পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইদানিং ফটোগ্রাফি একেবারেই করা হয় না। এর পেছনে কারণ মূলত দুইটা। প্রথম কারণ আমি বাইরে বের হওয়ার সময় সুযোগ খুব একটা পাই না বললেই চলে। আর দ্বিতীয় কারণ ঢাকার মধ্যে ছবি তোলার সেরকম দৃশ্য আমি একেবারেই খুজে পায় না। সেই রাস্তা সেই বাস সেই উচু বিল্ডিং এর ফটোগ্রাফি কী করে বলেন। এইজন্যই আজ আমি আপনাদের সাথে আমার পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
- ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস চলছিল তখন। ঐসময় আমি বেশ সকালে ঘুম থেকে উঠতাম। একদিন শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি মাঠে হাঁটতে গিয়েছিলাম। হাঁটতে গিয়ে আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। যেখানে একটা ছোট্ট পোকা ধানের চারার উপর একেবারে ঝাপটে বসে আছে। এবং পাশেই শিশিরের উপস্থিতি বেশ সুন্দর ভাবে বোঝা যাচ্ছে।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা ২০২২ সালের গ্রীষ্মকালের এক বিকেলে। আমার এলাকার মধ্যে থেকে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম। একেবারে বিকেলের দিকে। যখন রোদের তাপ কমে এসেছে। গাছের ছায়াঘেরা গ্রামটা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। এখনও এই জায়গাটা দেখলে আমার মনে হয় এক দৌড়ে আমার গ্রামে চলে যায়।
- ২০২২ সালের কথা। সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাসের দিকে হবে। প্রচণ্ড গরম। সারাদিন বাড়িতে থাকলেও বিকেলে আর বাড়িতে থাকতাম না। চলে যেতাম আমার বাড়ির পাশের মাঠে। বিকেলে মাঠ বেশ সুন্দর বাতাস হতো। সেই প্রাকৃতিক বাতাস একেবারে প্রশান্তি এনে দিত। এইরকমই এক বিকেলে একটা সফট ড্রিঙ্কস নিয়ে আমি মাঠে যাওয়ার সময় ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম।
- আমি জীবনে খুব বেশি প্রাণী পালন করিনি। এর কারণ ছিল ঐসব নিয়ে আমার শখ ছিল কম দ্বিতীয়ত আমার মা। তবে আমার একটা বিড়াল ছিল। সাইমন কে আমি খুবই ভালোবাসতাম। ওর বিদায় আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল। এটা সাইমনের ফটোগ্রাফি। একদিন বসে থাকার সময় ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম আমি।
- ২০১৮ সালের কথা। তখন আমি ক্লাস টেন এ পড়ি। ঐসময় ট্যুরে গিয়েছিলাম সুন্দরবন এবং বাগেরহাট। বাগেরহাটের সবচাইতে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য হলো ষাট গম্বুজ মসজিদ। এটাই হলো সেই ষাট গম্বুজ মসজিদ। এর ফটোগ্রাফি টা আমিই করেছিলাম ঐসময়। যদিও ঐসময় আমার কোন ফোন ছিল না। তবে আমি আমার বড় ভাইয়ের ফোন নিয়ে গিয়েছিলাম ঐ ট্যুরে।
- গ্রীষ্মের দুপুর। ঐ ৩ টা মতো হবে। কোথাও একটা যাওয়ার জন্য আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। এবং হাইওয়েতে এসে আমি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলামহ ঐসময় এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। তখন এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম।
- মাঝে মাঝে আমার নিজের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আমি হতবাক হয়ে যায়। আমার অজান্তেই একটা মাস্টারপিস আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এটাও সেরকমই একটা ফটোগ্রাফি। শুধুমাত্র সামান্য একটা ক্লিকেই এটা ধারণ করেছিলাম আমি। এখন দেখলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1924026607402164544?t=4jTeqJcKrPjpkmZBF1jJGw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1924026925334536212?t=oEOZHK1JZvP4HTAfdwfmeQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1924027171229896733?t=-ge1ElDua-qWJSTf7pTplw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আরে বাহ্ আজকে দেখছি আপনি আপনার পুরাতন অ্যালবাম থেকে কয়েকটি মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মন ভরে গেল ভাই। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দূর্দান্ত হয়েছে, বিশেষ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে শিশির ভেজা ঘাসের ফটোগ্রাফিটি। এছাড়াও বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ সাজানো গোছানো।
ভাইয়া আপনি পুরাতন অ্যালবাম থেকে দারুণ দারুণ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আমার কাছে এইরকম ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন ধরে ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করে দেখেছেন তাহলে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি কিন্তু চমৎকার। ঢাকার ভিতরে ফটোগ্রাফি করার স্পেস না পাওয়ার কারণে এবং ঘোরাঘুরি না করার কারণে ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারেন না। আমার কাছেও প্রাকৃতিক পরিবেশের ফটোগ্রাফি করতে দারুন। আপনার চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। চমৎকার উপস্থাপনায় শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ মনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ধানের চারায় বসে থাকা ছোট্ট পোকার এই ফটোগ্রাফিটি দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগছে আর আপনার এই ফটোগ্রাফিটিও আমার একদম মন ছুয়ে গেছে। অসম্ভব সুন্দর মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা ষাট গম্বুজ মসজিদের ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও বাকি সব ফটোগ্রাফী বেশ দারুন হয়েছে।
আপনি দেখছি পুরানো অ্যালবাম থেকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ। আসলে আপনি এমনিতে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন। সত্যি বলতে আপনার পুরনো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার পুরাতন অ্যালবাম থেকে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার এই প্রচেষ্টা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। প্রতিটি ছবির পেছনের গল্প এবং আপনার অনুভবগুলো এতটাই জীবন্ত করে তুলেছেন যে যেন চোখের সামনে দৃশ্যগুলো ভেসে উঠল। বিশেষ করে শিশিরভেজা ধানের চারা আর সাইমনের ফটোগ্রাফিটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আপনি শুধু একজন ভালো ফটোগ্রাফারই নন, একজন সংবেদনশীল গল্পকারও বটে। এমন আরও স্মৃতিময় পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
একেবারে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ যেভাবে আপনি এখানে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তা একের পর এক একেবারে চমৎকার দেখা যাচ্ছে৷ একইসাথে এখানে এই ফটোগ্রাফি একের পর এক শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতাকেও আপনি খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন,,