পড়াশোনায় থাকুক প্রয়োজনীয়তা

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা করেছি, এখনো করছি। যদি সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখে এবং সৃষ্টিকর্তা সুযোগ দেয়, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতেও করবো।অর্থাৎ জীবনে পড়াশোনার পরিবর্তে কোনো বিকল্প, এখনো পর্যন্ত দেখছি না। কিন্তু ছোটবেলা থেকে এই যে আমরা এতোগুলো পড়াশোনা করলাম, এতো এতো বই পড়লাম, এতো পরীক্ষা দিলাম। জীবনের এই সময়টিতে এসে এখন মনে হয় যে, যতো কিছু পড়াশোনা করেছি কিংবা যা যা শিখেছি। তার মধ্যে বেশিরভাগ ছিলো অপ্রয়োজনীয়।

অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের পাঠ্যপুস্তক এর হিসাব করি। তাহলে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে আসলে যেটা দেখতে পাই। সেটা হচ্ছে, এতো বেশি অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার-স্যাপার লেখা। যেটা আমাদের জীবনের সাথে কোনোভাবেই সংযুক্তততা রাখে না। অর্থাৎ আমার কাছে মনে হয় যে, পড়াশোনা হওয়া উচিত জীবন কেন্দ্রিক অর্থাৎ মানুষের জীবনে মানুষের পৃথিবীর জন্য যেটা প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ একটা মানুষ যেসব জেনে পৃথিবীতে কোনো উপকার উপহার দিতে পারবে। সেসব পড়াশোনা ই আমাদের মধ্যে থাকা উচিত।

কিন্তু বর্তমানে যেটা দেখি। সেটা হচ্ছে বইয়ের পাতার সংখ্যা শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে। বইয়ে লেখার সংখ্যা শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুখস্ত করার এলিমেন্ট এর পরিমাণ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু যেটা বৃদ্ধি পাচ্ছে না সেটা হচ্ছে মানুষের কি প্রয়োজন সেটা সম্পর্কে জানা। কারণ পড়াশোনাটা আমাদের অনেক বড় একটি প্রয়োজনীয়তা। আর এই প্রয়োজনীয়তাটুকু যখন আমরা নিতে যাই। তখন যখন আমরা শুধুমাত্র আবোলতাবোল কিছু মুখস্ত পড়াশোনাতেই জীবন পার করে দেই।তখন সেটা আসলে আমাদের জন্য, আমাদের দেশের জন্য এবং পৃথিবীর জন্য কিছুর জন্যই উপকারী নয়। আমি জানিনা আমার এই কথার সাথে কতোজন দ্বিমত পোষণ করবেন কিংবা একমত পোষণ করবেন। কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরলাম। কারণ আমার কাছে সত্যিই মনে হয় যে বর্তমানে পড়াশোনার বিষয়গুলোকে আরেকটু আধুনিক করা উচিত। যাতে করে আমরা যা করছি তা যেনো আমরা জীবনে কাজে লাগাতে পারি।