আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করতে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের সম্পর্কে বেশ কিছু সুন্দর আলোচনা করার জন্য। আশা করি আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।

photo editing by mobile gallery app
আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। কাঁঠাল আমারও খুব প্রিয় একটি ফল। এই সময়ে সারা দেশব্যাপী কম বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায়। এখন কাঁঠাল পাকার সময়। আমাদের এলাকায় বেশ অনেক গাছে কাঁঠাল লক্ষণীয়। আমি বেশ কিছুদিন মায়ের বাসা থেকে আশেপাশের বেশ কিছু বাজারে উপস্থিত হয়েছি কেনাকাটার জন্য, যেতে পথে লক্ষ্য করেছি রাস্তার ধারের কাঁঠাল গাছগুলোতে বেশ অনেক অনেক কাঁঠাল ধরেছে। আর গাছে এমন কাঁঠাল ধরে থাকার দৃশ্যগুলো যেন মন ছুঁয়ে যায়। তাই আমি যখনই যেখানে গেছি সুযোগ পেয়েছি পাশে থাকা কাঁঠাল গাছের কাঁঠালের চিত্র ধারণ করেছি। আর এই চিত্র ধারণের প্রতি আমার বাংলা ব্লগের এক অন্যরকম অবদান রয়েছে। হয়তো এখানে যুক্ত না হলে এত ফটো ধারণের আসক্ত হতাম না। এখন উঠতে বসতে কোথাও যেতে যেন শুধু ইচ্ছে করে ফটো ধারণ করতে, আর এখানে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিতে। এখানে আপনারা যে কাঁঠালের চিত্র দেখলেন তা আমাদের নিজের গাছের এবং রাস্তার একটি গাছ থেকে ধারণ করা।


আমি কাঁঠালের তরকারি রান্না করে খেতে বেশি পছন্দ করি। তবে বেশি ভালো লাগে কাঁঠালের বিচিগুলো ভিতর দিয়ে রান্না করে খেতে। কারণ এই জাতীয় কাঁঠালের রেসিপি গুলো ভাত কি বা রুটি দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমাদের পরিবারের সকল মানুষ কিন্তু কাঁঠাল খুবই পছন্দ করে। তাই মাঝে মধ্যে আমাদের গাছের কাঁঠাল পেড়ে রান্না করে দেওয়া হয়। এ ফটোগুলো দেখতে পাচ্ছেন যখন কাঁঠাল ছোট ছিল সেই সময় মোবাইলে ধারণ করেছিলাম। সৃষ্টিকর্তার কি সুন্দর নেয়ামত। গাছের গা থেকে এভাবে কাঁঠাল বের হয়ে আসে। আমরা অন্যান্য ফল লক্ষ্য করে দেখেছি সেগুলা গাছের আগায় ধরে। কিন্তু কাঁঠাল গাছের বডি থেকে বের হয়। আসলে সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটা ফল তার নিজ নিজ ভালো লাগার মত করে সাজিয়ে দিয়েছে। আর এই সময়ে কাঁঠাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার ফল পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় কাঁঠালটা সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। অন্যান্য ফল পাকিয়ে খাওয়া রান্না করে খাওয়া যাক বা না যাক কাঁঠালটা কিন্তু ঠিক যায়। তবে এখান থেকে পাকিয়ে খাওয়া রান্না করে খাওয়া আবার তার বিচি গুলাও বিভিন্ন আইটেম করে খাওয়া যায়।


বেশ কিছুদিন আগে কাঁঠাল রান্না করলাম। সেটা ছিল আমাদের নিজের গাছের কাঁঠাল। একসাথে আরো একটি কাঁঠাল পাড়া হয়েছিল এবং রেখে দেয়া হয়েছিল পাকানোর জন্য। এরপর সে কাঁঠালটা পেকে গেছে। কিছু কিছু কাঁঠালের সার দেখলে বোঝা যায় সেগুলো পাকা নাকি কাঁচা জাতের কাঁঠাল। আমরা জানি কাঁঠালপাকে। তবে কিছু কাঁঠাল রয়েছে পেকে গেলেও পেতে ভালো লাগে না রান্না খেতে বেশি ভালো লাগে সেগুলো। তবে প্লেটে যে পাকা কাঁঠাল দেখতে পাচ্ছেন এগুলো ফাঁকা যেমন খাওয়া যায় রান্না করে ঠিক তেমন খাওয়া যায়। কিছু পাঠাবো রয়েছে খুবই ছোট সার হয়ে থাকে, সেগুলো শুধু পাকিয়ে খাওয়ার জন্য আর খুবই সুমিষ্ট হয়ে থাকে। আর যে সমস্ত কাঁঠাল গুলোর সার বড় বড় হয়ে থাকে, সেগুলো পেকে গেলে খেতে তত বেশি সুস্বাদু মনে হয় না। এক কথায় সেগুলো রান্না করে খাওয়ার কাঁঠাল। তবে আমাদের গাছের এই কাঁঠাল কিন্তু দুই রকম ভাবে খাওয়া যায়। একদম বেশি লম্বা সার হয় তা কিন্তু নয় মাঝারি টাইপের। মাঝারি গুলা দুইভাবে খাওয়ার উপযুক্ত। আর বেশি লম্বা গুলো শুধু কাঁচা খাওয়ার বা রান্না খাওয়ার উপযুক্ত। অর্থাৎ এই বিষয়টা আমি আমার পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারণা পেয়েছিলাম।



