ফটোগ্রাফি পোস্ট||সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম||
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
ফটোগ্রাফি করা আমার একটি নেশা বলতো পারেন। আর ফটোগ্রাফিকে আমি একটি আর্ট ও মনে করি। কেননা এই ফটোগ্রাফির মধ্যেও মনে অন্য রকম একটা প্রশান্তি অনুভব করা যায়। কোথাও কোন সৌন্দর্যপূর্ণ জিনিস দেখলেই সেটি ক্যামেরাবন্দি করে নেই আমি। এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি যদিও বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না কিন্তু আমি আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি আমার করা ফটোগ্রাফি গুলি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণীয় করার জন্য। আশা করি আপনারা আমার করা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের নিজস্ব মন্তব্য জানাবেন। চলুন তাহলে এবার ফটোগ্রাফির পর্ব টি শুরু করি।
আমার উপরের ফটোগ্রাফিতে যে রাস্তাটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে আমাদের রংপুর বিভাগের রংপুর জেলা টু বদরগঞ্জ পৌরসভার হাইওয়ে রাস্তা। একটা কাজে হঠাৎ শহর ঢুকছিলাম হঠাৎ রাস্তায় সুন্দর দৃশ্যটি আমার চোখে পড়ে গেল। সেখান থেকেই ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যাতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। আসলেই রাস্তার দু ধার দিয়ে যদি বৃক্ষ থাকে তাহলে সেই রাস্তার সৌন্দর্য এমনিতেই বেড়ে যায়। কেননা বৃক্ষের ছায়া রাস্তার উপরে পড়ে যার ফলে রাস্তা মোটামুটি শীতল থাকে। যাই হোক ওপরের ফটোগ্রাফিটি আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
গ্যালোরি ফুল আমরা অনেকেই দেখেছি। এই ফুল কম বেশি সবারই অনেক প্রিয় হয়ে থাকে।কিন্তু দাম অনেক বেশি হওয়ায় কেনা টা সবার সাধ্যের বাইরে থাকে।কিন্তু আমরা গ্যালোরি ফুলের গাছ অনেকেই দেখিনি।উপরের ফটোগ্রাফিতে গেলোরি ফুলের বাগান তুলে ধরেছি।ফুলের কলি হয়ে গেছে আর কিছুদিন পরেই ফুল বের হবে।
এবারের ফটোগ্রাফিতে আমার পছন্দের একটি জিনিস দেখতে পাচ্ছেন। মাছ আমি এমনিতে তেমন একটা পছন্দ করি না তবে গলদা চিংড়ি আমার হেভি পছন্দ লাগে। ভুনা করে একটু একটু ঝোল রেখে যদি রান্না করা যায় তাহলে তো পুরা খাবার জমে যাবে। বেশ মাসখানেক আগে পৌরবাজার গিয়েছিলাম তো সেখান থেকে এক কেজি মত গলদা চিংড়ি কিনেছিলাম। সেখান থেকেই এই ফটোগ্রাফিটি করা। পছন্দের জিনিস কিনবো আর ফটোগ্রাফি করবো না তাই কি হয় বলেন?
