কিছু পতঙ্গের ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago


কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000050743.jpg


আজকে আপনাদের মাঝে চলে এলাম কিছু পতঙ্গের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। পতঙ্গ বলতে এক ধরনের ছোট অমেরুদন্ডী প্রাণী যাদের উড়ে বেড়ানোর জন্য ডানা আছে, তিন জোড়া পা আছে, মাথার সামনে শুঙ্গ আছে এছাড়াও শরীর তিনটি খন্ডে বিভক্ত থাকে। পতঙ্গ বলতে আমরা ফড়িং, প্রজাপতি, মাকড়সা, মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের পোকাকে বুঝি। তবে আজকে তেমনি ফড়িং, প্রজাপতি এবং মথ এর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যা আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গাতেই দেখতে পেয়েছি। সত্যি কথা বলতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এরা যে কারণে আমি এদের ফটোগ্রাফি করতে এক প্রকার বাধ্যই হয়ে গেছি। ভীষণ সুন্দর দেখতে এই পতঙ্গ গুলি। প্রত্যেকটি পতঙ্গ তার নিজস্ব রূপে সুন্দর দেখতে। তবে চলুন আজকে আমার তোলা কিছু পতঙ্গের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।


ফটোগ্রাফি-১


1000050740.jpg


1000050744.jpg



প্রতিদিন সকালবেলা যখন আমার হাজব্যান্ড বাড়ি থেকে বের হয় আমি তাকে মেইন গেট পর্যন্ত ছাড়তে যাই। আমার এই কাজটি করতে বেশ ভালো লাগে। প্রতিদিনের মতো সেদিনও গেছিলাম আমার হাজব্যান্ডকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে, হাজবেন্ড চলে যাওয়ার পরে আমি গেটটা দিয়ে ফিরে আসার সময় ভাবছিলাম যে কয়েকটা তুলসীর পাতা তুলে আনবো। তাই তুলসী গাছের দিকে যে গেছি পাশে কিছু ঘাস জাতীয় গাছপালা বৃষ্টির কারণে জন্ম নিয়েছে আর সেই ঘাস পাতার ওপরেই বসে রয়েছে একটি ফড়িং। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ফড়িংটির পাশ দিয়ে আমি হেঁটে গেলেও ফড়িংটি সেখান থেকে উড়ে যাচ্ছিল না। ফড়িংটিকে দেখে আমার এতটাই ভালো লাগলো যে আমি ফড়িংটির ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ফড়িং থেকে দেখতে এবং তার চারপাশের বৃষ্টির কারণে সতেজ হওয়া বৃষ্টির জল মাখা ছোট ছোট গাছ লতাপাতা দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগছিল।


ফটোগ্রাফি-২


1000050487.jpg


1000050481.jpg



যেহেতু বেশ কয়েকদিন যাবত একটানা বৃষ্টি পড়ছে তাই জামা কাপড় শুকানোর জন্য আমাদের বারান্দাতেই দিতে হচ্ছে। বারান্দাতে জামাকাপড় শুকাতে দেওয়ার জন্য খুব একটা খেয়াল করার প্রয়োজন হয় না কারণ বারান্দায় জল এসে জামা কাপড় ভেজাতে পারে না। ভালো করে শুকিয়ে গেলে তারপরে তুলে আনি। তেমনি একদিন দুপুরবেলা জামাকাপড় বারান্দা থেকে তুলতে গিয়ে দেখতে পেলাম একটি কাপড়ের কোনায় একটি পোকা লেগে রয়েছে। সত্যি কথা বলতে প্রথমে দেখে একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম। তারপর ভালো করে যেই দেখলাম মনে হল এটি মথ জাতীয় পতঙ্গ। বেশ সুন্দর দেখতে লাগছিল পতঙ্গটিকে। জামাটি তুলবো বলে একটু নাড়াচাড়া দিচ্ছিলাম তবুও পতঙ্গটি যাচ্ছিল না অনেক জোরে জোরে নাড়াচাড়া করার পরে তারপরে গেল কিন্তু তার গায়ের রং এতটাই হালকা যে জামাই রং লেগে গেছিল। একদম মাটির মতো মেটে গায়ের রং। জামা থেকে ছাড়াতে গিয়ে আমার পায়ে এসে পড়েছিল তারপর দেখি পায়েও সেই পতঙ্গের গায়ের রং লেগে গেল। কিন্তু পতঙ্গটিকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগলো আমার কাছে।


ফটোগ্রাফি-৩


1000050886.jpg


1000050879.jpg



সেদিন সারাদিনের কাজকর্মের ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাচ্ছিল আমার। ঘর ঝাড় দিচ্ছিলাম এমন সময় চোখ গেল জানালার বাইরের দিকে। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাই সাদা টাইলস এ একটু কাদামাটি নোংরা লেগে রয়েছে। তবুও যেন পতঙ্গটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। হঠাৎ করে দেখতে পেলাম জানালার বাইরের দিকটায় একটি প্রজাপতি বসে আছে। আসলেই এটা প্রজাপতি কিনা আমি সঠিক জানিনা তবে দেখে মনে হল এটি প্রজাপতি হবে। আমি জানলা দিয়ে বাইরে ফোনটি বের করে প্রজাপতির একদম কাছ থেকে ফটোগ্রাফি করলাম তাও প্রজাপতিটি একটুও নাড়াচড়া করল না। বেশ আরামের সাথে বসে ছিল। তারপর আমি বেশ কিছুক্ষণ তাকে দেখার পরে আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম কিছুক্ষণ বাদে এসে দেখলাম প্রজাপতিটি আর সেখানে ছিল না। বেশ ভালো লাগে এমন বিভিন্ন প্রাণী মাঝে মাঝেই দেখতে। আর এই বৃষ্টির কারণে এমন সুন্দর কীটপতঙ্গ প্রজাপতি ফড়িং এদের দেখা একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আর এজন্যই প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার অনেক বেশিই ভালো লাগে।

ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm



আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।

Sort:  
 2 days ago 

আপনার হাজব্যান্ড সকালবেলা যখন বের হয় আপনি তার সাথে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দেন ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো। চমৎকার কিছু পতঙ্গের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দিদি। ফড়িং দেখি ছেলেবেলায় ফিরে গেলাম। ছেলেবেলায় এই ফড়িং ধরার জন্য কত অপেক্ষায় তে থাকতাম। স্কুল থেকে ফিরে লাঠির সাথে আঠা লাগিয়ে ফলিং ধরতাম। যদিও কাজটা ঠিক করিনি বলে এখন মনে হয় তারপরেও হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেই কাজের সাথে।

Loading...
 19 hours ago 

বাহ,অনেক সুন্দর হয়েছে পতঙ্গের ছবিগুলো।আমিও এগুলোর ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি।তাছাড়া আপনার ছবিগুলো খুবই সুস্পষ্ট হয়েছে দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।