আসলে এখানে এসে আমরা সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। কেননা মনে হচ্ছে যে আমরা এর আগে যতগুলো পূজার প্যান্ডেল দেখেছি তার মধ্যে সবথেকে বেশি বড় পূজার প্যান্ডেল এটি এবং এখানে এত বেশি লোক যে এই ভিড়ের মধ্য থেকে আমাদের ঢুকতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছিল। মনে হচ্ছে যেন সব লোক এখানে এসে জড়ো হয়েছে শুধুমাত্র এই বড় প্যান্ডেলটি দেখার জন্য। আসলে এই প্যান্ডেল একটা বড় মাঠের মাঝখানে তৈরি হয়েছে এবং এই মাঠের চারিদিক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসেছে। আমি ওই দিনের কাছে শুনেছি যে এই এলাকার মধ্যে এই প্যান্ডেল প্রতিবছর অনেক বড় পরে এবং অনেক বেশি দেখতে আকর্ষণীয় করে। যাইহোক প্রথম বাইরে থেকে আমি তেমন একটা বেশি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

আসলে যখন প্যান্ডেলের কাছে গেলাম তখন এর প্রকৃত সৌন্দর্য আমি আস্তে আস্তে উপভোগ করতে শুরু করলাম। কেননা প্যান্ডেলের গায়ে ছোট ছোট কাচের টুকরো দিয়ে এত সুন্দর করে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করেছে তা দেখলে যে কোন মানুষের খুব ভালো লাগবে। যাইহোক এই প্যান্ডেলটি দেখার জন্য আমাদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হচ্ছিল কেননা আমরা এক জায়গায় কখনো দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। পিছন থেকে ফিরে এসে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। আর ভালো করে একটা ছবি তুলব সেই উপায় আর কখনো ছিল না। যাইহোক এত ভিড়ের মাঝখান থেকে নিজের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক জায়গায় স্থির থেকে আমি ভালো ভালো কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম।

আসলে এখানে নিজের শক্তি কেউ যেন পিঁপড়ের মত মনে হয়। কেননা পিছন থেকে যদি ১০-১২ জন লোক আপনাকে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তাহলে কি আপনি এক জায়গায় কখনো স্থির থাকতে পারবেন। যাইহোক আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে চলার মাঝখানে কিছু কিছু সুন্দর ছবি তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। আসলে এই প্যান্ডেলের সবচেয়ে বেশি ছবি তুলেছিলাম এবং সব থেকে বেশি ছবি ডিলিট করেছিলাম। কেননা চলন্ত অবস্থায় কিন্তু খুব একটা ভালো ছবি কখনো তোলা যায় না। এছাড়াও আপনি কিছু কিছু ছবির মাঝখানে দেখতে পাচ্ছেন যে কি সুন্দর করে চারিদিকটা সাজানো রয়েছে। এছাড়াও প্যান্ডেলের উপরের ঝাড়বাতি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

এরপর আস্তে আস্তে করে আমরা পুরো প্যান্ডেলটি উপভোগ করার জন্য চেষ্টা করলাম। আসলে ভিতরে ঢুকে আমি আর আমার গিন্নি এবং দিদি একটা কর্নারে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। কেননা মাঝখানের দিকে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। আসলে একটু পরে দেখতে পেলাম যে লোকজনের চাপ অনেকটা কমে গেছে তখন কিন্তু আমরা বের হলাম এবং চারিদিকে ছবিগুলো তুলতে শুরু করলাম। আপনার আমার ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে প্যান্ডেলের বাইরের পুরো ছবিটা এবং ভিতরের কারুকার্যের ছবিগুলো। আসলে যেহেতু ভিতরের দিকে দাঁড়িয়ে ছিলাম তাই লোকের সংখ্যা কখন কমবে এজন্য আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে করে আমরা চারিপাশের ছবিগুলো তুলতে শুরু করলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola

ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro

ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।