আজকের প্রজন্ম ইন্টারনেটের কল্যাণে সহজেই পৃথিবীর নানা প্রান্তের সাথে যুক্ত হচ্ছে। শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদনের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল মাধ্যম এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এই প্রযুক্তির অপব্যবহার যখন শুরু হয়, তখন সেটি হয়ে দাঁড়ায় ভয়ঙ্কর। অনলাইন জুয়া বা গেম্বলিং তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যা অল্পবয়সী যুবসমাজকে ধীরে ধীরে অন্ধকারের পথে ঠেলে দিচ্ছে।স্মার্টফোন হাতে পেলেই আজকাল যে কেউ অনলাইনে বিভিন্ন জুয়ার প্ল্যাটফর্মে ঢুকে পড়তে পারে।

লোভনীয় বিজ্ঞাপন, “একটু খেললেই লাখপতি” ধরনের প্রলোভন এবং ক্যাশব্যাক বোনাস যুবকদের মনের ভেতর সহজে ঢুকে পড়ে। তারা ভাবে, কয়েক মিনিটেই ভাগ্যের জোরে জীবনের মোড় ঘুরে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।যুবকরা যখন পড়াশোনা বা কর্মজীবনের সময়টুকু জুয়ার নেশায় নষ্ট করতে শুরু করে, তখন এর প্রথম আঘাত পড়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে, পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে।

অনেক সময় অতিরিক্ত টাকার লোভে তারা চুরি, প্রতারণা এমনকি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ে।জুয়ার নেশা একবার মাথায় চেপে বসলে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। সামান্য কিছু টাকা দিয়ে শুরু হলেও সময়ের সাথে সাথে তা পরিণত হয় বিশাল ঋণে। পরিবারের সঞ্চয় উড়ে যায়, বাবা-মায়ের কষ্টার্জিত অর্থ ধ্বংস হয়। অনেক পরিবার ভেঙে যাচ্ছে শুধু এই অনলাইন জুয়ার কারণে।যুবসমাজ একটি দেশের প্রধান চালিকাশক্তি।

তারা যদি মেধা ও সময় নষ্ট করে অনলাইন জুয়ায় ডুবে থাকে, তবে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখান থেকে গড়ে উঠার কথা ছিল দক্ষ জনশক্তি, সেখানে তৈরি হচ্ছে এক অস্থির, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও পথভ্রষ্ট প্রজন্ম।পরিবারকে আরও সচেতন হতে হবে এবং সন্তানদের মোবাইল ব্যবহার ও অনলাইন কার্যক্রমের উপর নজরদারি করতে হবে।রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণ ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা কার্যক্রম বাড়াতে হবে, যেন তরুণরা শুরুতেই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবগত হয়।বিকল্প বিনোদন ও দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম যেমন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে।অনলাইন জুয়া সাময়িক বিনোদন নয়, এটি এক ধরনের নেশা যা ধীরে ধীরে যুবকদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আজ যদি আমরা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেই, তবে আগামী প্রজন্মকে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারের মুখোমুখি হতে হবে। তাই এখনই সময় যুব সমাজকে সচেতন করে অনলাইন জুয়ার ছোবল থেকে রক্ষা করার।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।