কাঁঠালের আটি দিয়ে ডিম কষা রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বর্তমানে এই সময় ভীষণ সুন্দর বেশ কিছু ফল আমরা খেতে পারছি। এই সময়টা আমার খুবই পছন্দের একটি সময় কারণ এই সময় আমার অনেক প্রিয় ফল গাছে ফলে। আর তার মধ্যে সবথেকে প্রিয় আম আর কাঁঠাল। সব থেকে ভালো লাগে কাঁঠাল আমরা কাঁচা অবস্থায় যেমন রান্না করে খেতে পারি তেমন পেকে গেলে ফল হিসেবে খেতে পারি। আবার কাঁঠাল খাওয়ার পরে কাঁঠালের আটি অর্থাৎ বীজ সেটি আবার রান্না করে খেতে পারি। আমার খুবই ভালো লাগে এই কাঁঠালের কাঁচা অবস্থায় অর্থাৎ ইচোর রান্না করে খেতে তারপরে ভালো লাগে এই কাঁঠালের আটি রান্না করে খেতে। কাঁঠাল পাকা শুরু করলেই আমাদেরও খাওয়া শুরু হয়ে যায়। তাই কাঁঠাল যেহেতু আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে তার মানে কাঁঠালের আটি আমরা বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি। কাঁঠাল খাওয়ার পরে বেশ কয়েকটা কাঁঠালের আটি জোগাড় হয়েছে তাই ভাবলাম রান্না করে খেতে হবে। শুধু কাঁঠালের আটি রান্না করলে আমার আবার খুব বেশি ভালো লাগে না তাই ভাবলাম আজকে ডিম দিয়ে কাঁঠালের আঁটির একটা রেসিপি তৈরি করব। বেশ ভালো লাগে কাঁঠালের আঁটি দিয়ে বিভিন্ন রান্না করে খেতে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের এই কাঁঠালের আটি দিয়ে ডিম কষা।
-:রান্নার উপকরণ:-
ডিম
কাঁঠালের আটি
পেঁয়াজ
আদা বাটা
রসুন বাটা
গোটা জিরে
হলুদ
লবণ
লঙ্কার গুঁড়ো
জিরের গুঁড়ো
ধোনের গুঁড়ো
গরম মসলার গুঁড়ো
-:রান্নার পদ্ধতি:-
কাঁঠালের আটি দিয়ে ডিম কষা করার জন্য প্রথমেই আমি ছয়টি ডিম নিয়ে নিলাম এবং পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ হতে বসিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণ মতো কাঁঠালের আঁটি নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলাম। দুটো বড় আকারের পেঁয়াজ নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে নিলাম। একই সাথে পরিমাণ মতো আদা এবং রসুন বেছে মিক্সিতে পেস্ট করে নিলাম। একটি কড়াইতে পরিমাণ মত তেল নিয়ে নিলাম। তেলটা একটু ভালো করে গরম হয়ে গেলে কাঁঠালের আটি গুলো একটু ভেজে নিলাম। কাঁঠালের আটি ভাজার পরে সেদ্ধ করা ডিম খোসা ছাড়িয়ে হলুদ লবণ মাখিয়ে কড়াইয়ে থাকা অবশিষ্ট তেলের মধ্যে ভেজে নিলাম। একদম হালকা করেই সবকিছু ভেজে নেব নয়তো অনেক বেশি শক্ত হয়ে যাবে এবং খেতে খারাপ লাগবে। ডিম এবং কাঁঠালের আটি একদম হালকা করে ভেজে তুলে নিয়ে দেখলাম কড়াইতে বেশ কিছুটা তেল রয়েছে। সেই তেলের মধ্যেই দিয়ে দিলাম অর্ধেক চামচ জিরা ফোড়ন।
![]() | ![]() |
![]() | ![]() |
জিরো ফোড়ন দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিলাম কুচি করে রাখা পেঁয়াজ। এবার ভালো করে পেঁয়াজ গুলিকে ভেজে নিলাম। বেশ সুন্দর ব্রাউন রঙের ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে দিলাম আদা রসুনের পেস্ট। আদা এবং রসুন পেঁয়াজের সাথে ভালো করে মিশিয়ে এক থেকে দুই মিনিট নাড়াচাড়া করে ভেজে নিলাম। আদা এবং রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলেই দিয়ে দিলাম গুঁড়ো মসলাগুলো, জিরের গুঁড়ো, হলুদ, লবণ, লঙ্কার গুঁড়ো, ধোনের গুঁড়ো এবং সামান্য গরম মসলার গুঁড়ো। সব উপকরণ মিশিয়ে নাড়াচাড়া করেই দিয়ে দিলাম সামান্য জল নয়তো কড়াইতে লেগে গুঁড়ো মসলাগুলো পুড়ে যেতে পারে। মসলাকষে সুন্দর তেল ছেড়ে আসলেই দিয়ে দিলাম কাঁঠালের আটি। কাঁঠালের আঠি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে সব উপকরণ মিশিয়ে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো জল।