এটা হচ্ছে আমার চাচাতো বড় ভাইয়ের জুতার দোকান। তার দোকানে বিভিন্ন রকম জুতার কালেকশন রয়েছে। আর সব থেকে ভালো লেগেছে আমার তার দোকানের ডেকোরেশনটা। বাহির থেকে দোকানটিকে দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। এই ফটোগ্রাফিটি ও দোকানের বাহির থেকে করেছিলাম।
আলোক সজ্জিত একটি গেট।দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে।ভাবছেন এটা কোথাকার?ভাবনার কারণ নেই বন্ধুরা বলেই দিচ্ছি আমি,এটি হচ্ছে রংপুর সেনানিবাসে প্রবেশের মূল গেট।আর ফটোগ্রাফি টি করেছি রাতের বেলায়।রাতে ঝাড়বাতি দিয়ে দারুন ভাবে গেট টিকে সজ্জিত করে রাখে।সেখান থেকেই ফটোগ্রাফি টি করা।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমাদের রংপুরের শাপলা চত্বর।রাতের আলোক সজ্জিত রংপুর শাপলা চত্বর।এখন মোটামুটি সব কিছুই আধুনিকায়ন হয়েছে।সব দিক থেকেই সব কিছু তে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে গেছে।একটা সময় এমন ধরনের কিছুই ছিলনা,আজ অনেক টা উন্নতির দিকে এগিয়ে , উত্তরবঙ্গের জেলা রংপুর।
এটি হচ্ছে রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা থেকে করা ফটোগ্রাফি। যারা শিল্প বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম রংপুরের। তারা অবশ্যই বুঝে গিয়েছেন এই ফটোগ্রাফিটি কোথাকার। এটি হচ্ছে বাণিজ্যমেলার ভেতরের দিক থেকে গেটের পিছনের দিকের ফটোগ্রাফি। এটা অবশ্যই মানতে হবে যে আকাশ যদি তার অরিজিনাল রংয়ে তথা নিল রঙের থাকে তাহলে যেকোন জায়গার ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়। আর এই ফটোগ্রাফিটিকে সুন্দর দেখানোর আরো একটি কারণ হচ্ছে গেট দিয়ে ঢুকেই প্রথমে একটি ঝর্ণার সৃষ্টি করা হয়েছিল পুকুরে। যার কারণে আরো ভালো লাগছিল। রাতে এটা দৃশ্য আরো সৌন্দর্যমন্ডিত হয়।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
আমি মোঃ শাহিদ ইসলাম। আমি রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় বসবাস করি। আমি একজন বাঙালি হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে এবং বাংলায় নিজেকে প্রকাশ করতে ভীষণ রকম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বর্তমানে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC )ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স এবং মাদ্রাসা থেকে ফাজিল করতেছি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড ব্লগার। সংকল্প নিয়েছি এমনভাবে ব্লগিং করব যাতে প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সাফল্যের ভাগীদার হতে পারি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব। তাছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কনটেন্ট লেখা-লেখি,কবিতা লেখা ,আর্ট করা ,ওয়ালমেট তৈরি , অরিগামী ডিজাইন, ফটোগ্রাফি করা ,গজল-গান কভার করা,ভ্রমণ করা,রেসিপি রিভিউ সহ সব রকম কাজ করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই বড়দাদা এবং ছোট দাদাকে।
vote@bangla.witness as a witness
ফটোগ্রাফি তো আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি পছন্দ করি তবে আপনি আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি করার পাশাপাশি চিংড়ি মাছের যে ফটোগ্রাফি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
ফটোগ্রাফি করা আমার বেশ পছন্দের ভাই। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার নয় তাও চেষ্টা করি ভালো করার। সুন্দর করে মন্তব্যটি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গাড়ির মধ্যে থেকে রাস্তার ফটোগ্রাফি টা দারুন হয়েছে ভাইয়া। এলোমেলো ভাবে আপনি অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। রাতের বেলা শাপলা চত্বরে দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে শেয়ার করেছেন। যেখানে বেশ কিছু পর্যায়ের সুন্দর সুন্দর ফটো দেখতে পারলাম। প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে যেমন ফটো ধারণ করেছেন তেমনি মার্কেট থেকে ফটো ধারণ করেছেন। আর এভাবেই সাজিয়ে তুলেছেন আজকের ব্লগ। এত সুন্দর ব্লগ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও কিন্তু একের পর এক সুন্দর শব্দ চয়ন করে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। চিংড়ি মাছ গুলো ভাজি করলে খেতে নিশ্চয় বেশ ভালো লাগবে। রাতের আলোক সজ্জা দেখে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জি ভাই গলদা চিংড়ি আমার ভীষণ পছন্দের একটি মাছ। আম্মু সেটা রান্নাও করেছিলেন ভীষণ টেস্ট হয়েছিল। ধন্যবাদ।
খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে হাইওয়ে রাস্তার ফটোগ্রাফি এবং আপনার চাচাতো ভাইয়ের জুতা দোকানের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
রাস্তা টা বেশ সুন্দর লাগছে। একেবারে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত রাস্তা। আপনি যেটার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ঐটা গলদা চিংড়ি না। গলদা চিংড়ি অনেক বড় হয় থাকে। ওটাকে চাকা বা কুচো চিংড়ি বলে। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
রংপুর সেনানিবাসের গেটের ফটোগ্রাফিটি খুবই সুন্দর লাগছে। আলোকসজ্জা গুলো দেওয়ার কারণে দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। চমৎকার সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আলোকসজ্জা দিয়ে যেকোনো জায়গায় সাজালে আসলেই কিন্তু দেখতে ভালো লাগে আপু। দুর্দান্ত মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।