হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

source

আমি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলাম সেই প্রতিষ্ঠানের নাম হল চতরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা।চতরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষাজীবনের শুরুটা আমার জন্য ছিল একেবারেই নতুন এক অভিজ্ঞতা। ছোট্ট বয়সে প্রথম স্কুল বা মাদ্রাসার গণ্ডিতে প্রবেশ করার ভেতরেই লুকিয়ে থাকে অনেক স্বপ্ন, আনন্দ আর ভয় মেশানো আবেগ। ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষক-শিক্ষিকার স্নেহ, বন্ধুদের সঙ্গে নতুন পরিচয় আর পড়াশোনার পরিবেশ আমাকে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। তখনো জানতাম না, পরিশ্রমের আসল ফল কতটা মধুর হতে পারে। সারা বছর মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা, প্রতিটি ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং শিক্ষকদের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলাই ছিল আমার দৈনন্দিন অভ্যাস।

বছর শেষে পরীক্ষার সময় যখন এলো, তখন মনে হয়েছিল জীবন যেন এক নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ছোট্ট হলেও পরীক্ষার হলের সেই পরিবেশ আমার কাছে ছিল ভীষণ গুরুতর। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ভেতরে ভেতরে একটু ভয় কাজ করছিল, তবে সারা বছরের প্রস্তুতি আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দিনগুলোতে কেবল একটাই ভাবনা মাথায় ঘুরছিল—আমি কেমন করলাম, শিক্ষকরা আমার খাতা দেখে কী বলবেন।

অবশেষে ফলাফল ঘোষণার দিন এলো। সকালের হাওয়া যেন অন্য দিনের চেয়ে আলাদা ছিল। আমি যখন ফলাফল হাতে পেলাম, তখন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ক্লাস ওয়ানে আমি প্রথম স্থান অধিকার করেছি! সেই মুহূর্তে বুকের ভেতর যে আনন্দ আর উত্তেজনা জেগেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। মনে হচ্ছিল, আমার ছোট্ট জীবনের সব পরিশ্রম যেন একসাথে সার্থক হয়ে উঠল। বন্ধুরা আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল, শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমার পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিলেন, আর পরিবারের চোখে গর্বের ঝিলিক দেখে মনটা ভরে উঠছিল।

চতরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় প্রথম হওয়ার সেই অভিজ্ঞতা আমার জীবনকে এক অন্য রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিল। তখন বুঝেছিলাম, সাফল্য পেতে হলে কেবল স্বপ্ন নয়, কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠা জরুরি। প্রথম স্থান পাওয়ার আনন্দ শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, এটি ছিল পরিবার, শিক্ষক আর মাদ্রাসার সবার জন্যই এক সম্মানের মুহূর্ত। সেই দিন থেকে আমি আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার জন্য। ক্লাস ওয়ানের ছোট্ট সাফল্য আমাকে শিখিয়েছে—প্রত্যেকটা অর্জনই নতুন দায়িত্বের পথ খুলে দেয়।

আজও মনে হলে বুক ভরে যায়, কারণ চতরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্লাস ওয়ানে প্রথম হওয়া আমার শিক্ষাজীবনের এক অমূল্য অর্জন, যা সারাজীবন আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে।