ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা প্রথম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা প্রথম পর্ব

1000012060.jpg

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ভাগ্নের বিয়েরে কেনাকাটার পোস্ট নিয়ে। আপনারা যারা নিয়মিত আমার পোস্ট পড়েন তারা অনেকেই জানেন কিছুদিন আগে আমার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে। আসলে বিয়েটা হঠাৎ করে হওয়ায় তেমন ঘুরে মার্কেট করতে পারিনি। অল্প সময়ের মধ্যে যতোটুকু সম্ভব তাই করেছি। আসলে কেনাকাটা করতে গেলে একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ জিনিস গুলো পছন্দ করতে অনেকটা সময় লাগে। পছন্দ হলে আবার অনেক সময় কালার ও দাম নিয়ে সমস্যা হয়। যদিও পছন্দটাই মেইন। আমরা যেহেতু মার্কেটে গিয়েছিলাম কয়েক জন মিলে। আসলে বিয়ের মার্কেট বলে কথা। তবে অন্যান্য জিনিস এর থেকে লেহেঙ্গা কিনতে বেশ সময় লেগেছে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000012058.jpg

1000011968.jpg

1000011967.jpg

1000011964.jpg

1000011961.jpg

প্রথম আমরা একটা ভালো দোকানে গিয়েছি লেহেঙ্গা কেনার জন্য। আসলে বিয়ের লেহেঙ্গা পছন্দ করতে বেশ সময় লেগে যায়। তারপর আমরা যে দোকানে গিয়েছিলাম তারা বললো আমাদের কাছে( ২৫০০-২৫০০০)পর্যন্ত লেহেঙ্গা রয়েছে। তখন আমরা বললাম আপনি দশের ওপর থেকে দেখাতে শুরু করেন। আসলে দশ থেকে পনেরো হাজারের ভিতরে লেহেঙ্গা গুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল।তারপর আবার দোকানদার ভাইয়েরা লেহেঙ্গা গুলো পড়ে আমাদের দেখিয়েছি। তাদের পড়নে বেশ ভালো লেগেছিল।। তবে আমাদের একটা লেহেঙ্গা পছন্দ হলেও দামে হলো না উনারা এক দাম বারো হাজার রাখবে।তারপর বললো আর একটু কমের মধ্যে দেখায়। যেহেতু আমরা দশ হাজারের মধ্যে কিনতে চেয়েছিলাম তাই অন্য গুলো দেখতে বললাম। তারপর আরো কিছু লেহেঙ্গা দেখালো। তবে আগের লেহেঙ্গা গুলোই অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে একবার ভালো জিনিস দেখলে আর খারাপ গুলে ভালো লাগে না।তাই আমরা আগের লেহেঙ্গাটা দশ হাজার দিয়ে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনারা কিছুতেই দেবে না।

1000012103.jpg

1000012199.jpg

1000012102.jpg

তারপর আমরা আরো কয়েক দোকান দেখলাম কিন্তু আগেরটার মতো আর পছন্দ হলো না।কি আর করা তারপর আবার আগের দোকানে গিয়ে বারো হাজার টাকা দিয়ে সেই পছন্দের লেহেঙ্গাটা কিনলাম। তারপর লেহেঙ্গা বানিয়ে বাসায় এসে পুরোটা ছাড়িয়ে দেখলাম অনেক সুন্দর লেগেছিল।যেহেতু লেহেঙ্গা কিনেছি তাই লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচিং করে একটা ব্যাগ কিনতে হবে। তারপর একটা লেহাঙ্গার সাথে ম্যাচিং করে একটা ব্যাগ কিনলাম। আসলে লেহাঙ্গা কিনতেই বেশি সময় লেগেছে তবে ব্যাগ কিনতে তেমন সময় লাগেনি।আমরা ও অল্প সময়ে বেশ ভালো একটা ব্যাগ কিনেছি। আসলে তারাতাড়ি সময়ে ব্যাগটা বেশ ভালোই হয়েছে। যদিও ব্যাগটার আলাদা করে ফটোগ্রাফি করার মনে ছিল না।

