আমার ওয়াইফের ছোটবেলার স্কুল।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। সেদিন আমি একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যে আমার বাবুকে যশোরে ডক্টর দেখিয়ে ওর নানু বাড়িতে রেখে আসছি। যশোরে যাওয়ার পথে মাঝে একটা মজার ঘটনা ঘটেছে।
আমার ওয়াইফের কাছে অনেক গল্প শুনেছি ও যখন ছোট ছিল তখন যশোরের একটি স্কুলে পড়তো। ওর আব্বু স্কুলের পাশেই সিনজেন্টা কোম্পানিতে জব করতো। সেই সুবাদে আশেপাশেই একটা বাসা ভাড়া করে থাকতে হতো। দীর্ঘদিন কেটেছে ওদের ওই জায়গাটাতে। অনেক স্মৃতি আছে, অনেক সুন্দর সুন্দর সময় কাটিয়েছে সেখানে।
ওর মুখে অনেক গল্প শুনেছি কিন্তু এই প্রথমবার যশোর যাওয়ার সময় এমন একটা রাস্তা দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম যে ওই জায়গাটা সামনে বাধলো। ঐশী আমাকে দেখালো যেই প্রাইমারি স্কুলে ও পড়তো। বহু বছর পর নিজের ছোটবেলায় কাটানো স্থানগুলো দেখতে কতই না ভালো লাগে। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়, কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে হয় সেই ছোটবেলার স্মৃতি পাতায়। ডক্টর এর কাছে যাওয়া না থাকলে ওর স্কুলের পাশে একটুখানি দাঁড়িয়ে ওর সাথে ঘুরে দেখতাম। স্মৃতির পাতাগুলো উল্টিয়ে দেখার একটুখানি সময় পেতো।
স্কুলের পাশেই একটা বাসায় ভাড়া থাকতে হতো। সে বাসার মালিক ছিল খুবই ভালো। আমার শশুরদের সবাইকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। ঐশীকেও অনেক স্নেহ করতো। অনেক অনেক গল্প শুনেছি তাদের সম্পর্কে। তিনি রাস্তার পাশে একটি দোকানে বসেন। সম্ভবত উনার ছেলের দোকান। ঐশীর মুখ থেকে যতদূর জানতে পারলাম উনার ছেলে অর্থাৎ ঐশীর কাকুরাও খুব খুশি হত যদি আমাদের সবাইকে দেখত। ওই মুরুব্বীকে ঐশী দাদু বলে সম্বোধন করে।
দোকানটার পাশেই আমাদের গাড়ি থামাইলাম। ওই মুরুব্বির দোকান দেখালো ঐশী আমাকে। যার মধ্যে ঐশীর বাবু হল তখন এই মুরুব্বী হসপিটালে গেছিল বাবু দেখতে। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম কতটা টান থাকলে এত বছর পর খবর শুনে দেখতে আসতে পারে। যাহোক, মুরব্বির দোকানে গিয়ে মুরুব্বী কে যখন ঐশী পরিচয় দিল তখন খুশি দেখে কার। আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম মুরুব্বী খুশিতে আত্মহারা। কি করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। এরপর আমার বাবুকে কোলে নিল, আদর করলো, একটুখানি গল্প করলো সবার সাথে।
মুরুব্বির স্ত্রী আছে তিনিও খুবই ভালো। সময় স্বল্পতার কারণে তার সাথে আর দেখা হয়নি। যাইহোক আমার স্ত্রীর আবেগটা আমি বুঝতে পারছিলাম। যেহেতু ছোটবেলা কেটে এই জায়গাটাতে। বিদায় জানিয়ে আমাদের চলে আসতে হলো, কিন্তু আসার আগে আমার শাশুড়ি আম্মা ওই মুরুব্বীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন। এরপর বিদায় জানিয়ে আমরা চলে আসলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ছোটবেলার স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। ঐশী আপুর ছোটবেলা যেখানে কেটেছে সেখানে কত স্মৃতি সেটা শুধু ঐশী আপুই জানে।তবে বেশি সময় দিতে পারেননি। যাইহোক মুরব্বি চাচা সত্যি ঐশী আপুকে অনেক স্নেহ করে তা ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলার স্মৃতি গুলো যখন চোখের সামনে আবার ভেসে ওঠে তখন অন্য রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। ঐশী আপুর অনুভূতিটা বুঝতে পারছি ভাইয়া। সত্যিই এরকম অনুভূতিগুলো বলে বোঝানোর মত নয়। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু। 🌹
সত্যি ভাইয়া ছেলেবেলার জায়গা গুলোতে গেলে অনেক স্মৃতি মনের কোণে ভেসে উঠে।যাই হোক এই সুযোগে আপনার বাবুকে দেখা হয়ে গেলো।মাশাল্লাহ খুব সুন্দর। আল্লাহ সুস্থ, সুন্দর রাখুন এই কামনাই করি,আমিন।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে কিছু কিছু সম্পর্ক আত্মীয়ের সম্পর্কের চেয়েও অনেক ঊর্ধ্বে। মুরুব্বিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতোটা খুশি হয়েছে ঐশী আপু এবং ইয়াফী কে দেখে। মাশাল্লাহ ইয়াফী কে দেখতে খুবই কিউট লাগছে। ছোটবেলায় আমরা যেসব জায়গায় সময় কাটিয়েছি,সেসব জায়গা গুলো এখন দেখলে আসলেই অনেক কিছু মনে পড়ে যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
ছোটবেলা বা শৈশব একটা অন্যরকম আবেগ ভাই। কখনোই ভুলতে পারবেন না। ছোটবেলার জায়গাগুলো মানুষ গুলো পুরোপুরি ভাবে স্মৃতিতে গেঁথে থাকে।
একদম ঠিক বলেছো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rex-sumon,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দারুন একটি মুহর্ত স্মৃতির পাতায় জমা করলেন। ঐশীর স্মৃতিময় জায়গটা একটু হলেও দেখা হলো। আসলে প্রত্যেকেরই এমন কিছু স্মৃতি থাকে। যে গুলো মনে হলে বা স্মৃতিময় জায়গা গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে। ঐ স্কুল, রাস্তা, ভাড়া বাসা কত জাগায় কত স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। যায়হোক ব্লগটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।