হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম ঢাকা সাভার বিশ মাইল এলাকায় ঘোরাঘুরির কিছু ফটো নিয়ে। আশা করব আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

ঢাকায় আসার পর ঢাকার রাজপথে কখনো এমন দৃশ্য দেখি নাই। দীর্ঘ এক মাস ঢাকায় অবস্থান করার পর বেশ দীর্ঘ পথে হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। আর সেই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিরক্তিকর সময় অতিবাহিত করেছি ট্রাফিক জ্যামে। কারণ যেখানে দ্রুত পৌছানোর প্রয়োজন বোধ করেছি সেখানে 10-20 মিনিট লেট হয়েছে তারও বেশি তে কম নয়। আর ঈদের আগে রাস্তায় এমন অবস্থা হয়ে গেছিল সে ট্রাফিক জ্যাম। বিশেষ করে আমি যেখানে দেড় ঘন্টায় রাস্তা পার হয়ে গন্তব্যে যাব, সেখানে তিন ঘন্টা পার হয়ে গেছে। তবে সব কিছুর মাঝে স্বস্তির জন্য এদিকে বিকেলে হাটার অভ্যাস এজন্য পান ধোয়া বাজার থেকে হাঁটতে হাটতে চলে আসি বিশমাইল ফ্লাইওভারের কাছে। কোনদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে আবার কোন দিন এই দিকে এভাবেই বিকেল মুহূর্ত হাটাহাটি করা ব্যায়াম করা এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা হয় মানসিক প্রশান্তির জন্য। ঠিক তেমনি কালকে বিকেলে টিকিট কাউন্টারে দেখা করতে গিয়েছিলাম যেহেতু বাড়ি যেতে হবে। আর এই মুহূর্তে বিশমাইল ফ্লাইওভারে এসে যা দেখলাম সত্যি আশ্চর্যজনক।



এদিকে ওদিকে হাটাহাটি করে এসে আমি প্রায় ওভারের উপর কিছুক্ষণ দাঁড়ায় হালকা শীতল বাতাসের জন্য। ঠিক তেমনি কাল সন্ধ্যায় উপস্থিত হলাম। কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম ঈদের আগে আর রাস্তায় কোথাও ফাঁকা লক্ষ্য করা যেত না। গাড়ি আসতেই থাকো সবসময়। সব সাইট দিয়ে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে মানুষজন গ্রামে বেশি চলে চাপায় রাস্তায় তত বেশি ভিড় নাই। প্রথম দিন যখন এসেছিলাম রাস্তা পার হতে গিয়ে বেশ হিমশিম খেয়ে গেছিলাম। ফ্লাইওভারটা থেকে একটু দূরে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছিল। তাই রাস্তা ক্রস করতে প্রায় পাঁচ সাত মিনিট লেগে গেছিল। আর এখন রিলাক্স, এক মিনিটে পাঁচ বার যাওয়া আসা করা যাবে।



কিছুদিন অনুভব করেছি দিনকাল যেন যায় না। আবার কিছুদিন অনুভব করছি দিনকাল যেন থামেনা। এইতো সাত দিন আগে ফ্লাইওভারের উপরে দাঁড়িয়ে থেকে ঠান্ডা বাতাস অনুভব করলাম কারন ঐদিন বেশ গরম ছিল। কালকে ফ্লাইওভার এর উপরে যখন আসলাম তখন আবহাওয়া বেশ অনুকূলে ছিল মনে হল কারণ ঠান্ডা আবহাওয়া। বিকেলের এমন মুহূর্ত আমি খুবই ইনজয় করতে পছন্দ করি তবে সেটা আমার গ্রামের পুকুর প্রান্তে। তবে এখানে এসে আজকে যেন বেশি ভালো লাগার ছিল মনের মধ্যে। কারণ এতদিন যেমন ট্রাফিক জ্যাম গাড়ির পর গাড়ি মানুষের উপর মানুষের দৌড়াদৌড়ি এগুলো চোখে তেমন আসেনি। প্রথমত ছিল এদিকে ওদিকে সবদিকে গাড়ি। ঈদের দু চার দিন আগে ঢাকা মুখে গাড়ি নেই খুবই কম ফাঁকা রাস্তা আর ঢাকার বাইরের দিকে ট্রাফিক জ্যাম।


