On the way to Bandarban - ফটোগ্রাফি #৫
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আজ চলে এলাম বান্দরবান ফটোগ্রাফির পঞ্চম পর্ব নিয়ে। প্রথমে দুঃখের সাথে প্রকাশ করছি যে আজকে রাতে বান্দরবানে একটি বড় ধরনের ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটেছে। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন ফেসবুকে ঢুকেই নিউজটা চোখে পড়ল। এই কান্ডটা ঘটিয়েছে কুকিচীন সন্ত্রাসীরা।
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে তারা রাত্রে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে তুলে আনে। এরপর লকারের চাবি হাতিয়া নেয়। দায়িত্বরত সকল গার্ডদেরকে জিম্মি করে তাদের অস্ত্র কেড়ে নেয় এবং ব্যাংকের লকার খুলে টাকা পয়সা সব নিয়ে যায়।নিউজে এখন পর্যন্ত প্রকাশ পায়নি কত টাকা নিয়েছে তারা। নিউজে দেখলাম তাদের নাকি ৭০-৮০ জনের একটি দল এসেছিল যার কারণে গার্ডরা কিছু করতে পারেনি। এই ঘটনাটি ঘটেছে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায়। যাই হোক বিষয়টি দুঃখজনক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করছে কারণ তারা ম্যানেজারকেউ ধরে নিয়ে গিয়েছে।
আশা করছি খুব দ্রুতই বিষয়টির সমাধান হবে। যেহেতু আজকের ফটোগ্রাফি টপিক্স ও বান্দরবানকে ঘিরেই। তাই বান্দরবানের নিউজটা আগে শেয়ার করে নিলাম। তাহলে চলুন দেখে নিই আজকের দশটি ফটোগ্রাফি।
বিষয়: অল্প পানির স্রোত পাথর ঘেঁষে বয়ে চলেছে অনবরত।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: পিওর নেচার। এখানে ফ্রেশ অক্সিজেন পাওয়া যায়।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: ঝিরিপথের পাশে অনেকটা জঙ্গলের মত জায়গাটা।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: সরু পথ দিয়ে বহমান স্বচ্ছ পানি।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার ভেলা।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: শুষ্ক ও রুক্ষ এই জায়গাটা বর্ষার সময় ঝিরির পানিতে কানায় কানায় ভরে উঠবে।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: কয়েকজন বালক বড় বড় গাছের গুড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: এই বালুকায় ট্রাভেলারদের পদচিহ্ন লেগে আছে।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: এরকম অসংখ্য গাছের দেখা মিলবে কিন্তু প্রত্যেকটি গাছই সুন্দর।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
বিষয়: এই জায়গাটির পানি কিন্তু স্থির নয়। অনেক প্রশস্ত হওয়ায় মনে হচ্ছে এটি আবদ্ধ কোন একটি লেক।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
তারিখ: জানুয়ারি ২০, ২০২৪
লোকেশন: রেমাক্রি, বান্দরবান।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

এতজন সন্ত্রাসীদের সামনে গার্ডদের তো কিছুই করার ছিলো না। নিউজটি শুনে আসলেই খুব খারাপ লাগলো। আশা করি সেনাবাহিনীরা খুব দ্রুত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে উদ্ধার করবে এবং লুটপাট করা টাকা পয়সাও ফেরত আনতে সক্ষম হবে। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এমন মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গতকাল বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতির পর, আজ আবার থানচিতে দিনে দুপুরে দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে। আবার অশান্ত হয়ে উঠছে পার্বত্য অঞ্চল ! বান্দরবানের সিরিজ ফটোগ্রাফি পোস্টের ৫ম পর্বে দারুণ সব ফটো শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রতিটি ছবিই ঝকঝকে সুন্দর হয়েছে।তবে ভেলার ছবিটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে। বান্ধরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ব্যাংক ডাকাতির খবর টা আমার নজরেও এসেছিল। তবে ওখানে যে এতো বড় একটা পরিকল্পনা ছিল এতো মানুষ জড়িত ছিল সেটা জানতাম না। মনে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফল এই ডাকাতি। বান্দরবনের আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল ভাই। কী অসাধারণ চারিদিক। কী সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ কী চমৎকার লাগছে। সবমিলিয়ে বেশ দারুণ ছিল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভাই।
সকালবেলা নিউজ পেপারে বান্দরবানে ব্যাংক লুটের ঘটনাটি পড়েছি। তবে বিস্তারিত পড়া হয়নি। আশা করি সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের ধরে ম্যানাজারকে উদ্ধার করতে পারবে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম। সব গুলোই চমৎকার চয়েছে। তিনটা বাচ্ছা বড় বড় দুটি গাছ নিয়ে যাচ্ছেন। পানি বেশি থাকলে তাদের এত কষ্ট হতো না। ধন্যবাদ।
বান্দরবানের এই পাহাড়ি ছরাগুলো বেশ শান্তির জায়গা। পাথরের সাথে কুল কুল করে বয়ে চলা পরিষ্কার ঠান্ডা পানির স্রোত সমস্ত ক্লান্তি ভূলিয়ে দেয়।
নদীপথে গাছ বাঁশ পার করে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সহজ মাধ্যম নদী
এখন আবার মনে হয় এই গরমে ওই পানির স্রোতে যদি গা ভাসাতে পারতাম!!
স্নিগ্ধ শান্ত শীতল পরিবেশ।