লাইফস্টাইল: দীর্ঘদিন পর মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আপনাদের সাথে দীর্ঘদিন পর ক্রিকেট খেলতে আসার অনুভূতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
জনপ্রিয় খেলা গুলোর মধ্যে ক্রিকেট এবং ফুটবল আমার কাছে সবথেকে জনপ্রিয়। ফুটবল সব সময় খেলা গেলেও ক্রিকেট সব সময় খেলা যায় না আমাদের এই দিকে। বেশিরভাগ শীতকালে আমাদের এদিকে ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে। বর্ষাকালে মাঠে পানি জমার কারণে মাঠে অনেক কাদা হয়ে থাকে তাছাড়া আমাদের এই দিকের মাটি হচ্ছে এঁটেল মাটি। এই মাটিতে সামান্য পানি পড়লেই কাদা হয়ে যায়। তবে শীতকালে এই মাটি অনেক শক্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে এই মাটি অনেক শক্ত হওয়ায় ক্রিকেট খেলার জন্য খুবই উপযোগী সময় হয়ে উঠেছে।
আমাদের এই দিক আমবাগান হওয়ায় খেলার মাঠের অভাব নেই। যেখানে সেখানে ক্রিকেট খেলা যায় তবে আর কয়েকদিন গেলে আমাদের এই খেলা বন্ধ হয়ে যাবে কারণ আম বাগানে এখন মুকুল আসতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পর এখানে আর আম বাগানের মালিকরা খেলতে দিবেন না । কারণ বল গাছের ডলের মধ্যে লাগলে আমের মুকুল পড়ে যাবে। দীর্ঘদিন পর কালকে বিকেলবেলা দেখতেছি মাঠে ছোট ছোট ভাইরা ক্রিকেট খেলার জন্য প্লেয়ার ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। আমি তখন বাজার যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলাম।
ছোট ভাইদের খেলা দেখে বাজার যাওয়ার ইচ্ছা আর হলোনা । শেষমেষ আমিও তাদেরকে বললাম আমিও খেলব। এরপর প্লেয়ার ভাগাভাগি করে নিলাম। প্রথমে টস করে আমরা টসে হেরে ফিল্ডিং নিলাম। পাঁচ ওভারে বিপরীত দল ৫৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল। আমি এবং ফুয়াদ নামের এক ছোট ভাইসহ প্রথমে ব্যাট করার জন্য নামলাম। আমি বিষ রান করে আউট হয়ে গেছিলাম। শেষ ওভারে আমাদের রান দরকার ছিল ১৩ রান। শেষমেষ আমরা দুই রানের জন্য ম্যাচটি হেরেছিলাম।
তারা ম্যাচ জেতার পর আবার ব্যাট করতে নামে। আমাদের এদিকে নিয়ম হচ্ছে প্রথমে টস হবে এর পরের ম্যাচগুলো যে জিতবে সেই ব্যাট করবে। প্রথমে ম্যাচ হারার জন্য আবার আমাদেরকে প্রথমে ফিল্ডিং করতে হয়। এবার তারা পাঁচ ওভারে ৪০ রানের টার্গেট দিয়েছিল। এই ম্যাচটা আমরা এক ওভার হাতে থাকতেই জিতেছিলাম। আসরের পর দুইটা ম্যাচ খেললেই দিন শেষ হয়ে যায়।
আগের মতো আর এখন তেমন ক্রিকেট খেলা হয় না। বর্তমান অনেক ব্যস্ততার মাঝে কাটাতে হচ্ছে। আসলে যত মজা করা যায় ছোট থাকতেই। আগে খেয়ে না খেয়ে অনেক ধরনের খেলাধুলা করতাম। আর এখন সময়ই পাওয়া যায় না এসব খেলাধুলা করতে। আসলে আমাদের উচিত শরীর চর্চায় এসব খেলাধুলা করা মাঝেমধ্যে। বিকেল হলে এখন থেকে এই মাঠে খেলতে আসা লাগবে। প্রতিদিন বিকাল হলে এখানে ছোট ভাইরা খেলতে আসেন।
আমার আজকের ব্লগটি পরে আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।
আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
ডেইলি টাক্সগুলো:
https://x.com/Golamrabba34801/status/1886343809258459242?t=Yn_J--VDVTR8esa0nrVkoQ&s=19
ছোটো বেলায় অনেক ক্রিকেট খেলেছি বিকেল বেলা। এখন আরো আগ্রহও নাই।
অনেক দিন পর আপনার ক্রিকেট খেলার ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। দুই দলই যে একবার একবার করে জিতেছে এটা অবশ্যই আরেকটা ভাল দিক।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার খেলাধুলার এই পোষ্টের মাঝে খুঁজে পেলাম অতীতের অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি। হয়তো আপনারা ক্রিকেট খেলেছেন আমবাগানে আমরা খেলতাম শিশু বাগানে। আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে এক পলকেই যেন ভেসে আসলো সেই অতীতের স্মৃতিময় বাগানখানি। এখন সেই জায়গায় পুকুর হয়ে গেছে। কিন্তু খুব সহজেই চোখে ভাসিয়ে ফেলতে পারলাম অনেক দিন পর সে জায়গা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে খেলাধুলার মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
আসলে এভাবে শেষবার ক্রিকেট খেলেছি গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। যাহোক অনেকদিন পর আপনি ক্রিকেট খেলেছেন এবং সেই কথাগুলো আমাদের মাঝে বেশ সুন্দরভাবে শেয়ার করছেন। একই সাথে আপনাদের ক্রিকেট খেলার মুহূর্তের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আম বাগানে আম ধরা শুরু হয়ে গেলে খেলা বন্ধ হয়ে যাবে এটা সত্যি খারাপ লাগার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে তখন। সুন্দর একটি খেলার জায়গা যখন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তখন নিজের কাছেও খারাপ লাগে। আমরাও একসময় আমাদের বাড়ির পাশে একটি বাগানে খেলা করতাম এভাবে। এখন সময়ের ব্যবধানে দূরে থাকতে হয়। তবে মিস করি আমাদের সেই সময়টা আর খেলার স্থানগুলো।