পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি খুব একটা ভালো আছি বলবনা। বলতে পারেন ডিপ্রেশনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছি। ছোট থেকেই অনেক কিছুই মেনে নিয়েছি। নিজের সাথে হওয়া অন্যায় টা মেনে নেওয়ার প্রতি একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে আমার। কিন্তু এবারে একটু বেশিই খারাপ লাগছে। কর্মজীবনে প্রবেশ করেছি একবছরের একটু বেশি সময়। এরমধ্যেই ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আমি পলিটিক্স এর ভুক্তভোগী। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে আমার কাজের অবমূল্যায়ন এবং স্বজনপ্রীতি দেখে আমি আমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছি। সত্যি বলতে চাকরি টা করার আর ইচ্ছা নেই আমার মধ্যে। যাইহোক আজ আমি আমার পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
- গত বছর এই সময়ের কথা। তখনও আমি নীলক্ষেতের সাথে ঐভাবে পরিচিত না। একদিন বিকেলে সময় করে চলে গেলাম নীলক্ষেত বই মার্কেটে বই কিনতে। ঐসময় নীলক্ষেত বই মার্কেট থেকেই আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। এখন এটা আমার খুবই পরিচিত এবং পছন্দের একটা জায়গা।
- ঢাকার মধ্যে একটু গাছপালা সম্ভবত এই রোডটাতেই দেখা যায়। এবং এই জায়গাট বেশ নিরিবিলি বলতে পারেন। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুটা আগে। রিক্সায় করে যাওয়ার সময় এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম। এই রাস্তায় রিক্সায় করে যাওয়ার সময় এক আলাদাই অনূভুতি পাওয়া যায় কিন্তু।
- গত বছরের কথা। ঐদিন আমি ঢাকা ফিরব। আমার বাস ছিল ভোর ৫ টাই। শেষ রাত থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি। আমি বাসের জন্য হাইওয়ে তে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঐ মূহুর্তে এমন এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে হাইওয়ে টা যেন একেবারে ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
- যদি আপনারা আমার পোস্ট অনুসরণ করে থাকেন তাহলে এই জায়গাটার ছবি আপনাদের মুখস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। এই ফটোগ্রাফি টা আমি করেছিলাম গতবছর ঈদে বাড়িতে গিয়ে। ঐদিন কিছুটা মেঘলা ছিল। আমার পছন্দের জায়গাই ঘুরতে গিয়ে আমি এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম। নদীর পাড়ে এমন সুন্দর পরিবেশ একেবারে প্রাণ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো।
- বৃষ্টির দিনে সবচাইতে অসহায় কে জানেন? আমার দুজন ব্যক্তি যার কাছে ছাতা নেই এবং যার বউ নেই। না বউ নেই মানে খারাপ কিছু ভাববেন না। বউ থাকলে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতো আর কী। এই ফটোগ্রাফি গতবছর আমি আমার ইউনিভার্সিটির বাইরে থেকে ধারণ করেছিলাম। যেখানে একজন মানুষ ছাতা না থাকায় ভিজতে ভিজতে হাঁটছিল।।
- এই ফটোগ্রাফি টা এক বিকেলে আমি আমার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে করেছিলাম। ততদিনে আমার লেখাপড়া শেষ। আমার পছন্দের মানুষ টার পরীক্ষা চলছিল। তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।তবে কিছুটা আগে চলে যাওয়ার জন্য মাঠে বসেছিলাম। এবং ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি।
- বিগত কয়েক বছর আমাদের এলাকায় বৃষ্টি খুবই কম হয়।বলতে পারেন আমি বৃষ্টির এই পরিবেশ টা বেশ মিস করি। গত বছর এপ্রিল মাসের কথা। এক বিকেলে হঠাৎ মেঘে আকাশটা যখন ঢেকে গেল তখন আমি বাইরে বেরিয়ে যায়। আকাশটা দেখতে থাকি। মূহুর্ত্তের মধ্যে বাতাস শুরু হয় ঝড়ের মতো। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1937803874246820329?t=ZwxS6m7OMLR1YIHSbvw8Yw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1937804042664898678?t=_4nrzh_VluNcorj3AGEUkg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1937804223225508187?t=d_oqco_32cmiTMeFjJeE8w&s=19
https://x.com/Emon423/status/1937804401038823453?t=LoXAFE14OPVMVBm0-pn7ww&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আপনার তোলা বরাবরাই ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লাগে।বিশেষ করে রাস্তা এবং নদীর ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেকটা কর্মস্থানেই কমবেশি পলিটিক্স থাকবেই তার মধ্য দিয়েও আমাদের কর্ম করে যেতে হয়। যাইহোক আজকের আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ সুন্দর লাগলো। সব থেকে ভালো লাগছিল নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলি সত্যিই ভালো লাগলো ভাই। ফটোগ্রাফিগুলির বর্ণনা গুলি পড়ে ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যটি বুঝতে পারলাম। বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলি একত্রে শেয়ার করার জন্য দেখতেও ভালোই লাগতেছে।