মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ বিভিন্ন রোগের কারণ||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আমার আজকের লেখাটি কি নিয়ে সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা, পোস্টটির টাইটেল দেখে।হঠাৎ করেই আপনাদের মাঝে আজকে শব্ধ দূষণ নিয়ে লিখতে চলে এলাম।কারণ দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় যাবৎ আমি এই সমস্যা ফেইস করছি।মূলত আমরা যে বাসায় থাকি, বাসাটা নতুন আরকি।আমরাই প্রথম ভাড়াটিয়া এখানকার।এর আগে বাসার নিচে মার্কেট ছিল।উপরের ফ্ল্যাট গুলোর কার্যক্রম অসম্পূর্ণ ছিল।আমরা আসার পর আরো আটটি ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।তাহলে বুঝুন কি পরিমাণ শব্ধ দূষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের।সাধারণত বাসার কাজগুলোতে টাইলস কাটার শব্দ থাকেই।তাছাড়া আরো অনেক কাজ থাকে যেগুলোতে ডিল মেশিন ব্যবহার করতে হয়।
আমাদের বাসার কাজ শেষ হতে না হতেই শুরু হলো পাশের বিল্ডিং এর কাজ।সেখানে ছাদ ঢালায় এর কাজ ছিল।আর ওই কাজে তো ইট ভাঙতে হয়,যেটা আরো বিকট শব্দ।প্রায় দেড় বছর আমরা এই বাসায় আর পুরোটা সময় এই শব্দ দূষণ ফেইস করতে হয়েছে।মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে কাজ করায় এই সমস্যা আরকি ।যদি এক নাগাড়ে একবারে কাজ করে শেষ করে দিতেন তাহলে এতোটা সময় লাগতো না।পাশের বিল্ডিং এর টাইলস কাটার শব্দ সাথে আবার নতুন করে আরো একটি কাজ শুরু হয়েছে যেটা আবার আমাদের বাসার সামনে।সব মিলিয়ে পাগল প্রায় অবস্থা শব্দ দূষণে।শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করে যদি এই কাজগুলো আগামীতে করা যেত তাহলে খুব ভালো হতো।কোনো বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার হবে হয়তো এই কাজগুলো নিঃশব্দে করার জন্য।আমরা হয়তো দেখে যেতে পারবো আবার না।
অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ আমাদের শরীরের অর্গান গুলোর ক্ষতি সাধন করে ফেলে। আমরা বুঝতেও পারিনা আমাদের সমস্যা গুলোর কারণ কি।দীর্ঘদিন মাত্রাতিরিক্ত শব্দের মধ্যে থাকলে একজন ব্যক্তির দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রোগ। যার মধ্যে শ্রবণ শক্তি হ্রাস,স্ট্রোক,নিদ্রাহীনতা,খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি সমস্যার মতো আরো অনেক রোগ। যারা শহর পর্যায়ে রয়েছেন তারা সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণের যন্ত্রণা ভোগ করে থাকেন।বিশেষ করে রাস্তার গাড়ির হর্ন, ইট ভাঙা,বিল্ডিং তৈরির কার্যক্রম। রড,টাইলস কাটার শব্দ ইত্যাদি।তাই শহরের মানুষের জন্য বেশি ক্ষতির কারণ এই মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ।যদিও উক্ত রোগগুলো এখনো দেখা দেয়নি আমাদের।কি জানি সামনে তো দেখা দিতেও পারে।এজন্য অনেকটা ভয় পাচ্ছি বলা যায়।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু অতিরিক্ত শব্দ দূষণ আমাদের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে থাকতে থাকতে আমাদের শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। বেশিরভাগ সময় মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। আজকে বেশ সুন্দর একটি টপিক আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু । ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
জি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
মাত্রারিক্ত শব্দদূষণ আমাদের জন্য ক্ষতিকর।
এটা বিভিন্ন জটিল রোগের জন্ম দেয়।
আপনার অবস্থা বুঝতে পারছি, যাইহোক খুব তাড়াতাড়ি এই ঝামেলার অবসান হোক এই কামনা করছি।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপু। আসলে আমাদের চারিদিকে এতটাই বেশি পরিমাণে শব্দ দূষণ হতে শুরু করেছে এর ফলে আমরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই এই শব্দ দূষণের ফলে বেশিরভাগ মানুষের শ্রবণ শক্তি কমে গিয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
অতিরিক্ত শব্দ দূষণ আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই বেশ ক্ষতিকর। বিল্ডিংয়ের কনস্ট্রাকশন কাজ চলাকালীন অবস্থায় অনেক শব্দ দূষণ হয়। আমি আমার বাসার উপরের তলা নির্মাণ কাজের জন্য, এই কয়েক মাস বেশ ঝামেলায় ছিলাম এই শব্দ দূষণ নিয়ে। কয়েকদিন আগে কাজ শেষ করলাম। সকাল হলেই মিস্ত্রিরা এসে কাজ শুরু করতো, আর সেই শব্দে ঘুমানোও যেতো না। আর এমনিতেই আমার বাসা একেবারে রাস্তার পাশে। তাই অনেক রাত পর্যন্ত এমনিতেই গাড়ির হর্ণের আওয়াজ শুনতে হয়। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ।
এরকম শব্দ আমারও অসহ্য লাগে, আমি হলে তো সোজা বাসার বাইরে চলে যেতাম। শুনেই কেমন অসহ্য লাগছে একদিন দুইদিন হলে সেটা সহ্য করা যায় কিন্তু মাঝে মাঝে যদি এরকম হয় তাহলে সেটা সহ্য হয় না।
হ্যা,বিকট শব্দ।ধন্যবাদ ভাইয়া।