় -
কলা তোকে আমি পাকলেও খাবো। তুই না হলেও খাবো। 😂।
গাছ গুলো বিশাল। ঠিক যেনো প্রাকৃতিক শেল্টার। রোদের তাপ থেকে যেমন বাঁচায়। তেমনি প্রাণ ভরে নিশ্বাস নেওয়া যায়। অক্সিজেনে ভরপুর। যেটা এখন আর শহরে আপনি চাইলেও নিতে পারবেন না। এখানের প্রতিটা গাছ অনেক বছরের পুরোনো। একদম মেলে দিয়েছে নিজেকে। তবুও মানুষ গাছ গুলো কেটে ফেলে। এখন তো খুব একটা ঘন দেখা যায়না। আমার ২ বছর আগের ব্লগ যদি কেউ দেখতেন তাহলে বুঝতেন এগুলো আরো কত বেশি ঘন ছিলো। তবে কাটতে কাটতে সব শেষ করে দিচ্ছে। হয়তো সামনের বছর দেখবো আরো পাতলা হয়ে গেছে।
বকুল ফুল। অনেক গুলো কুরিয়ে ছিলাম। প্রথম চবি তুলেছিলাম হাতে করে। তবে সেটি আমার অন্য এক ব্লগে দেখাবো। ফুল গুলো তুলেছি কিন্তু শুরুতে যে গাছ দেখালাম না শত বছর পুরোনো? সেটির নিচ থেকে। অনেক সকাল বেলা যদি যাওয়া যায়। অর্থাৎ ভোর সকালে গেলে একদম ফ্রেশ বকুল ফুল তোলা যাবে। আমি এগুলো কুরিয়ে ছিলাম সকাল ১০ টার দিকে। তাই একটু রঙ পালটে গেছে আরকি। ভোরের ফুল গুলো থেকে সুন্দর ঘ্রান আসে।
এটি সেই গাছ এর ক্লোজ থেকে নেওয়া একটি শট। দেখে বুঝতেই পারছেন। শত বছরের একটা ছাপ রয়ে গেছে। অনেক দিন ধরে গাছটি আছে। আর সব ভুতুরে কাহিনী তো রয়েছেই। কয়েকবার তো আমার এক কাকা আছে উনি এই গাছ এর নিচ দিয়ে এসে ভয় পেয়ে বাসায় এসে অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন। জ্বর এসে গিয়েছিলো ভয়ে। এটিই সেই গাছ।
ক্যামেরা | Oneplus 7t |
---|---|
মোড | ওয়াইড |
ফটোগ্রাফি এরিয়া | চাঁদপুর |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মধ্য বকুল ফুলের ফটোগ্রাফি এবং আকাশের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করার জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই পুকুরে কেউ ডুবে তাকে আর উঠার পর একদম চেনা যাবে না ভাইয়া। একেবারে সবুজের সমারোহ। আর ১০০ বছরের পুরনো গাছে ভূত থাকবে এটা সবাই বিশ্বাস করবে। যাই হোক ভাইয়া গ্রামে গিয়ে দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
একদম সবুজে ভরে যাবে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই পুকুরে যে ডুব দেবে সে উঠার পর তার চেহারা একদম পরিবর্তন হয়ে যাবে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আমার কাছে বকুল ফুলের ফটোগ্রাফিটি বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হিহি। সুন্দরী হয়ে যাবে একদম।
কর্মজীবনের ব্যস্ততার জন্যই আবার শহরে ফেরা। গ্রাম ছেড়ে যাওয়া আসলে অনেক কষ্টের। যাইহোক পুরনো গাছটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটির অনেক বয়স হয়েছে। আর আমাদের গ্রামেও কোন ভৌতিক কিছু হলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতে বলে🤣।আমরা কলার থোড় বলি। বাকি ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।
আসলেও এগুন থাকলে ভয় একটু কম লাগে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৭ টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বকুল ফুলের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাতের ফটোগ্রাফিটা দেখাইনি এখনো। ওটা আরো সুন্দর হয়েছে।
আপনার তোলা এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হলাম। আসলে ফটোগ্রাফি করতে যেমন আমার কাছে ভালো লাগে, তেমনই ফটোগ্রাফি দেখতেও খুব পছন্দ করি আমি। বর্ণনার মাধ্যমে অসম্ভব সুন্দরভাবে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বর্ণনা শেয়ার করার কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফী পরবর্তীতেও দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ আপু। আপনাদের মুগ্ধতাই আমার জন্য অনুপ্রেরণা।
ঈদে গ্রামে গিয়ে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটি ছবি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আর আমরা এখন গাছ কেটে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানে ব্যস্ত। তাইতো দেশের বনাঞ্চল দিন দিন কমে যাচ্ছে। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম আপু। এভাবেই ধীরে ধীরে পরিবেশ এর তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।
রেনডম ফটোগ্রাফি আমার খুব পছন্দের। ফটোগ্রাফি করলে অনেক সুন্দর হয় এবং দেখতেও আকর্ষণীয় লাগে। আপনি বেশ এলোমেলো কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন, যেগুলো কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আকাশের ফটোগ্রাফি এবং গাছপালার ফটোগ্রাফি দেখতে একটু বেশি ভালো লেগেছে। বর্ণনা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে কারণ এর মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
রেনডম ফটোগ্রাফি আমারো খুব পছন্দের। চেষ্টা করি সুন্দর ছবি উপহার দএয়ার জন্য।