রাতের কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের কিছু ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ১৮ ই এপ্রিল,শুক্রবার, ২০২৫খ্রিঃ



কভার ফটো


1000041927.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজকেও হাজির হয়েছে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকি। তবে ফুল ও প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশি ভালো লাগে। আজকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে হাজির হয়েছি। সেদিন বোনকে আনার জন্য কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে বেশ অনেকটা সময় বসে ছিলাম। তখনই বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার। সেগুলি আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।



ফটোগ্রাফি নং-১


1000041928.jpg

আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কাঠ গোলাপ গাছের ফটোগ্রাফি। কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে খুব সুন্দর একটি কাঠ গোলাপ গাছ রয়েছে। এই কাঠ গোলাপ গাছ এই স্টেশনের অনেকটা সৌন্দর্য বহন করে চলে। প্রতিদিন এই কাঠ গোলাপ গাছের নিচে অনেকে এসে আড্ডা দেয়। এই গাছের নিচে একটি সুন্দর টি স্টল রয়েছে। চারিপাশে বিভিন্ন দোকানপাট রয়েছে। গাছের সবুজ পাতার মধ্যে থোকায় থোকায় ফুটে থাকা কাঠগোলা ফুল যেন অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক।কুষ্টিয়ার এই কোর্ট স্টেশন কুষ্টিয়ার মানুষদের কাছে অনেক প্রিয়। কাঠগোলাপ ফুল আমার এমনিতেই অনেক পছন্দ। কাঠগোলাপ ফুলের গাছটার কারণে স্টেশনটি আমার বেশি ভালো লাগে।

ফটোগ্রাফি নং-২


1000041929.jpg


আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে স্টেশন চত্বরে ফটোগ্রাফি। আমি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করেছিলাম। টাইমের অনেকটা আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম জন্য সেখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আসলে আমি আগে গিয়েছি ব্যাপারটা এমন না ট্রেন দেরি করে এসেছে। কুষ্টিয়া বড় স্টেশনে ট্রেন বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল সেজন্যই পৌঁছাতে লেট করেছিল। ততক্ষণ স্টেশন চত্বরে অনেক মানুষ। পরপর দুটি ট্রেন হয় মানুষের ভিড় যেন উপচে পড়ছিল।সেদিন আবহাওয়াটাও বেশ ঠান্ডা ছিল। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া এসব মানুষের মাঝে সময় কাটাতে দারুন লাগছিল।

ফটোগ্রাফি নং-৩


1000041930.jpg

আমার তিন নাম্বার ফটোগ্রাফিতে রয়েছে রেললাইন। এটাই হলো কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন এর রেললাইন। কুষ্টিয়া স্টেশনের উপর দিয়ে একটি রেল লাইন বয়ে গেছে। এখানে আরেকটি ট্রেন লাইন না থাকায় অনেকটা অসুবিধা পোহাতে হয়। কুষ্টিয়ার মত এত বড় একটি জায়গার জন্য আরেকটি রেললাইন থাকা প্রয়োজন ছিল। আর প্লাটফর্মটা অনেক নিচে যার কারনে মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়ে থাকেন।তবে অন্যান্য রেললাইন থেকে আমাদের কুষ্টিয়া রেল লাইনটা বেশ পরিষ্কার। রেললাইন দিয়ে হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগে। সেদিন আমার সাথে কেউ থাকলে আমি অবশ্যই রেল লাইন দিয়ে হাঁটতাম। কেউ না থাকাই শুধু ফটোগ্রাফি করেই সময় পার করেছি।

ফটোগ্রাফি নং-৪


1000041931.jpg


আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে ট্রেন। ট্রেনটি হলো লোকাল ট্রেন। এ ট্রেনে বাবা আর বোন এসেছিলো।এই ট্রেনটির জন্য অপেক্ষা করেছিলাম দীর্ঘ সময়ে। রাতের এই ট্রেনটা অনেক তাই ফাঁকা থাকে। আপনার এত ফটোগ্রাফিতে দেখতেই পাচ্ছেন। লোকজন থাকে না বললেই চলে। যাতাযাতে জন্য ট্রেনটি আমার কাছে খুব পছন্দের। যদিও ট্রেনটি লোকাল বলে অনেক জায়গা ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে আমাদের খোকসা থেকে কুষ্টিয়া আসার জন্য সন্ধ্যার ট্রেন সবথেকে ভালো এবং নিরাপদ বলে আমার মনে হয়। কোন প্রকার ভিড় বা ঠেলাঠেলি কিছুই থাকে না। খুব বেশি সময় লাগে না আসতে। বেশ আরামদায়ক। আমি এমনিতেও ট্রেন ভ্রমণ অনেক পছন্দ করি।


