চরের সৌন্দর্য দর্শনে , এক বছর পর।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গতবছরে আমাকে যাঁরা ফলো করেছেন তারা জানেন কি পরিমান ঘোরাঘুরি করেছি। প্রত্যেকটা মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতাম। কিন্তু এবার বিভিন্ন ব্যস্ততা আর নানান সমস্যার কারণে এই শীতকালীন মুহূর্তগুলো উপভোগ ই করতে পারলাম না। গত পরশু দিন যশোর থেকে বাড়ি আসার পর গতকাল গিয়েছিলাম শীতকালীন চরের সৌন্দর্য দেখতে।
ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারছি না কারণ ফটোগ্রাফি করা হয়নি। ফোনে দু চারটে ছবি উঠেছিলাম শুধুমাত্র। গত বছর অনেকবার গিয়েছিলাম চরে। চোখ জুড়ানো অনেক অনেক ছবি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। অনেক প্রশংসা ও পেয়েছিলাম। সেই আমেজটা এবার আর কেন জানি নেই। আগে চরে গিয়েছি একবারে পাঁচ সাতটা বাইক নিয়ে ১০-১৫ জন। এবার সবাইকে একসাথে পাওয়া ও যাচ্ছে না। যাহোক গতকালকে গিয়েছিলাম মাত্র চার জন। এবার চরে এই প্রথম গেলাম।
গিয়েছিলাম সাড়ে তিনটার দিকে। এবার অবশ্য তুলনামূলক কম সরিষার দেখা মিলছে চরে। এটার কারণ হলো নদীর পানি নামতে এবার অনেক দেরি হয়েছিল। যাই হোক চরে গিয়ে আমরা চারটের দিকে পৌঁছেছিলাম। এখন শীতের সময় হওয়ায় পাঁচটা সাড়ে পাঁচটার দিকেই সূর্য ঝাপসা হতে থাকে কুয়াশার কারণে। বেশ অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছি। চাষের জমি দিয়ে হাঁটাও বেশ কষ্টকর। কিন্তু এমন সুন্দর দৃশ্য মন মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ।
সরিষা ফুলের ঘ্রাণ আমার খুবই ভালো লাগে। এই সময় চরের বাতাসে সরিষা ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়ায়। অনেক ফ্রেশ লাগে পরিবেশটা। আর মাঝে মাঝে দেখা যায় ঝাকে ঝাকে পাখি উড়ে যাচ্ছে। এমন দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়??
আমাদের সাথে ছিল এক ভাগ্নে। ওদের আখের খুলা আছে চড়ে। গতবছর আপনাদেরকে যে দেখিয়েছিলাম আমরা আখের রস খেতে গিয়েছি, ঠিক ওই একই খুলায় এবারও গিয়েছিলাম। সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল ততক্ষণে। সূর্য অস্ত চলে গেছে। আমাদের ইচ্ছা ছিল রস খাওয়ার। কিন্তু ওই সময় মেশিন বন্ধ ছিল। কৃষকরা গুড় জ্বালাচ্ছিল। আমরা গিয়ে মেশিন স্টার্ট দিয়ে তারপর রস খেয়েছিলাম।
যখন দেখলাম গুড় জ্বালাচ্ছে ওই গরম গুড় খাওয়ার লোভ কি সামলাতে পারা যায়? আমরা গরম গুড় নিয়ে প্লেটে করে খেয়েছিলাম। মুড়ি দিয়েও খেয়েছি অনেক খানি। এবছরের প্রথম গরম গুড় খেলাম। আখের রস আর আখের গুড় দুটো একসাথেই খাওয়া মিলল কাল।
এরপর আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে আকাশে এক অদ্ভুত জিনিস দেখতে পেয়েছিলাম আমরা কালকে। তখনও চর থেকে বের হতে পারিনি। চরের মধ্যেই ছিলাম। আকাশে ওই আলোর বিন্দুটা দেখে মনে হচ্ছিল আকাশ থেকে কিছু একটা পরছে। আর সেটা মনে হয় আমাদের এলাকায় এসে পড়বে। তখন কিছুই আইডিয়া করতে পারছিলাম না আরকি।
একটা ভিডিও করেছিলাম। পরে বাজারে গিয়ে ফেসবুক স্ক্রোল করতে গিয়ে দেখলাম বাংলাদেশের সব জায়গা থেকেই নাকি এমনটাই দেখা গিয়েছে। এটা রকেট বা অন্য কিছু হতে পারে। রাত্রিকালীন সময় আমরা দেখেছি এজন্য বুঝতে পারিনি। কারন দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র আলোর বিন্দু। আর সেই বিন্দু থেকে এক সাইডে আলো ছড়াচ্ছে। যেমনটা টর্চ লাইটে হয়।
যাই হোক বন্ধুরা এটাই ছিল আমার গতকালকের ক্ষুদ্র একটা সময়ের অনুভূতির গল্প। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গতবার সবাই মিলে চরে গিয়েছেন যার বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন। আমার এখনো মনে আছে সেই সময়ের কথা। যাইহোক আপনার তো ভাগ্য খুবই ভালো একদম তাজা তাজা আখের রস তার সাথে আখের ঝোলা গুড় দিয়ে মুড়ি দিয়ে খেতে পেরেছেন। আমার তো লোভ লেগে গেল ভাইয়া। তবে শেষ পর্যায়ে যখন দেখলাম আগুনের মত এটি উড়ে যাচ্ছে, তখন আমার মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় আমরা যখন চট্টগ্রাম বাসায় থাকতাম তখন সন্ধ্যার পরে দেখতাম মাঝে মাঝে এরকম আগুনের মত করে কিছু একটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়ে যেত। তখন মনে হতো কেউ যেন আগুনের গোলা ছুড়ে মারছে। আসলে এই জিনিসটা দেখেই সেই কথা মাথায় আসলো। তবে কিছুটা ভিন্নতা এর মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। ভালো লাগলো সবগুলো ফটোগ্রাফি।
