একজন আদর্শবান ডাক্তারের গুণাবলী কেমন হওয়া জরুরি(শেষ পর্ব)||
আজ-২০ই,জ্যৈষ্ঠ||১৪৩০ বঙ্গাব্দ,গ্রীষ্মকাল||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।আমি আজকে একজন আদর্শবান ডাক্তারের গুণাবলী কেমন হওয়া জরুরি লেখার শেষ পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।|
ডাক্তারের দেওয়া তারিখ অনুযায়ী মামার সার্জারি হয়।যেহেতু করোনার সময় ছিল,তাই যে প্রাইভেট হাসপাতালে মামার সার্জারি করানো হয়েছিল।সেখানে নাকি অন্য কোনো রোগীও ছিলনা।শুধু হতে গোনা কয়েকজন লোক ছিল।ধারণা করা হয় ওনারা দালাল চক্র।মামার সার্জারির পর মামা সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন দুইদিন পর্যন্ত ভালো ছিলেন।কোনো ব্যাথায় নাকি ছিলনা তার বুকে।কিন্তু হঠাৎ করে তার অবস্থার অবনতি হয়ে যায়।আর ডাক্তার তখন বলে আমার হাতে আর কিছু নেই।আপনারা আইসিইউ তে নিয়ে যান অন্য হাসপাতালে।তারপর মামাকে ঢাকার একটি বেসরকারি বড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আইসিইউ তে।আপনারা হয়তো এই বিষয়টা জানেন,মানুষ মৃত্যুর আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান।
আমি হাসপাতালটির নাম বলছিনা,যেহেতু খুব বড় হাসপাতাল ঢাকার মধ্যে বেস্ট আইসিইউ গুলোর মধ্যে একটা নাকি সেটা।এখানে আরও তিনদিন মতো রাখা হয় মামাকে।তারপর মামা মারা যান।শুধুমাত্র একজন করে দেখতে দেয় ওনারা রোগীকে কয়েক ঘণ্টা পর।তাই শেষ যখন দেখার সময় ছিল সন্ধ্যার দিকে,তখন শুধু মামি দেখতে পেরেছিলেন।আমি আর আম্মুও গিয়েছিলাম তখন সেখানে।কিন্তু আম্মু আর দেখতে পেরেছিলেন যা।আর মামী দেখে এসে কান্নাকাটি শুরু করেছিলেন।কিন্তু ভালো করে মামার অবস্থা মামি বুঝতে পারেননি,অনেক চিন্তায় ছিলেন বুঝতেই পারছেন আপনারা নিশ্চয়।আসলে মামার মৃত্যু মামি দেখার বেশ আগেই হয়েছিল আমাদের ধারণা অনুযায়ী।
তারপর রাত ১০ টা পার হলে আমার ছোট মামা আইসিইউ তে বড় মামাকে দেখতে যেতে চাইলে তাকে যেতে দেননি ওখানকার লোকেরা।রোগীর অবস্থার কথাও আমরা জানতে পারছিলাম না,ওনারা কিছু বলছিলেন না নিশ্চিতভাবে।তখন ছোট মামা একজন লিডার কে ফোন দিলেন।তখন তিনি বললেন, জোর করে ঢুকে যেতে আইসিইউ তে।আর না দিলে পুলিশ আর সাংবাদিক পাঠাচ্ছি আমি।তার কথা অনুযায়ী ছোট মামা আইসিইউ তে গিয়ে দেখেন বড় মামা মারা গেছেন।অর্থাৎ তারা এই ব্যাপারটা আমাদের নিশ্চিত করেছিলেন না এজন্য যে,একরাত রাখতে পারলে আরও একদিনের পুরো টাকাটা তারা পেয়ে যাবেন।তারপর ওই সময় মামা এবং দুলাভাই আরও অন্যরা মিলে রিলিজ করিয়ে নিয়ে আসেন আমার বড় মামার ডেড বডি।একজন মৃত মানুষকে দিয়েও তারা ব্যবসা করছিলেন হাসপাতালে।
আর যেই ডাক্তার মামাকে সার্জারি করলেন,তিনি মামার শরীরের কন্ডিশন বুঝেও তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন।শুধুমাত্র কিছু টাকার জন্য,তাদের সম্মানের পেশাটাকে অবমাননা করলেন।প্রথমে যেই ডাক্তার দেখেছিলেন তিনি কিন্তু সার্জারি করতে নিষেধ করেছিলেন,যেহেতু মামার শরীর খুব খারাপ ছিল।অর্থাৎ তিনি টাকার লোভে সার্জারি করেন নি।সুতরাং তিনি একজন মানবিক ডাক্তার।আর শেষের দিকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তারা উভয়েই লোভী,অমানবিক।এই ছিল আমার পুরো লেখাটির বিষয়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

খুব দুঃখজনক ঘটনা।আসলে নামকরা হাসপাতাল গুলোতে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ডাক্তার যদি মানবসেবার নামে লোভী হয় তখন কষ্টের জায়গাটা অনেক বেশী হয়।খুব খারাপ লাগলো পড়ে। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনার মামার মৃত্যুর কথা পড়ে সত্যিই মর্মাহত হলাম আপু। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ডাক্তাররা এখন কসাই হয়ে গিয়েছে। রোগীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তারা। এমনকি মরা মানুষ নিয়েও ব্যবসা করে। এমন নিকৃষ্ট কাজের জন্য ধিক্কার জানাই ঐ সমস্ত ডাক্তারদের। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি,ধন্যবাদ ভাইয়া পুরো পোস্টটি পড়ে এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।