এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি।

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২১ জুন , শনিবার, ২০২৫খ্রিঃ।

---

---

কভার ফটো

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।

---

---

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আপনাদের সাথে বেশিরভাগ সময় আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজকে হাজির হয়েছি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। এলোমেলো বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।

---

---

ফটোগ্রাফি নং-১

আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে আমাদের কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রিজের একটি ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ব্রিজের নিচের থেকে নদী, আকাশ এবং ব্রিজ একসাথে দেখতে কতটা সুন্দর সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ফটোগ্রাফিটি করেছি অনেক দিন আগে। সেদিন আকাশটা অদ্ভুত রকমের সুন্দর ছিল। নদী ও ছিল স্বচ্ছ। ফটোগ্রাফিটি বৃষ্টির কিছুক্ষণ পরে ক্যাপচার করা হয়েছিল বলে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। হরিপুর ব্রিজের নিচ থেকে দারুন একটি প্রাকৃতিক ভিউ পাওয়া যায়। একসাথে আকাশ, শান্ত নদীর প্রবাহ এবং ব্রিজের সৌন্দর্য দেখা দেয়। এরকম পরিবেশে দাঁড়িয়ে এক কাপ চা হাতে নিয়ে নিমেষেই ঘন্টাখানেক কাটিয়ে দেওয়া যায়।

ফটোগ্রাফি নং-২

আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সবুজ প্রকৃতির নান্দনিক সুন্দর। এখানকার বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি আমি বৃষ্টির পরে ক্যাপচার করেছি। বৃষ্টির পরে প্রকৃতি যেন স্বচ্ছ এবং সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। সবুজ রং আরও বেশি সতে লাভ করে। এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি পুকুর ধারের সবুজের সৌন্দর্যের সমাহার। এই ফটোগ্রাফিটি ও অনেকদিন আগে করা হয়েছে। আকাশটা একটু অন্যরকম সুন্দর লাগছে সাথে শান্ত পুকুর এবং সবুজ প্রকৃতির অসম্ভব সৌন্দর্য। এরকম পরিবেশ উপভোগ করতে আমার অনেক ভালো লাগে।

---

ফটোগ্রাফি নং-৩

আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি জবা ফুলের ফটোগ্রাফি। অনেক বার বলেছি, আমাদের ক্যাম্পাসে নানান রকমের ফুল রয়েছে। এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমাদের ক্যাম্পাস থেকে করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের এই নানান রকমের ফুলের সৌন্দর্য বারবার মুগ্ধ করে। এখন তো আর নিয়মিত ক্যাম্পাসে দেওয়া হয় না। কিন্তু আগে প্রতিদিন নিয়ম করে ক্যাম্পাসে যেতাম। ক্যাম্পাসের চারিদিকে সৌন্দর্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখতাম। আমাদের যেখানে ক্লাস হতো তার সামনেই ছিল সুন্দর একটি জবা ফুলের গাছ। জবা ফুলের গাছ এখনো আছে তবে সুন্দর ফুল এখন আর নেই। অনেকদিন আগে ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম। জবা ফুল আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।

ফটোগ্রাফি নং-৪

---

আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সাদাই সাদা কাশফুল এবং আকাশের চমৎকার সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি। শরৎকাল তো তার এই সৌন্দর্যের জন্যই বেশি বিখ্যাত। আকাশে এরকম তুলার মতো সাদা সাদা মেঘ আর কাশফুলের সাদাই মিশে একাকার। এটি প্রায় ছয় মাস আগের ফটোগ্রাফি। কাশফুলের সাথে ছবি তুলতে গিয়েছিলাম রেইনউইক বাঁধ। সেখানকার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। নদীর ধারে এরকম কাশফুল আর সঙ্গে সুন্দর আকাশের কম্বিনেশনটা কিন্তু দারুন। এখানে আমি বেশ কিছু সময় ছিলাম।রেইনউইক বাঁধ তার সৌন্দর্যের জন্য কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে অনেক প্রিয় একটি জায়গা ছিল। তবে বর্তমান সময়ে খুব একটা প্রিয় নেই বললেই চলে। আর সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে এখানে ২০ টাকার টিকিটে হাজার টাকা সৌন্দর্য এখনো দেখতে পাওয়া যায়।

---

ফটোগ্রাফি নং-৫

আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি। বৃষ্টি ভেজা রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি টি দেখতে কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। সুন্দর রঙ্গন ফুলটি বৃষ্টির ফোঁটায় যেন দেখতে আরো বেশি চমৎকার লাগছে। থোকা থোকা লাল রঙের রঙ্গন ফুল সবুজ পাতার ভাঁজে দেখতে কিন্তু দারুন লাগে। এই রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফিটিও আমাদের ক্যাম্পাস থেকেই ক্যাপচার করেছিলাম। ক্যাম্পাসের নানান ধরনের ফুলের মধ্যে রঙ্গন ফুলের সৌন্দর্য অনন্য। রঙ্গন ফুল তো এমনিতেই সুন্দর কিন্তু বৃষ্টির পরে এর সৌন্দর্য একটু বেশিই প্রকাশ পায়।

---

ফটোগ্রাফি নং-৬

এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি চাঁদের ফটোগ্রাফি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই চাঁদ দেখছিলাম। বারবার ধোঁয়ার মতো মেঘ এসে চাঁদটি ঢেকে দিচ্ছিল। আবার কিছুক্ষণ বাদেই মনে হচ্ছিল চাঁদটি ধোঁয়া ঠেলে দিয়ে তার সৌন্দর্য প্রকাশ করছিল। খোলা আকাশের নিচে হালকা হাওয়া তালে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখতে কিন্তু ভালই লাগে। চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করার মত একটি দারুণ সুন্দর্য। আমার তো চাঁদ দেখতে দারুন লাগে। বিশেষ করে পূর্ণিমা রাতে তাদের সৌন্দর্য ভীষণই প্রশংসনীয়। রাতের বেলায় এই সুন্দর চাঁদটা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল।

ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া

---

---

প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।

---

---

আমি কে !

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।

---

---

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14

---

---

VOTE@bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

💞 সৃষ্টিকর্তা সহায় 💞