ভীষণ ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে, যে আপনি এখনো মনে রেখেছেন।
চরের সৌন্দর্য দর্শন করতে গিয়ে একবছর পরে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমি যখন গ্রামে ছিলাম তখন মাঝে মধ্যেই বন্ধুদের সাথে চরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতাম। প্রায় ১০ বছর হয়ে গেলো চরের সৌন্দর্য দেখা হয়না। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমি কখন গরম গুর খাইনি। আর আপনার শেষের ছবিটা টর্চ লাইটের মতো দেখা যাচ্ছে ঠিক বলেছেন।
সময় সুযোগ পেলে একদিন এসে আবার ঘুরে যাবেন। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে হয় মাঝেমধ্যে।
ওয়াও কি সুন্দর দৃশ্য , ভাইয়া আমি কখনো নিজের চোখে দেখিনি সরিষা খেত। আর সরিষা ফুলের ঘ্রাণও কখনো শুকা হয়নি। আর গরম গুড়ও কখনো খাওয়া হয়নি। 😟😟
এমন সুন্দর দৃশ্য আপনি নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন। আর রাতের আকাশের বিষয়টি আমিও ফেইসবুকে দেখেছি। কিন্তু বেশ অদ্ভুত এই জিনিসটি। এর কোন ব্যাখ্যা পেলাম না।
কোন একদিন সময় সুযোগ পেলে এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে সময় কাটিয়ে যাবেন খুবই ভালো লাগবে।
কি বলেন ফটোগ্রাফি করলেন না শুধু মাত্র কয়েকটা ছবি তুললেন। আপনার ছবি তোলাই তো ফটোগ্রাফি করা। আমি তো দেখছি অনেক বেশি সরিষা দেখা যাচ্ছে, যদিও আপনি বলছেন গতবারের তুলনায় এবারে কম দেখা যাচ্ছে। ঠিক বলেছেন এর আগের বছর আপনার কাছ থেকে অনেক অসাধারণ ফটোগ্রাফি পেয়েছি। কিন্তু এবার তো সেরকম দেখতে পেলাম না। তবে আখের গুড় এরকমভাবে তৈরি করছে আমি কখনো দেখিনি। আপনি তো দেখছি একেবারে প্লেটে নিয়ে খেয়ে নিয়েছেন। আপনার খাওয়া দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। আবার বলছেন মুড়ি দিয়ে খেলেন। আর সব থেকে বেশি ভালো লাগলো শেষের ভিডিওটা।
আপু গতবার আপনারা আমার ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছেন আমার এখনো মনে আছে। আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছি অবশ্য, দু-একদিনের মধ্যেই শেয়ার করব ইনশা আল্লাহ্।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আখের গুড় মুড়ি দিয়ে কখনো আমার খাওয়া হয়নি। আপনার কথা শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার মত করে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ছবিগুলো আমার ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার। অনেকদিন যাবত ফটোগ্রাফি করেন না তা আপনি ঠিক বলেছেন ,আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই মিস করি। আজকের এই ছবিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাই। ধরনের ছবিগুলো আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো। আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছি সেগুলো শেয়ার করব শীঘ্রই।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখার আশায় রইলাম ভাইয়া
ভাইয়া আপনার গত বছরের পোস্ট দেখা হয়নি তবে এবার আপনার এত সুন্দর চরের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সরিষা ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোটবেলায় এই সরিষা ফুলের ক্ষেতে ফুল তুলে এনে বড়া বানিয়ে খেতাম। সরিষা ফুলের বড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এছাড়া গরম গরম আখের গুড় আহ কি মজা। আমিও অনেক খেয়েছি তবে অনেক বছর হয়েছে এই দৃশ্য দেখাও হয়না আর এই গরম আখের গুড় খাওয়া হয়না। ভাইয়া এত সুন্দর দৃশ্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই দৃশ্যগুলো আমার মন কেড়ে নেয়। আমি এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে বারে বারে ছুটে যাই।
ভাইয়া আপনাকে প্রথমে বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আশাকরি ভাল আছেন।আপনার গতবারের চরের ফটোগ্রাফিগুলো দেখা আমার সম্ভব হয়নি। কারন এর পরে আমি এই কমিউনিটিতে যোগ দিয়েছিলাম। এখন দেখছি সেই ছবিগুলো।যাই হোক ভাইয়া আপনার তোলা ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ। এমন সরিষা ক্ষেত অনেকদিন দেখা হয় না। এই সরিষা যখন হয়,তখন সরিষার মিষ্টি গন্ধে চারিদিকে ভরে ওঠে।আর আমি ইউ টিউবে রংপুরের এক আপুর ব্লগে গুড় বানানোর প্রক্রিয়াটি দেখি,তাই এটা আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিল। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি কিন্তু একদম ঠিক বলেছেন। সরিষা ক্ষেতের গন্ধ আসলেই মনোমুগ্ধকর।