কাঁঠাল খাওয়ার শেষে বিচি গুলো একটি পাত্রের মধ্যে রেখেছিলাম। এই মুহূর্তে বেশি ইচ্ছে হয়েছিল সুন্দর করে ফটো ধারণ করবো এবং তা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। রবীন্দ্রনাথের একটা লেখা পড়েছিলাম সে কথা মনে হলো। সৌন্দর্য খুঁজতে বহু দূরে যেতে হয় না। যে সৌন্দর্য অনুভব করতে জানে সে খুব নিকট থেকে সৌন্দর্য খুঁজে পেতে পারে। আমি যখন এই ফটো ধারণ করছিলাম তখন বারবার যে কথাই মনে আসছিল। কারণ স্টিলের থালার মধ্যে যখন কাঁঠালের বিচি রাখছিলাম তখন সেগুলো দেখতে তেমন ভালো লাগছিল না বা ফটো সুন্দর হচ্ছিল না। আর যখন এমন একটা মেলামাইনের পাত্রের মধ্যে রাখলাম তখন যেন সৌন্দর্য ফুটে উঠল। এরপর এই ফটো ধারণ। যাই হোক আমি অবশ্য এই কাঁঠালের বিচিগুলো অন্য কোন শাক সবজির সাথে রান্না করে পরিবারের মানুষকে খাওয়াবো, এমনটাই আশা।


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


আপনার পছন্দটা আমার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত, আমি কাঁঠাল খুব একটা পছন্দ করি না তবে হ্যাঁ কাঁঠালের বিচি দিয়ে যদি কোন রেসিপি তৈরি করা যায় সে ক্ষেত্রে সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাছাড়া কাঁঠাল খুব একটা খাওয়া হয় না।
আমার তো সেই ভালো লাগে
কাঁঠাল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। হ্যাঁ কাঁঠাল আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি। রান্না করে যেমন খাওয়া যায় ঠিক পাকিয়ে খাওয়া যায়। আবার এদিকে কাঁঠালের বিচি তো আমার অনেক প্রিয়। যাই হোক, কাঁঠাল সম্পর্কে বেশ সুন্দর উপস্থাপনা থেকে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল হলেও কাঁঠালের তেমন কোন সুনাম নেই বাংলাদেশের মধ্যে।আর কাঠাল খেতে অতটা ভালো লাগে না আমার কাছে। তবে, অনেকেই দেখি কাঁঠালের তরকারি রান্না করে খেয়ে থাকে। আমার কাছে কাঁঠালের তরকারির থেকে পাকা কাঁঠাল একটু বেশি ভালো লাগে। আপনাদের বেশ কয়েকটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে, জেনে খুশি হলাম আপু।
আপনার মন্তব্য অনেক সুন্দর ছিল।
কাঁঠাল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঠাল খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কাঁঠাল আমরা ভিন্ন ভিন্নভাবে খেতে পারি। কাঁঠালের তরকারি করে খেতে পারি কাঁঠালের বিচি ভাজি করে খেতে পারি। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আমরা আমাদের মত করে কাঁঠাল খেতে পারি।
ও আচ্ছা।
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের কাছে। কাঁঠাল সম্পর্কে বেশ ভালো লিখেছেন আপনি। কাঁঠালের শুরু থেকে একদম খাওয়া পর্যন্ত ফটো ধারণ করে দেখেছেন। আসলে কাঁঠাল তিনভাবে খাওয়া যায় এছাড়াও আরো অনেক ভাবে খাওয়া যায়। তবে রান্না করে খেতে পাকা খেতে আবার বিচি রান্না করে খেতেও আমার ভালো লাগে।
অনেক ভালো লাগলো ছোট তোমার মন্তব্য দেখে।