গাটি কচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
গাটি কচু বা মুখী কচু প্রায় মানুষই খেতে ভালোবাসে আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা খুব একটা পছন্দ করে না। এই গাটি কচু আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে। এই কচু খুব কমই এমন হয় যা গলা ধরে। তবে আমাদের এখানে যে গাটি কচু পাওয়া যায় তা গলা ধরে না বললেই চলে। তবে অনেকেই বেশ মসলা দিয়ে কষিয়ে রান্না করে থাকে। সেভাবে খেতেও যেমন ভালো লাগে তেমন হালকা-পাতলা রান্না করলেও বেশ ভালো লাগে খেতে। এই গাটি কচুর অনেক উপকারিতা আছে। আসলে প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে যেসব গাছপালা ফল এবং শাকসবজি হয় তা আমাদের শরীরের জন্য সবসময় উপকারই হয়ে থাকে। কারণ আমরাও প্রকৃতিরই একটি সম্পদ। গাটি কচুতে যেহেতু আমাদের শরীর ভালো রাখার অনেক উপকারিতা আছে তাই আমাদের সবারই খাওয়া উচিত। যেহেতু বর্তমানে বেশ গরমের সময় তাই মসলা দিয়ে কোনভাবেই কোন রান্না খেতে ইচ্ছা করছে না বর্তমান সময়ে। তাই আজকে এই গাটি কচু রান্না করব একদম হালকা ভাবে এবং বিনা মসলায়। যা খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আর এই কচুর সাথে মাছ দিলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। তাহলে চলো শুরু করা যাক আজকের ঘাঁটি কচু দিয়ে রুই মাছের রেসিপি।
-:রান্নার উপকরণ:-
রুই মাছ
গাটি কচু
আলু
পেঁয়াজ
কাঁচা লঙ্কা
গোটা জিরে
হলুদ
লবণ
তেল
-:রুই মাছ দিয়ে গাটি কচু রান্নার পদ্ধতি:-
রুই মাছ দিয়ে গাটি কচু রান্না করার জন্য প্রথমে আমি রুই মাছের মাথা এবং তার সাথে কয়েক টুকরো রুই মাছ নিয়ে নিয়েছি। এবার মাছগুলো ভালো করে পরিষ্কার জলে আঁশ ছাড়িয়ে বেশ কয়েকবার ধুয়ে নিয়েছি। হলুদ লবণ মাখিয়ে রেখে দিয়েছি একটি বাটিতে। এবার অন্যদিকে গাটি কচুগুলো ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিয়েছি। এবং তার সাথেই একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ, একটি বড় আকারের আলু আর কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা নিয়ে নিলাম। আলু এবং পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজগুলো কুচি করে কেটে নিলাম এবং আলু গুলো একটু ছোট আকারের চৌকো করে কেটে নিলাম। পরিষ্কার জল দিয়ে বেশ কয়েকবার গাটি কচুগুলো ধুয়ে নিলাম। পরিষ্কার করে ধুয়ে আবার পরিমাণ মতো জল নিয়ে নিলাম। ওই জলের মধ্যেই এক চামচ লবণ দিয়ে নিলাম। এবার বসিয়ে দিলাম উনুনের ওপর সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
অন্যদিকে নিয়ে নিলাম একটি কড়াই। কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মাছগুলিকে ভালো করে ভেজে নিলাম। এরপর কেটে রাখা আলু গুলিকেও ভেজে নিলাম। ভাজা হয়ে গেলে অবশিষ্ট তেলেই দিয়ে দিলাম গোটা জিরে ফোড়ন। কয়েক সেকেন্ড জিরে ভাজা হলেই দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজটা নাড়িয়ে চাড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ ব্রাউন রঙের করে ভেজে নিলাম। এবার দিয়ে দিলাম ওই পেঁয়াজের মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ এবং লবণ। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে দিয়ে দিলাম চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা। আরেকটু নাড়িয়ে চারিয়ে দিয়ে দিলাম সেদ্ধ করা গাটি কচু এবং ভেজে রাখা আলু।
সব উপকরণ বেশ ভালো করে নাড়িয়ে নাড়িয়ে সুন্দর করে মিশিয়ে নিলাম। দুই থেকে তিন মিনিট নাড়াচাড়া করে সব উপকরণ ভেজে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো জল। জল দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল হওয়ার পরে সুন্দর করে ফুটে গেলে দিয়ে দিলাম এক চিমটি চিনি। সুন্দর করে ঝোলটাকে এবং স্বাদটাকে ব্যালেন্স করার জন্য। এরপর দিয়ে দিলাম ভেজে রাখা রুই মাছের টুকরোগুলো। কিছুক্ষণ পর ঝোল টেনে একটু গাঢ হয়ে আসলেই হয়ে গেল মাছ দিয়ে গাটি কচু রান্না। তাড়াহুড়োর মধ্যে ঝটপট রান্না করতে হলে কম সময়ের মধ্যেই এই রান্নাটি করা সম্ভব। ভীষণ সুস্বাদু লাগে এমন করে বিনা মসলায় রান্না করলে। এমন ভাবে রান্না করলে আমি সহ আমার পরিবারের প্রত্যেকেই ভীষণ পছন্দ করে। এছাড়াও এইভাবে রান্না খেতে এত বেশি সুস্বাদু লাগে যে একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে এভাবেই রান্না করে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আজকে আপনি গাটি কচু দিয়ে মজার রুই মাছের রেসিপি করেছেন। আসলে কচু দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে। আর আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু আছে। মজার রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপু। এভাবে কচু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই মজাদার হয়।আজ আপনি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপু।যা দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গাটি কচু দিয়ে রুই মাছের সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু শোনাচ্ছে! গাটি কচু ও রুই মাছের কম্বিনেশন অনন্য। ধন্যবাদ এমন একটি ঐতিহ্যবাহী রেসিপি শেয়ার করার জন্য!
গাটি কচু দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে লোভনীয় রুই মাছের রেসিপি করেছেন। দারুণ হয়েছে আপনার রেসিপিটি। রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
কচু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। অনেক দিন হলো কচু খাওয়া হয়নি। রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/pussmemecoin/status/1930647957894017289?s=46&t=nHPwcg_swfA_HF8Tq9ebSw
https://x.com/pussmemecoin/status/1930463289630437832?s=46&t=nHPwcg_swfA_HF8Tq9ebSw
https://x.com/PussFi_FNDN/status/1930648847639834711
আপনি তো দেখছি আজকে আমার খুব পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই খাবারটা আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করলেন। নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল আর খেতেও খুব ভালো লেগেছিল। আমার তো আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে অনেক লোভ লেগেছে।