![]() | ![]() |
![]() | ![]() |
জল দেওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষণ হাই ফ্লেমে দিয়ে জ্বাল দিতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর ঝোল ফুটে আসলেই কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম যেন কাঁঠালের আঁটিগুলো ভালো করে সিদ্ধ হয়ে যায়। ৫ থেকে ৬ মিনিট ঢাকনা দেওয়ার পর ঢাকনা খুলে দেখলাম কাঁঠালের আটি সুন্দর সেদ্ধ হয়ে গেছে। এবার দিয়ে দিলাম ডিম গুলো। ডিম দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জাল হতে দিলাম, তারপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো গরম মসলার গুঁড়ো। এবার এ পর্যায়ে আমার রান্না সম্পন্ন হয়ে গেল। সুস্বাদু কাঁঠালের আটি দিয়ে ডিমের কষা পরিবেশন এর জন্য একদম তৈরি। এমন করে কাঁঠালের আটি দিয়ে ডিমের কষা করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এইভাবে কাঁঠালের আঁটি দিয়ে রান্না করলে আমার খুবই ভালো লাগে খেতে এছাড়াও আমার পরিবারের সকলেই কাঁঠালের আটি দিয়ে রান্না খুব ভালো খায়।
![]() | ![]() |
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
কাঁঠালের আটি এমনিতেই অনেক টেস্টি ,আর এভাবে ডিম দিয়ে রান্না করলে আরো-ই ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটি দারুণ মজাদার হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন তো আপনি। দেখেতো জিভে জল চলে আসলো। মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই ধরনের খাবার গুলো বেশ মজা করে খাওয়া যায়। আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপি টা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। মজার মজার রেসিপি দেখলে ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলি।
কাঠাঁলের বিচি দিয়ে কখনই ডিম ভুনা খাইনি। তবে কাঠাঁলের বিচি দিয়ে যে রেসিপি করাই হোক না কেনো আমার বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি তৈরির পদ্ধতিই বলে দিচ্ছে খেতে দারুন ছিল।
কাঁঠালের আটি দিয়ে ডিম কষা রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে। এই খবরটি কখনো খাইনি। তবে কালার দেখেই লোভ লেগে গেল। মনে হচ্ছে পারফেক্ট হয়েছিল খেতে। আর খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
আপনি তো দেখছি আজকে আমার খুব পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই খাবারটা আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করলেন। নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল আর খেতেও খুব ভালো লেগেছিল।
আপু কখনো কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিমের রেসিপি করে খাওয়া হয় নাই। আজকে আপনি দেখছি বিভিন্ন রকম একটি মজার রেসিপি করেছেন। আর কাঁঠালের বিচি দিয়ে কিছু রান্না করলে খেতে কিন্তু এমনিতে মজা লাগে। মজার রেসিপিটি খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করেছেন।
কাঁঠালের বিচি আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি। তবে ডিম দিয়ে কখনো খাইনি। মাছ কিনবা শুটকি মাছ দিয়ে খেয়েছি। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লেগেছে।