কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি!

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তো ঈদ চলে গেল অনেকদিন হয়ে গেল। শহর থেকে আসা মানুষগুলো এখন ঈদ উদযাপন করে শহরমুখী হচ্ছে। জীবিকার তাগিদেই যেন ছুটে চলা। আমি বলতে গেলে অনেকদিন ধরে বাড়িতে। তবে গ্রামটাকে পরিদর্শন করা হয়নি। ঠিক এ সময়টা গ্রামের সৌন্দর্যটা উপভোগ করার মতো। এ সময়ে ধানের শিষ, কাঠাল, আম সবকিছুই যেন বড় হতে দেখা যায়। গ্রামের এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য আপনি শহরে কখনো উপভোগ করতে পারবেন না। তো কাল বেরিয়েছিলাম গ্রামের সৌন্দর্য দেখার উদ্দেশ্যে।

বাংলা চৈত্র মাস এখন। ফাল্গুন-চৈত্র বসন্তকাল হলেও এখন প্রকৃতি দেখে বসন্তকাল বুঝার উপায় নেই। কারণ প্রচন্ড গরম। মনে হয় গ্রীষ্মকাল। আর গ্রামের সবচেয়ে মজার মুহূর্ত হলো পুকুরে সবাই একসাথে গোসল করা। ছোটবেলায় বেশি গরম লাগলেই পুকুরে ঝাপ দিয়ে দিতাম। শরীর ঠান্ডা না হওয়া অবধি পুকুরের ভিতর বসে থাকতাম। উপরের যে পুকুরের ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটি আমাদের গ্রামের বলতে গেলে সবচেয়ে বড় পুকুর। গ্রীষ্মকাল এখন তাই পুকুরের পানি অনেকটা কমে গিয়েছে।

আমাদের জাতীয় ফল কাঠাল। গাছে গাছে এখন কাঠাল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো এখনও ছোট। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে গাছ থেকে কাঠাল পারা হবে। কাঁঠাল আমার ভীষণ পছন্দের ফল। এবং এ ফলের পুষ্টিগুণও বেশি। রাস্তার পাশে কিছু গাছে দেখতে পেয়েছিলাম কাঁঠাল হয়েছে। এখনও ছোট। বড় হলেই গাছ থেকে পারা হবে।

আমাদের গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে নরসুন্দা নদী। ঠিক এই সময়টাতে নদীতে কোনো পানি থাকে না। নদীর ভিতরে চাষাবাদ করা হয়। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নদীর ভিতরে ধান চাষ হচ্ছে। ঠিক একটা মৌসুমেই ধান চাষ করতে পারে। যখন বর্ষার মৌসুম চলে আসে তখন ধান চাষ করতে পারে না। পানিতে সব তলিয়ে যায়। ধানগুলো বৈশাখ মাসের শেষের দিকে কাটা হয়ে যাবে।

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ইটভাটার ছবি। শীতকাল থেকে গ্রীষ্মকাল অবধি ইটভাটাগুলো অনেকটা সক্রিয় থাকে। কারণ এ সময়টাতে বৃষ্টি থাকে না। অনেক বেশি পরিমাণে ইট বানিয়ে রেখে দেয়া হয়। ইট ভাটাতে গিয়ে দেখেছিলাম অনেকগুলো ইট বানিয়ে রেখে দিয়েছে। কিছু ইট এখনও পুড়ানো বাকি। প্রতিনিয়ত ইটের চাহিদাও বাড়ছে। কারণ মানুষজন এখন দালানবাড়ি বানাতেই ব্যস্ত। টিনের চালের ঘর গ্রামে এখন কম দেখতে পাওয়া যায়।

ধানের চারা থেকে ধানের শিষ বেরিয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ধানগুলো পাকতে শুরু করবে। তখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়ে যাবে। সে সময়টা আসলে বেশ চমৎকার। কারণ নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দটাই অন্যরকম।

কাল বিকালে আকাশটা মেঘে ঢাকা ছিল প্রায়। আমি ভেবেছিলাম হয়তো বৃষ্টি আসবে। কিন্তু আকাশ আমাকে হতাশ করলো। বাতাস ছিল কিন্তু বৃষ্টি আসেনি। বৃষ্টির জন্য গ্রামের মানুষ অপেক্ষা করছে। কারণ বৃষ্টি হলে ধানের জমিগুলো তাড়াতাড়ি বড় হবে। কিছুটা প্রাণ ফিরে পাবে প্রকৃতি।

ভূট্রা ক্ষেত এখন খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। আগের বছর আমাদের জমিতে ভূট্রার চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার আর করা হয়নি । গ্রামের এক জায়গায় দেখতে পেলাম ভূট্রার চাষ করা হয়েছে। ভূট্রা গাছে দেখতে পেলাম ভূট্রা ধরেছে। সেখান থেকেই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। আর কিছুদিন পর ভূট্রা পেকে গেলে পেরে ফেলা হবে গাছ থেকে।

Device	Oppo A12
Photographer	@haideremtiaz
Location	W3w

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

PUSS COIN:BUY/SELL

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}