হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

source

প্রত্যেকের জীবনেই শৈশবের নানা রকম স্মৃতি থাকে। আমারও আছে। তবে আজকের স্মৃতিটা একটু ভিন্নরকম। প্রত্যেকটা সন্তানকেই বাবা-মা তাদের শাসনের মধ্যে রাখে যাতে সন্তানরা ভালো কিছু করতে পারে। আমি যখন ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হই তখন আমার ভর্তি রোল ছিল ৩৭। আমার লেখাপড়ার যথেষ্ট ইচ্ছা ছিলো। তারপরেও মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করতাম। কিন্তু একদিন বাবা ধরে কঠিন রকম ক্যালানী দিয়েছেন। তারপর থেকেই শুরু হয় লেখাপড়া নিয়ে নতুন গল্প আমার জীবনে।

আমি ছোট থেকেই বড় হয়েছি একেবারে গ্রামীণ সমাজে। স্বাভাবিকভাবে সে সময় গ্রামে তেমন লেখাপড়ার চাপ থাকতো না। ঠিক সে কারণেই ডিরেক আমি ভর্তি হয়েছিলাম ক্লাস ওয়ানে। ভর্তি হওয়ার পর মনেঅনেক রকম ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষার জন্মেছিল। লেখাপড়া করে ভালো কিছু করব এবং জীবনে অনেক বড় হবো এরকম আশা ছিল। লেখাপড়ার প্রতি বেশ আবেগও ছিল আমার তবে কিছুটা ঢিলেমিও ছিল। এরই মাঝে একদিন বাবার ধমক খেয়ে সেই পড়ালেখার গতি আরো বেড়ে গেল।

তাই বলে যে বাড়ির কাজ করতাম না এমন কিছু না। সময় পেলেই যথেষ্ট পরিমাণ বাবাকে পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করতাম বাকি সময়টুকু লেখাপড়ায় মত্ত থাকতাম। এরাই মাঝে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা এসে যায়। পরীক্ষা দিলাম। তারপরে ফলাফল আসলো তৃতীয় হয়েছি। এটা শোনার পর বাবা ক্ষেপে গেলেন। বললেন ফাইনাল পরীক্ষায় অবশ্যই একে আসতে হবে। সেসময় বাবাকে প্রচন্ড রকম ভয় পেতাম।

বাবার এই কথাকে মনে পুঁজি করে আবার নতুন করে শুরু করলাম লেখাপড়া। তবে বিশ্বাস করুন একটা প্রাইভেটও আমি পড়িনি। নিজে নিজেই সব কিছু করেছি আর ক্লাসে টিচাররা যা করাইতো সেটাই রিভিশন দিতাম। অবশেষে ফাইনাল পরীক্ষা এসে গেলো। পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্ট বের হলো। আমার কাঙ্খিত ইচ্ছা ক্লাস টু তে আমি ফার্স্টবয় হয়ে গেলাম। বাবা ও ভীষণ খুশি হয়েছিলো। তবে এর মাঝে অনেক ঘাত প্রতিঘাত ছিল যা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব হলো না। অনেক পরিশ্রম করেছি এই ফাস্ট বয় হওয়ার জন্য। আজকে থাক,সে কথা অন্য আরেকদিন বলা যাবে। আজকের মত ইতি।