1000012104.jpg

1000012110.jpg

1000011965.jpg

1000012107.jpg

তারপর আমরা আর একটা দোকানে গিয়ে বউয়ের জন্য আরো দুটি শাড়ি দেখতে লাগলাম।আসলে শাড়ি সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারণা নেই। তাই শাড়ি কেনার দায়িত্ব দিয়েছিলাম আমার বড় বোনকে। তারপর কয়েকটি শাড়ি দেখলাম। আমার বোন বললো তোরা পছন্দ করেক আমি দাম বললো।আসলে আমরা সবাই শুধু ওপর থেকেই দেখেই পছন্দ করতে পারি কিন্তু সুতা কেমন তা বুঝি না। তারপর সবাই মিলে বউয়ের জন্য আরো দুটি শাড়ি পছন্দ করলাম।অবশেষে একটা শাড়ি বাইশো টাকা নিল আর একটা শাড়ি পনেরো শত টাকা নিল।তবে শাড়ি দুটিই আমার অনেক ভালো লেগেছে। বউয়ের শাড়ি কেনা শেষ হলে আরো কয়েকটি সুতি কাপড় কিনতে হবে।আসলে বিয়েতে দাদি, নানি, আরো অনেকেই আছেন যাদের এভাবে বউয়ের সাথে কাপড় দিতে হয়। তারপর কয়েকটি একই দামের কাপড় কিনলাম। আরো পাঁচটা কাপড় কিনলাম এক হাজার করে।

1000011958.jpg

যেহেতু কাপড় কেনা শেষ হলো তাই তো কাপড় রাখার জন্য লাগেজ দরকার। আসলে বিয়েতে সবাই কালারফুল লাগেজ দেয় কিন্তু এরা কয়েক দিন আগে কালারফুল লাগেজ কিনেছে তাই অন্য কালার কিনবে।অবশেষে কয়েকটি লাগেজ দেখে এই লাগেজটা কিনেছি। সত্যি বলতে লাগেজটা কিন্তু অনেক ভালো। যাইহোক অবশেষে লাগেজ, ব্যাগ ও শাড়ি লেহাঙ্গা আরে কিছু কিনলাম। যাইহোক আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী পর্বে বিয়ের আরো কিছু কেনাকাটা ও গহনা বানিয়েছি সেগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে আসবো।আশাকরি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপনার ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটার খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু। এটা ঠিক করেছেন আপু একবার একটা জিনিস পছন্দ হয়ে গেলে পরে আর সেই জিনিসটা ছেড়ে অন্য কোন জিনিস কিনতে ইচ্ছা করে না। আপনাদের প্রত্যেকটা কেনাকাটা খুবই পছন্দ হয়েছে। লেহেঙ্গাটাও খুব সুন্দর হয়েছে। পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

আপু আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আমরা ইতোমধ্যে পূর্ববর্তী পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারছিলাম, আপনি আপনার ভাগ্নের বিয়ের মার্কেট করতে গিয়েছিলেন। যাইহোক অবশেষে আপনি আমাদের মাঝে আপনার ভাগ্নের বিয়ের মার্কেটের একটি সুন্দর পোস্ট শেয়ার করলেন। আসলে বর্তমান সময়ে কাপড়ের যে পরিমাণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক টা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আপনি নতুন বৌয়ের জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন।

 last year 

জি ভাইয়া বইয়ের জন্য অনেক কিছুই কিনতে হয়। তবে বর্তমান দামটা একটু বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

কিছুদিন আগে আপনার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে আমরা সবাই জানি। হঠাৎ করে বিয়ে হলে একদিক থেকে ভালোই হয়। অনেক আনন্দ করা যায়। শপিং করার মুহূর্তগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। অনেক যাচাই বাছাই করে বিয়ের জন্য শপিং করলে ভালো হয়।

 last year 

এটা ঠিক আপু হঠাৎ করে বিয়ে হলে বেশ ভালোই হয়, ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

বিয়ের পর্বটি আপনি শেয়ার করেছিলেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের। কিন্তু কেনাকাটার মুহূর্তটি আপনি আজকে শেয়ার করলেন। ঠিক বলছেন আপু প্রথমে যেগুলো পছন্দ হয় পরে আর অন্য জিনিস ভালো লাগেনা। তবে লেহেঙ্গাটি দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া ম্যাচিং করে ব্যাগ কিনলেন তাও অনেক ভালো লাগলো। বেশ ভালোই কেনাকাটা করলেন আপনারা সবাই মিলে।

 last year 

জি আপু চেষ্টা করেছি ভালো করেই কেনাকাটা করার জন্য, ধন্যবাদ আপু।