কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৯ এপ্রিল,বুধবার , ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজ আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রত্যেক সপ্তাহে দুইটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। চলুন তাহলে দেরি না করে আমার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে গমের শিশির ফটোগ্রাফি। অনেকদিন আগেই ছবিটি তুলেছিলাম। আমাদের গম খেত থেকে তুলেছিলাম। সূর্য পাটে যাওয়ার অবস্থা। আকাশটা তখন রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগছিল। আমাদের অঞ্চলে অনেকেই গম চাষ করে থাকেন। গম চাষে অনেক লাভ আছে। গমের এই শীষগুলো বেশ ধারালো হয়। ধারালো শীষে হাত বুলাতে বেশ ভালো লাগে। গম খেতের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর নানান ধরনের ফটোগ্রাফি করছিলাম। সেই সময়টুক করে রক্তিম বর্ণের সূর্যের সঙ্গে গমের শীষের দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে আমাদের সকলের অতি পরিচিত ঘুড়ি। এই ঘুড়ি মনে করিয়ে দেয় আমাদের অতীত কথাকে। আমরা যখন আমাদের পুরনো বাড়িতে যেতাম সবাই বাড়ির সামনে এসে ঘুড়ি ওড়াতো দেখতে যে কি ভালো লাগতো কি বলবো। আমার মনে আছে , একবার ছোটবেলায় কারোর একজনের ঘুড়ি কেটে আমাদের উঠানে এসে পড়েছিল। সেটা আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম। পরে মনে হয়েছিল এটা উচিত হয়নি। গরমের এই সময়টাতে অনেকেই আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে থাকেন। রংবেরঙের ঘুড়ি গুলো যখন আকাশে উড়তে থাকে তখন যেন আকাশের দৃশ্য টাই পাল্টে দেয়। ফটোগ্রাফিটি ক্যাম্পাস থেকে ক্যাপচার করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার তিন নাম্বার ফটোগ্রাফি তে রয়েছে রাতের বাঁকা চাঁদ। রাতের চাঁদ রাতের সবথেকে সুন্দর দৃশ্য। যখন পূর্ণিমা থাকে সম্পূর্ণ চাঁদ তখন বেশি সুন্দর লাগে। কিন্তু বাঁকা চাঁদের ও যে আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। রাতের বেলায় বোন আর আমি মিলে গল্প করতে করতে হাটাহাটি করছিলাম। বেশ বাতাস উঠেছিল বাইরে। উঠানে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক ভালো লাগছিল। তখনই চোখে পড়েছিল এই বাঁকা চাঁদের হাসি। সামনাসামনি দেখতে আরো বেশি চমৎকার লাগছিল। নারিকেলের ওই চিরল চিরল পাতার ফাঁক দিয়ে হাসি যেন ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ছিল। চমৎকার দৃশ্যটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে লাউ ফুলের ফটোগ্রাফি। গ্রামের বাড়িতেই সময়টাতে অনেকের বাড়িতেই লাউ চাষ করা হয়। বাড়ির যে কোন পাশে বাঁশবা কঞ্চি দিয়ে এই লাউয়ের গাছ উঠিয়ে দেওয়া হয়। যেটাকে গ্রামীণ ভাষায় জাঙলা বলে। সেখানে অনেক লাভ হয়ে থাকে। সঙ্গে লাউয়ের সাদা ফুল গুলো দেখতে বেশি চমৎকার লাগে। অপূর্ব সৌন্দর্যে সজ্জিত থাকে বাড়ি উঠানগুলো। গ্রাম মানেই সুন্দর। গ্রামের এই সুন্দর দৃশ্যগুলো আসলেই মনমুগ্ধকর।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
বেশ কিছুদিন আগে পিসিমণির বাসায় গিয়েছিলাম সেখানেই ছাদে গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। চমৎকার বললাম কারণ ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। ফটোগ্রাফি থেকে বাস্তবে সেদিনকার দৃশ্য অপূর্ব সুন্দর ছিল। সুনীল আকাশটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।পরিষ্কার আকাশ কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছিল। রংটা যেন আরো গারো দেখাচ্ছিল। আর মাঝে মাঝে চোখে পড়ছিল সাদা মেঘ। অপূর্ব সৌন্দর্যের সরজিত ছিল সেদিনকার সুনীল আকাশ।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কলাগাছের ফটোগ্রাফি। আমাদের মাঠে যাওয়ার সময় এরকম একটা ছোট কলা বাগান করে। সূর্যটা কত সুন্দর তাই না। আমি আর বোন ভেবেছিলাম সেদিন মাঠে যাব। যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যা ৩০ মিনিট মতো আগে মাঠে গিয়েছিলাম। যেতে দেখি এরকম সুন্দর সূর্য চোখে পড়ে। মাঠে যাওয়ার পথের পাশেই এই ছোট কলাবাগান এবং বাঁশবাগান দুটোই অপূর্ব সুন্দর লাগে। এসব সৌন্দর্যের মাঝে বিকেলের সূর্যটা ছিল অন্যরকম পাওয়া।