তবে যাই হোক এখনকার পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছিল দেখে। এদিকে ঠান্ডা আবহাওয়া ঝিরিঝিরি বাতাস। মানুষজনের উপস্থিতি কম। রাস্তায় গাড়ি কম। যেন এক অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতি। এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করে সবশেষে ফ্লাইওভারে এসে একটু শীতলা হাওয়া গ্রহণ করা। এরপর দোকান থেকে আইসক্রিম খাওয়া। লটকন কিনে খাওয়া। সব মিলে যেন অন্যরকম ভালোলাগা।



পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিষয় | ঘোরাঘুরি ও ফটো ধারণ |
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ঈদের সময়টা হলে ঢাকা অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। আমরাও ঢাকায় ঈদ করে এখন গ্রামে আছি। এই সময়টাতে ঢাকায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। কারণ সচরাচর সেরকম কোন ট্রাফিক থাকে না। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ, এই সময়টা জ্যাম কমে যায়
এমন পরিবেশ আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি। কেননা ঈদের সময় সকলের বাড়িতে চলে যায় তাই ঢাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা থাকে। সত্য কথা বলতে এমন ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভালই লাগে।
হ্যাঁ ফাঁকা পরিবেশে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে
ঢাকার রাস্তা এখন যথেষ্ট ফাকা থাকার মূল কারণ হলো, সকল মানুষ ঈদ উপলক্ষে বাসায় চলে এসেছে। হয়তো আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ঢাকায় আবার মতোই ভিড় জমে যাবে। ঢাকায় বসবাস করা বেশিরভাগ মানুষ গ্ৰাম এলাকার।তারা ঈদের সময় গ্ৰামের বাসায় চলে এসে। একারণেই ঈদের সময় ঢাকা অনেক টা ফাকা থাকে
একদম ঠিক ধরেছেন
বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট পড়ে। ঢাকা শহর সব সময় জ্যাম হয়ে থাকে আর এখন ঈদ উপলক্ষে মানুষজন গ্রামে চলে এসেছে তাই ফাঁকা। আর এই মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তির জন্য আর প্রয়োজনে ঘুরতে এসেছেন এখানে। অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর এই মুহূর্ত দেখে।
হ্যাঁ ঈদের সময় বেশ ফাঁকা হয়ে যায় তাই ঘোরাঘুরি করা ও সহজ।
রাজধানী শহর ঢাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে চলে গেছে। যার ফলে রাজধানী ঢাকা ঈদের সময় হয়ে যায় ফাঁকা। তবে ঈদের সময় যারা রাজধানীতে থাকে তারা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে খুবই স্বস্তি অনুভব করে। ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেছে ধীরে ধীরে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই রাজধানী শহর ঢাকাতে আগের চিত্র ফিরে আসবে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই মানুষের চলাচল লক্ষ্য করেছি
এই ঈদের সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে যায়। বেশীর ভাগ মানুষ কুরবানী দিতে বাড়ি চলে যায়। আর এ সময়টাতে ঢাকাকে ভীষণ ভালো লাগে আমার।এ সময় রিকশা নিয়ে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি ওভারব্রিজে উঠে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বেশি লক্ষ্য করেছি ঈদের মুহূর্তে
মানুষের উপস্থিতি কম থাকলে সেই জায়গাটা আসলেই ভালো লাগে ভাই। তাছাড়া আপনাদের ঢাকার এত নিরিবিলি দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। আসলে ঈদের দিনগুলোতে যখন সবাই গ্রামের বাড়ি ঘুরতে চলে যায় তখন এরকম দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়। বিভিন্ন প্রকার ভিডিও বা খবরেও আমি এই বিষয়টা দেখেছি। যাইহোক, আপনি যে ঢাকা শহরের এরকম দৃশ্যের মধ্যে ওভারল অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন, এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাই ফাকা পরিবেশটা ঈদের সময় দেখা যায়।