হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

source

আমি এক সময় ছিলাম সেই হাসি পরিচয়— অল্পতেই খুঁজে পাই আনন্দ, চোখে ঝিলিক, মুখে অচেনা রنجনের পরে ছিটকে ওঠা এক সহজ হাসি; মানুষকে দিলাম বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসটা ছিল আমার শেষ আশ্রয়। কিন্তু একদিন সে এসে আমার ভিতরকার সব দরজা খুলে দিল, নামমাত্র ভালোবেসে ঢুকল কিন্তু ছিলো শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী আর কঠিন ছলনাময়ী, আর আমি অচেতনভাবে তার প্রতিটি রোধে নিজেকে ভর করে দিলাম। সে যে স্পর্শ করেছিল, এখন সেই স্পর্শের স্মৃতি আমার গায়ে লাগানো আয়রন-কাঁটা; প্রতিটি স্মৃতির কোণে লুকানো একটা ব্লেড গুঁজে আছে, সময় একটু ঠেলে দিলেই আমার ভেতর থেকে রক্ত সটকে ঝরে পড়ে। আমি এখন প্রতিদিনই সেই ক্ষত ঝরাই—সকালটা শুরু হয় আয়নায় নিজের মুখটা দেখে, যেখানে হাসিটা যেন জাম্পসুটের ভিতরে আটকে থাকা একটি পুরাতন ছবি; চোখটা বলছে আগুন আছে, কিন্তু ঠোঁটটা বলছে নীরবতা। রাতে, যখন সকলের আলো নিভে যায়, আমি শুয়ে ভাবি—কোথায় ভুল হল।

কোন কথার পিছনে ছলনা ছিলো, কোন মুখের মধ্যে ছিলো নরমা ভেজা মিথ্যা। আমার বুকের ভেতর একটা পুরনো ঘড়ি আছে, প্রতিটি টকটকে শব্দে মনে করিয়ে দেয় সে কথাগুলো: "আমাকে বিশ্বাস করো ,আমি সব সত্যি বলছি"কিন্তু মনের ভিতর ছিল মিথ্যার কারখানা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী—এগুলো ছিলো তার জালমুঠো; এখন সেই জালমূথগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমার আত্মাকে টানছে, আমি হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। স্মৃতিগুলো আর স্মৃতি থাকে না—এসব তো যেন বিষাক্ত ফল, প্রতিটি কামড়ে আমার কান্নার নদী গভীর হয়।

আমি মানুষের ভিড়েও একাকী, হাসি মুখগুলো আমার কাছে ভ্যানিশিং স্পিরিটের মতো; কেউ কাছে এলে আমি ভাবে হয়ত সে আসবে পাশে বসে আমার কষ্ট গুলো শুনবে, কিন্তু সবাই জানে না কিভাবে আমার ভাঙা জিনিসগুলো আবার জোড়া লাগাতে হয়,তাই নিশ্চুপ থাকি। যতক্ষণ ছিল, আমি ভেবেছিলাম আমার ভেতরকার নরমিটুকুই আমাকে বাঁচাবে—কিন্তু এখন সেই নরমিটুকিই আমার ওপর ছুরি ঠেকিয়ে দেয়।

মাঝে মাঝে ভাবি, যদি আমি একটা শব্দও বলতে পারতাম, যদি আমি বলতাম 'হ্যাঁ, আমি ভেঙে পড়েছি', হয়ত কেউ থামত; কিন্তু শব্দগুলোও যেন কখনোই আমার দেহ ছাড়ে না, কণ্ঠস্বরটা গলায় গেঁথে আছে, কাঁধের ওপর গুরুদায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইরে মানুষ দেখে আমি যেন অচেনা, তবু রাতের অন্ধকারে আমার অন্তর কাঁদে—সেখানে সব রং মুছে গিয়েছে, শুধু কষ্টের কালো কোলাজ থেকে ডুরছে। কখনো আমি দিই নিজেকে প্রশ্ন—কেন আমি এতটা করেনি সতর্ক? কেন আমার বিশ্বাসের নিঃস্বার্থতাই আমাকে শিকারে ফেললো?

কিন্তু প্রশ্নগুলোর জবাব আসে না, আসে শুধুই এক ধক্কা, যা প্রতিটি দিনই আমাকে আরো খাঁজে টেনে নেয়। এখন আমার হাসি কেবল একটি আঁঁকিবুঁকি, ভেতর থেকে সবকিছু শুকিয়ে গিয়েছে; আমি নিজে যেন একটা শুন্য চিঠি, যেখানে কোনো উত্তর নেই। মনে হয় যেন পৃথিবীর সব দরজা বন্ধ, আর আমার কণ্ঠস্বর তাদের পেছনে আটকে আছড়ে পড়ছে; যে কান আছে শুনতে, তাদেরও কানে পানি ঢুকেছে হয়তো কাহিনী শুনে, কিন্তু কেউ এসে বলছে না—'এটা সারিয়ে নাও'।

আমি চাই না কারও চোখে কষ্ট দেখাতে—সব কষ্টের ব্যথার বিচার দিয়েছি ঐ উপরওয়ালাকে তিনিই সঠিক বিচার করবেন,। আমি প্রতিটি ভোরে ছোটো ছোটো চেস্টা করি, ভাঙা অংশগুলোর মাঝে ছোটো রোদ খুঁজে আনতে; হয়তো একদিন, অনেকদিন পরে, আমি আবার কিছুটা হাসবো—কিন্তু আজকের এই কষ্টই আমার পরিচয়, আজকের এই অশ্রুও আমার ইতিহাস।কিন্তু যে বা যারাই আমাকে বিনা কারণে কষ্টের শূন্য মরুভুতে ভাসিয়েছে হোক ইহকাল বা পরকাল কক্ষনো ক্ষমা পাবেনা।