ফটোগ্রাফি নং-৭
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে পড়ন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি। পড়ন্ত বিকেলে যখন সূর্যপটে যায় সূর্যের এই রক্তিম বর্ণমুগ্ধ করে। চারি পাশ যেন লাল হয়ে যায়। অপূর্ব সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো মুশকিল। প্রতিদিন বিকেলে এরকম সৌন্দর্য দেখা না গেলেও মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে এরকম সৌন্দর্য। সেদিন মাঠ থেকেও এরকম সৌন্দর্য চোখে পড়ে অনেক ভালো লাগছিল। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের কাছে হেরে যাই সবকিছু।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


দারুন সব ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন আপনি। প্রথম ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও অসাধারণ ছিল। নীল আকাশ আমার বেশ পছন্দ। আপনার ফটোগ্রাফি তে নীল আকাশ দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1909868580692541949?t=vRNnnN58qH4YE9VtsDsp6g&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1909869367564943496?t=kzoOdwGty8eLNMgKoGhWkg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1909870156979024275?t=EaXF14MsPjcAk7rs8YKXZA&s=19
ঘুড়ি উড়ানোর পারফেক্ট সময় এখন! ছোট বেলায় অনেক ঘুড়ি উড়িয়েছি আসলে। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। নীল আকাশের ফটোগ্রাফিটাও দারুণ ছিল
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলাম প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ছোটবেলায় আপনিও ঘুড়ি উড়াতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই ঘুড়িটা পালিয়ে রাখাটা বেশ ভুল ছিল। তবে ছোটবেলায় এতসব মাথায় থাকতো না। ঘুড়ি মানেই উড়ে বেড়ানোর হাতছানি ঘুড়ি মানেই আনন্দ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি জাস্ট চমৎকার ছিলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পেরেছি আপনি বেশ দক্ষ । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সবসময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকের প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। তবে প্রথম ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লাগে। সবগুলো ফটোগ্রাফি একদম ক্লিয়ার হয়েছে বলে দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আজকের প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। একদম প্রথমে যেই ছবিটা শেয়ার করেছেন সেটার মধ্যে আলাদাই আর্টিস্টিক ভাব রয়েছে। খুব সুন্দর অ্যাঙ্গেল করে তুলেছেন ছবিটি। আর ঘুড়িও লাটাই এর ছবিটা দেখে তো নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বরাবরই খুব ভালো লাগে দেখতে।
আজকে আপনি খুব চমৎকার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে পদন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি এবং লাউ ফুল এর ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লাগলো। এবং আপনার অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আমাদের মাঝে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলি সত্যিই অসাধারণ।প্রতিটি ছবির মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আপনার দক্ষতা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে গমের শীষ এবং ঘুড়ির ছবি খুবই সুন্দর।মনোমুগ্ধকর সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।