গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢ্যাঁড়শ
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। Nature & Agriculture কমিউনিটিতে আজ আমি আলোচনা করব একটি গ্রীষ্মকালীন পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি, ঢ্যাঁড়শ নিয়ে।

ঢ্যাঁড়শ সাধারণত একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি। ঢ্যাঁড়শ সিদ্ধ করে এবং ভাজি করে দুই ভাবেই খাওয়া যায়। তাছাড়া মাছের সাথে তরকারি হিসেবেও ঢ্যাঁড়শ খাওয়া যায়।
ঢ্যাঁড়শ হচ্ছে খনিজ পদার্থের আধার। নানা রকমের খনিজ পদার্থ এবং আমিষে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে মানবদেহের বৃদ্ধি এবং হাঁড় গঠনের প্রয়োজনীয় ধাতব উপাদান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং আয়রন। যা আমাদের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধিতে খুবই প্রয়োজনীয়।
ঢ্যাঁড়শে রয়েছে খুবই প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, বি এবং সি। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এমাইনো এসিড। ঢ্যাঁড়শে থাকা রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মুলা, টমেটো এবং শিমের চেয়েও বেশি। যা আমাদের মুখের ঘা এবং মুখের আলসারের জন্য খুবই কার্যকরী।

ঢ্যাঁড়শের শুকনা বীজে রয়েছে ভোজ্য তেল। শুকনো বীজের প্রায় ১৬ থেকে ২২ শতাংশ ভোজ্য তেল হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
ঢ্যাঁড়শের রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুণাগুণ। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য যদি ঢ্যাঁড়শ পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি খাওয়া হয় তাহলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থাকলে সেটিও কমায়। ঢ্যাঁড়শ প্রোটেস্ট গ্লান্ডের ক্ষরণ দূর করে। কোন কারনে যদি সঠিক মাত্রায় পানি পান করার পরও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তখন ঢ্যাঁড়শের রস কিংবা ঢ্যাঁড়শের তরকারি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ ঠিক হয়ে যায়।

তাছাড়াও অন্যান্য উপাদানের সাথে ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার ফলে আরো বেশ কিছু রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে খুসখুসে কাশি এবং রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে অন্যান্য উপাদানের সাথে ঢ্যাঁড়শ খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া ঢ্যাঁড়শ গলগন্ড রোগ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অর্থাৎ, ঢ্যাঁড়শ সাধারণ একটি সবজিই কেবল নয়। ঢ্যাঁড়শ হচ্ছে খনিজ পদার্থের ঘাটি। প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই সবজি আমাদের যখনই সুযোগ আসে তখনই গ্রহণ করা উচিৎ।
Twitter Promotion Link: https://x.com/akib_66/status/1922011000515002465