কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ফসল নিয়ে কথা বলবো। যেখানে কৃষক ভাইয়েরা ধানের চারা দেয়ার জন্য বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত যে পরিশ্রম করে থাকে তার বিশেষ বিশেষ অংশের ফটো আর বর্ণনা শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি ধানের পিছনে কৃষক ভাইদের অবদানের পরিপূর্ণ চিত্র খুঁজে পাবেন এই পোস্টে।

ফসল উৎপাদনের পিছনে কৃষকদের ভূমিকা অনেক। সে যেকোন ফসল হোক না কেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষকের হাতের ছোঁয়া লেগেই থাকে। যেমন ধরুন ধানের ক্ষেত্রে,প্রথমে বেড তৈরি করে ধানের বীজ বপন করে। দিনে দিনে সেই জায়গায় যত্ন নেওয়ার ফলে ধানের চারা বড় হতে থাকে।

এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ফসলের মাঠ খুব সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে ধান লাগানোর জন্য। আর এমন সুন্দর দৃশ্য আমি ধারণ করেছিলাম আমাদের পুকুরপাড়ের পাশ থেকে। কৃষক ভাইয়েরা খুব দক্ষতার সাথে তাদের কৃষি জমি চাষ করেছে। আমি যখন পুকুরপাড়ে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে অথবা বাগান থেকে সবজি তুলতে যেতাম তখন এই সুন্দর দৃশ্যগুলো বেশি বেশি লক্ষ্য করতাম। আর সেই থেকে ধারণ করেছিলাম অপরূপ দৃশ্যগুলো। এমন দৃশ্য দেখলে বেশ ভালো লাগতো আর ছোটবেলায় আব্বুর খাবার দিতে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। কারণ আমাদের এক টানে অনেক ফসলের জমি রয়েছে। লেবার দিয়ে কাজ করাতে গিয়ে আব্বু বাড়িতে আসতে সময় পেত না। তাই মাঝেমধ্যে আম্মু আমাদের হাতে খাবার বেঁধে দিতো আব্বুর জন্য। ঠিক সেই ছোটবেলায় ফিরে গেছিলাম এই ফটো ধারণ করতে।

এখানে লক্ষ্য করছেন কৃষক ভাইয়েরা ধান লাগানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা ছোট ছোট ধান গাছগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেড করে চারা দিয়ে থাকে। তারা বড় হলে এরপর সেগুলা উঠিয়ে এমন ফসলের জমি চাষবাস করে লাগানো শুরু করে।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এভাবেই ধান লাগানোর কাজ সম্পন্ন করে তারা। সম্পূর্ণ জমিতে প্রত্যেকটা ধান গাছের সাথে কৃষক ভাইয়ের হাতের স্পর্শ লেগে রয়েছে। সেই চারা তোলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত তাদের অবদান অনেক।

দিন দিন ধানের গাছগুলো সার সেচ দিয়ে বড় করতে থাকে। বিভিন্ন রক্ষণাবেক্ষণ আগাছা দমন এর মধ্য দিয়ে ফসল বুড়ো হতে থাকে।

ঠিক একটা সময়ে ধান গাছ বড় হয়ে এমন ধানের শীষ বের হয়। তবে ধানের শীষ বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ফসলের মাছ দেখতে খুবই ভালো লাগে। ওই মুহূর্তটা আমার কাছে খুবই প্রিয়।

এরপর ধান পাকার সময় আসে, কৃষক ভাইয়েরা অপেক্ষায় থাকে কবে পরিপূর্ণভাবে ধান পেকে যাবে। ধান পাকা সম্পন্ন হলে শুরু হয়ে যায় ফসল সংরক্ষণ।


ধান মাড়ায়ের শেষে ধানের গাছ বা খড় বিচুলি রোদে শুকানো হয় গরুর খাবারের জন্য। অর্থাৎ এগুলো গরুর খাবার সহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। আর এভাবেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষক ভাইয়েরা অনেক পরিশ্রম করেন ধানের পিছে।


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


আপনি ঠিক বলেছেন, একটি ফসল উৎপাদন করতে কৃষক ভাইয়েরা অনেক বেশি পরিশ্রম করে থাকে। সেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রতিটা ক্ষেত্রে পরিশ্রম করেই থাকে। তবে জানিনা এই এত এত পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য তারা পরিশেষে পায় কিনা। যাইহোক এই ছবিগুলো ধারণ করতে গিয়ে আপনার ছোটবেলায় মাঠে খাবার দিতে যাওয়ার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আমি তো অনেক আব্বুকে খাবার দিতে গেছি
আমি বাংলার কৃষক ভাইদের বাংলার ইঞ্জিনিয়ার বলে সম্বোধন করি। আজকে কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষাবাদ করে বিদায় আমরা দালান ঘরে বসে খেতে পারি। আমাদের আহার জোকারের জন্য তারা অনেক কষ্ট করে। আমি সব সময় এসব ভাইদের সালাম জানাই। আপনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধান গাছের প্রক্রিয়াটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন
কৃষকেরা আসলে অনেক বেশি পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করার জন্য। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সব সময় আমাদের জন্য ফসল উৎপাদন করে আর সেই ফসল খেয়েই আমরা জীবন যাপন করে থাকি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কৃষকের কাজের মুহূর্ত গুলো আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এই ফটোগ্রাফি গুলো করতে আপনাকে অনেকটাই ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়েছে দেখছি আপু। কারণ একেবারে মাঠে ধান এর বীজ বপনের সময় থেকে ধান মাড়াই এর সময় পর্যন্ত একে একে ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন আপু। অনেকদিন ধরেই আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো করতে হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। আপনার আজকের পর্বের এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে দিয়ে যাদের ধানের চাষ এভাবে দেখার সুযোগ হয়নি কখনো, তারা খুব ভালোভাবেই দেখে নিতে পারবে। দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
হ্যাঁ আপু আমি যখনই মাঠের দিকে যেতাম তখনই ফটো ধারণ করতাম
কৃষকরা মাটির বুকে ফসল ফলায়। সময়ের সাথে সাথে তাদের ফসল বড় হতে থাকে। আর সেই ফসলগুলো ঘরে তুলতে পারলে তারা অনেক খুশি হয়ে যায়। আপু আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। ছবিগুলো বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। আপনি কিন্তু দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। সেই সাথে লেখাগুলোও ভালো ছিল।
হ্যাঁ আপু ফসল ঘরে উঠলে মুখে হাসি ফোটে