একটি চালা ঘর যেন একজন কৃষকের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
বর্তমান বাংলাদেশের প্রতিটি মাঠে ঘাটে ইরি ধান ক্ষেতে ভরপুর। তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় ইরি ধানের পরিবর্তে অন্য কিছু ফসল আবাদ করে থাকে। তবে বেশিরভাগ জমিতেই বর্তমান ইরি ধানে ভরা। কেননা বাংলাদেশের প্রধান ফসল হচ্ছে ধান।আর বাংলাদেশের কৃষকেরা ধান চাষ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।ধান চাষ তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস। আমরা সকলেই জানি যে, ইরি ধান চাষ করা হয় মূলত পানি সেচ দেয়ার মাধ্যমে।অনেকে অনেক মাধ্যম অবলম্বন করে তারা জমিতে পানি সেচ করে। অনেকেই আছে বিদ্যুৎ দিয়ে চালিত মটরের মাধ্যমে জমি সেচ করে থাকে। আবার অনেকেই কুপ থেকে বালতির মাধ্যমে জমিতে পানি সেচ করে। আবার অনেকেই আছে যারা তাদের সেলো মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ করে। আসলে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সামর্থ অনুযায়ী জমিতে পানি সেচ করে।
তবে বেশিরভাগ গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে সেলো মেশিনের মাধ্যমে জমি সেচ করা হয়। আমার কাছে সেলো মেশিনের মাধ্যমে জমি সেচ দেয়ার পদ্ধতি বেশি সহজ মনে হয়। আমাদের গ্ৰামের মাঠের প্রতিটি জমি সেলো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দেয়া হয়। কেননা আমাদের গ্ৰামের মাঠের মধ্যে এখন ও বিদ্যুৎ প্রবেশ করেনি।যদিও কখনো বিদ্যুৎ প্রবেশ করে তাহলে অনেক দেরি রয়েছে। উপরে আপনারা যে চালা ঘর গুলো দেখতে পারছেন এগুলো মুলত শুধুমাত্র ইরি আবাদের জন্য তৈরি করা হয়।ইরি আবাদ শেষে ঘর গুলো আবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘর গুলোর ভিতরে একটি ছোট খাট ও একপাশে মেশিন রাখার জায়গা রয়েছে।এই ঘর তৈরি করার প্রধান কারণ হলো মেশিন চুরি হয়ে যাওয়া। কেননা এখানো সমাজের মধ্যে ছুটকা চোরের অভাব নেই।ফাকা জায়গায় একটি মেশিন ফেলে রাখলে চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।আর একটি মেশিন চুরি হয়ে গেলে একজন কৃষক অনায়াসে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। একজন কৃষক দীর্ঘ তিন মাস এই ঘরের মধ্যে রাত কাটিয়ে ইরি ধান ঘরের মধ্যে উত্তোলন করে থাকে। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে কৃষি কাজ কতটা কঠিন।
একটানা তিন মাস ঘরের বাহিরে রাত কাটানো কতটা কষ্টকর সেটা শুধুমাত্র একজন কৃষক জানতে পারে। শুধুমাত্র মাঠের মধ্যে রাত কাটালেই ফসল ঘরে উঠবে না। আবার দিনের বেলা আবাদকৃত জমি গুলো পরিচর্যা করতে হয়।আর এই পরিচর্যার মাধ্যমে একজন কৃষকের ফসল তাদের ঘরে উঠে। আমাদের কাছে এই দৃশ্য গুলো ভালো লাগার। কিন্তু অপরদিকে এই দৃশ্য গুলো তৈরি করার জন্য একজন কৃষক দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল আবাদ করছে।
চৈত্র মাসের ঐ তাপদাহ রোদের মধ্যে একজন কৃষক কে মাঠের মধ্যে কাজ করতে হয়। কিন্তু যারা বিভিন্ন অফিস আদালতের মধ্যে চাকরি করে তারা কখনোই কৃষকের মনের কষ্ট গুলো বুঝবে না। শুধুমাত্র একজন কৃষক অপর আরেকজন কৃষকের কষ্ট বুঝতে পারে। একজন কৃষক কখনো তার নিজের জন্য এতো কষ্ট করে না। কষ্ট গুলো শুধু মাত্র তার পরিবার পরিজনের জন্য করে থাকে। আসলে আমি ও একজন কৃষকের ছেলে, আমি কৃষকের সকল দুঃখ কষ্ট সম্পর্কে অবগত আছি।খেয়ে না খেয়ে একজন কৃষক তার পরিবার পরিজনের জন্য কষ্ট করে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবুজ ফসলের মাঠ দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। আর এমন একটা পানি তোলা মেশিনের ঘর কে কেন্দ্র করে মানুষের জীবিকা নির্বাহ। আর এখানে রয়েছে কৃষি খেতে সেচ ব্যবস্থা। খুব সুন্দর ব্লগ সাজিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।