স্বাস্থ্যকর একটি মর্নিং জুস।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি এটি খুবই স্বাস্থ্যসম্মত এবং ভীষণ পুষ্টিকর একটি জুস। সকালবেলা খালি পেটে খাওয়া ভীষণ পরিমাণ উপকারী। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব আছে তাদের জন্য এই জুস খাওয়া খুবই প্রয়োজন। আমার যেহেতু শরীরে একটু নয় অনেকটাই হিমোগ্লোবিনের অভাব তাই আমি চেষ্টা করি এই জুস টি করে খাওয়ার। দিনের যে কোন সময় এই জুস করে খাওয়া যায় তবে সকাল বেলা খালি পেটে এটি বেশি উপকারী। যারা অতিরিক্ত মেদ বা পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা করছে তাদের জন্য এই জুস অনেক বেশি সাহায্য করবে অতিরিক্ত ওজন কমাতে। এই জুসের মধ্যে যে উপকরণ দেওয়া রয়েছে তাকে ফল বলবো না সবজি বলবো আমি আসলে বুঝতে পারছি না। কারণ এই উপকরণগুলো কাঁচা ও খাওয়া যায় আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে পারে এই চমৎকার জুস। প্রায় এক মাস টানা এই জুস করে খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে এটি আমার গ্যারান্টি। তাহলে চলুন এই জুসের যেহেতু এত প্রশংসা করছি জেনে নিই এই জুস কিভাবে তৈরি করা যায়।
-: জুস তৈরীর উপকরণ:-
বিটরুট
গাজর
আমলকি
হলুদ
জল
-: জুস তৈরি পদ্ধতি:-
জুস তৈরি করার জন্য প্রথমেই আমি একটি বিটরুট, দুটো গাজর, পাঁচটি আমলকি, এবং এক টুকরো হলুদ নিয়ে নিলাম। এই প্রত্যেকটি সবজি খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিলাম। এবার একটু ছোট আকার করে কেটে নিলাম যেন ভালো করে তাড়াতাড়ি মিক্সিতে পেস্ট হতে পারে। সব উপকরণ ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।
এবার এইসব উপকরণ একটি মিক্সচার জারে নিয়ে নিলাম এবং তার সাথে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে নিলাম। একটু জল না দিলে এইসব উপকরণ ভালো করে পেস্ট হতে পারবেনা। জল দিয়ে মিক্সারে ভালো করে সব সবজি পেস্ট করে নিলাম।
এবার একটি চা ছাকনিতে বা একটু বড় যে কোন ছাঁকনিতে ভালো করে ছেঁকে রস নিংড়ে নিলাম। এবং খাড়া ফেলে দিলাম। একটু জল দিয়ে মিক্সার জারে পেস্ট করার কারণে পুরো সবজি থেকে ভালো করে রস বেরোতে পারে। ছাকনি দিয়ে একটি চামচ দিয়ে চেপে চেপে ভালো করে সবজিগুলোর রস বের করে নিয়ে নিলে হয়ে যাবে আমাদের স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর একটি মর্নিং ড্রিংক।
এই প্রত্যেকটি সবজি আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে, হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না শরীরের বিভিন্ন স্থানে। এইভাবে জুস করে খেলে একটু কড়া লাগে ঠিকই কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। বিটরুট এবং গাজরের জন্য মিষ্টি মিষ্টি খেতে লাগে আর আমলকির জন্য একটু টকটক আর হলুদের জন্য একটু হলদে গন্ধ বেরোয়। সব মিলিয়ে মিষ্টি মিষ্টি টক টক আর হালকা একটু কড়া খেতে লাগে। তবে আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী হয়ে থাকে এই জুস।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
অসাধারণ একটি উপস্থাপনা! আপনার এই স্বাস্থ্যকর জুস রেসিপিটি শুধু শরীরের জন্য উপকারী নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতেও সহায়ক। হিমোগ্লোবিনের অভাব, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় এমন একটি প্রাকৃতিক সমাধান সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।