ওভারলোড দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি কি বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।ওভারলোড কথাটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত।সাধারণত নিদ্দিষ্ট পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল বহন করাকেই আমরা ওভারলোড হিসেবেই জানি।আমাদের দেশে এত এত সড়ক দুর্ঘটনা সবগুলোর পিছনেই এই কারণটি যেন অন্যতম।একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল যানবাহন এর ধারণক্ষমতার বাইরে থাকে যা পরবর্তীতে দুর্ঘটনায় পরিণত হয়।
বর্তমানে এই ওভারলোড শুধুমাত্র মালামালের ক্ষেত্রেই থেমে নেই।এটি হয়ে গেছে মানুষের ক্ষেত্রেও।এখন যানবাহন গুলোতেও মানুষের ওভারলোড লক্ষণীয়।আজকে হঠাৎ আপনাদের মাঝে এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে এলাম এজন্য।পূর্বে আমি কলেজে যাতায়াত ট্রেনেই বেশিরভাগ করে থাকতাম।কিন্তু বর্তমানে ঢাকাগামী ট্রেন গুলো আমাদের এই রুটে চালু হওয়ায় ট্রেনের টাইম শিডিউল চেইন্জ হয়ে গিয়েছে।এজন্য আমার বাসে করেই যাতায়াত করতে হয়।তো সেদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে স্টেশনের অবস্থা দেখে আমি হতবাক। ট্রেনের একটি বগিতে মোটামুটি ২০০ জন করে যাত্রী রয়েছে।এমন অবস্থা যে তারা বগির মধ্যে জায়গা না পেয়ে গেটের নিচে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে যেই বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন টাই আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা ।এজন্য এই লাইনে ট্রেনের সংকট পড়ে গিয়েছে।যেহেতু সংকট সেহেতু বাসে বা আরো অন্য মাধ্যমে যাওয়া আসার অপশন রয়েছে।কিন্তু সাধারণ জনগণ সেভাবে না গিয়ে সেই ট্রেনেই যাচ্ছে।এই ধরুন একটি বগিতে নিদ্দিষ্ট পরিমাণ যত সংখ্যক মানুষের সিট রয়েছে তার থেকে তিন চারগুণ মানুষ বেশি যাচ্ছে।এমন অবস্থা যে মশা, মাছিও গলে যাবে সহজেই।
তো সেদিনের এই অবস্থা দেখে আমার মনে হলো বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার পর যাত্রীরা সহজেই হয়তো বগি থেকে বেরোতে পারেন নি। যার জন্য ক্ষয়ক্ষতি বেশ হয়েছিল।বর্তমান ট্রেনের রুট গুলোতে ভিড় বেশি ।কেননা মানুষ এখন সড়ক পথে যাওয়া আসার থেকে ট্রেনে যাওয়া আসাটাই বেশি কমফোর্ট অনুভব করে।এরকম ওভারলোড করে যাওয়া আসা করলে যেকোনো দুর্ঘটনায় মানুষ বের হতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক।সর্বোপরি,ওভারলোড দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ।আমাদের সকলের উচিত যেদিকে চাপ সেদিকে না গিয়ে অলটারনেটিভ ওয়েতে যাওয়া আসা করা।এতে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি থেকে অনেকটাই নিস্তার পাওয়া সম্ভব।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 19th January,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

ওভারলোড নিয়ে বেশ ভাল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনি ঠিকেই বলেছেন, দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ ওভারলোড। আমাদের দেশে পরিবহন দূর্ঘটনা নিয়মিত হয়ে থাকে। দূর্ঘটনা মানেই কিছু তাজা প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া।বা পঙ্গু হয়ে যাওয়া। বাস-ট্রেন-লঞ্চ,ট্রাক দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ ওভারলোড। সচেতনতা মূলক পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার কথাগুলো সম্পূর্ণ যুক্তি সঙ্গত।
আসলে ওভার লোড যে কি পরিমান ঝুঁকিপূর্ণ এটা সবাই বুঝতে চেষ্টা করে না।
এজন্য চলতি পথে রাস্তায় লেখা দেখি ওভার লোড নেব না রাস্তার ক্ষতি করব না।
শুধু কি রাস্তার প্রতি এখানে তো জীবনের একটা ঝুঁকি থেকে যায় সেটা আসলে কারোর মাথায় থাকে না।
বেশ কয়েকদিন আগে আমি সামনাসামনি খুব ভয়াবহ একটা অ্যাক্সিডেন্ট দেখেছি যেটা সম্পূর্ণটাই হয়েছিল ওভারলোডের কারণে।
যাহোক আপনি অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন এই বিষয়টি সম্পর্কে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু ওভার লোড সব ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা ডেকে আনে সেটা মালামালের ক্ষেত্রে হোক আর যাত্রী বহন করার ক্ষেত্রে হোক না কেন। আর এটাও ঠিক কোন দুর্ঘটনা ঘটলে যদি যাত্রীদের ওভারলোড না থাকে তাহলে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা কম হয়।
জি ভাইয়া ওভারলোড দুর্ঘটনার কারণ,ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় মানুষের এরকম অসচেতনতার জন্য বেশি হয়ে থাকে। সব জায়গায় দেখা যায় ওভারলোড করে মানুষজন ওঠে। বিশেষ করে ঈদের সময় লঞ্চ গুলো দেখলে মাথা ঘুরে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চগুলোতে যে পরিমাণ মানুষ উঠে যার জন্য প্রায়ই লঞ্চ ডুবির মতো ঘটনা দেখা যায়। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন যে কোন জায়গায় মানুষের পরিমাণ বেশি থাকলে দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষয় ক্ষতিই পরিমাণ বেশি হয়। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
হ্যা ঈদের সময় বেশি খারাপ অবস্থা দেখা যায় আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এই প্রজন্ম যতই শিক্ষিত আছে ততই গাধা হয়ে যাচ্ছে। অনেক কিছু জানার পরেও অজানার কাজ করে থাকে। এ যে ওভারলোডের বিষয়টা বলছেন এক্ষেত্রে আমরা সবাই বুঝি অতিরিক্ত এভাবে জন্ম হলে যে কোন দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে কিন্তু বোঝা সত্ত্বেও মানুষের এই অবাধ চলাচল। তবে যত দিন যাচ্ছে যেন মানুষের জ্ঞান নষ্টের দিকে যাচ্ছে সুস্থ মস্তিষ্ক কোন কিছু করার আগে ভাবে।
জি ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।