ফটোগ্রাফি নং-৫


1000041932.jpg

আমার পাঁচ নাম্বার ফটোগ্রাফি তে রয়েছে একটি চাঁদের ফটোগ্রাফি। স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিলাম হঠাৎই চোখ পরল এই চাঁদের দিকে। অনেকদিন হলো রাতের বেলা বাইরে যাওয়া হয় না। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখা হয় না। হঠাৎ করে চাঁদ দেখে বেশ আনন্দ লাগলো। রাতের চাঁদ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার মনে হয় শুধু আমি না অনেকেই চাঁদ পছন্দ করে। কুষ্টিয়াকোট স্টেশনে ঠিক মাঝ বরাবর দিয়ে চাঁদটি দেখতে অনেক চমৎকার লাগছিল। প্রথমে আমিই ফটোগ্রাফি করা শুরু করি। তারপর দেখলাম আমার দেখাদেখি অনেকেই চাঁদের ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত। চাঁদটি আসলেই সুন্দর ছিলো।


ফটোগ্রাফি নং-৬


1000041933.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন লেখা একটি সাইনবোর্ড। এটাকে কি বলে আমার জানা নেই। আমি তো সাইনবোর্ড বলেই আখাহিত করলাম। এটা সঠিক নাম জানলে কেউ বলবেন। এই নামটি দেখেই বোঝা যায় এটি কোন স্টেশন। সব স্টেশনেই এরকম স্টেশনে নাম লেখা রয়েছে। এই বিষয়টি যাত্রীদের জন্য বেশ সুবিধা জনক। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না আমরা কোন স্টেশনে যাচ্ছি। এই নামগুলো দেখলে সহজে বোঝা যায়। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।


ফটোগ্রাফি নং-৭


1000041934.jpg

আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে কাঠগোলাপ গাছ সঙ্গে চাঁদ। চাঁদটি দেখতে ভারী সুন্দর লাগায় বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করছিলাম। তখনই মাথায় এলো এরকম ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার। অনেক চেষ্টা করেও চাঁদটি কাঠগোলাপ গাছের মাথার উপরে নিতে পারেনি। স্টেশনের সাইডে নামতে পারলে হয়তো আনতে পারতাম। কিন্তু সেরকম কোন উপায় ছিল না। তাই গাছটির মাঝামাঝি চাঁদ কে এনেই ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আমি করেছিলাম। তবে সবগুলোর মধ্যে এই ফটোগ্রাফিতে অনেক কিছুই আনতে পেরেছি। সেজন্য আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন।

আজ এই পর্যন্তই।

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:১২ ই এপ্রিল ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last month (edited)

যাদের ফটো তোলার জ্ঞান আছে তারা ফটো তোলার সময় সেই সবই খেয়াল করে থাকে যা তারা শিখেছে।

এখানে আপনি রাতের ছবি ক্যাপচার করেছেন ঠিকই তবে কোন ছবি দেখে মনেই হচ্ছে না যে আলোর কমতি আছে। খুব সুন্দর আপনার ছবি তোলার হাত যা স্বীকার করতেই হয়। ধন্যবাদ জানাই। প্রতিটা ছবি অসাধারণ হয়েছে৷

 last month 

অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কাঠগোলাপ ফুলের গাছটা দেখে কুষ্টিয়া স্টেশনটাকে ভীষণ মিস করছি। যখন মন ভাল থাকত না তখন কুষ্টিয়া স্টেশনে গিয়ে একা একা বসে থাকতাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

এই জায়গাটা আমার অনেক পছন্দের। আমার খুব পছন্দের জায়গাগুলোর মধ্যে এইটা একটা। কতশত স্মৃতি রয়েছে এই জায়গাটাই। স্টেশনের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লাগল আপু। চমৎকার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।