প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশের কৃষকদের জন্য অভিশাপ

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ০৬ ই মে ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


photo-1527482937786-6608f6e14c15.jpeg

সোর্স

বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। এই দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন প্রতিনিয়ত কৃষকের জীবনে এক অমোঘ অভিশাপ হয়ে নেমে আসে। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা অকালবৃষ্টির মতো দুর্যোগ শুধু ফসল ধ্বংসই করে না, কৃষকের স্বপ্ন, পরিশ্রম ও জীবনের নিশ্চয়তাকেও তছনছ করে দেয়। কৃষকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের আবাদী জমির মধ্যে ফসল উৎপাদন করে থাকে।আর যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের ফসল গুলো নীমিষেই ধ্বংস হয়ে যায়, তখন তাদের স্বপ্ন একদম মাটির সাথে মিশে যায়।

একজন কৃষক যখন সারাবছর ধরে কষ্ট করে জমি চাষ করেন, বিনিদ্র রাত কাটিয়ে ফসলের যত্ন নেন, তখন তাঁর আশা থাকে ফলনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের। কিন্তু প্রাকৃতিক এক ঝটকায় সে স্বপ্ন মাটি হয়ে যায়। ক্ষেতভরা ধান জলে ডুবে গেলে কিংবা তীব্র খরায় চারা মরে গেলে কৃষক দাঁড়ান নিঃস্ব হয়ে। এই দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা অনেক সময় সম্ভব হয় না। অনেক কৃষক ঋণের বোঝায় ডুবে যান, কেউ কেউ কৃষি ছেড়ে অন্য পেশায় পাড়ি জমাতে বাধ্য হন। কৃষকদের সোনার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে আমাদের দেশের সম্পদ নষ্ট হয়ে যাওয়া।

সরকার বিভিন্ন সময় সাহায্য দেয় ঠিকই, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ও অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের হাতে পৌঁছায় না। আর্থিক নিরাপত্তা ও দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তার অভাবে কৃষকের সংকট দীর্ঘস্থায়ী হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করা যেন তাদের নিয়তিতে লেখা এক অসম যুদ্ধ। এমন কিছু কৃষক রয়েছেন যারা শুধুমাত্র এই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাদের পরিবার থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা হয় এই কৃষির মাধ্যমে। কিন্তু যখন তাদের ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন তারা একদম দিশেহারা হয়ে যায়।

প্রকৃতি যখন ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তখন টেকসই কৃষিনীতির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন যথাযথ প্রস্তুতি, আধুনিক প্রযুক্তি এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর একটি মানবিক ও বাস্তবমুখী নীতি।এর জন্য আমাদের দেশের সরকার কে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কেননা ধীরে ধীরে আমাদের দেশের অনেক কৃষক প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে করতে হারিয়ে যাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তত বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমাদের কে এখন থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার চেষ্টা করতে হবে।

আমাদের দেশের কৃষক এবং ফসল দুটোই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।এ দুটি সম্পদ টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের সকল কে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আমাদের দেশের কৃষি আরো বেশি সমৃদ্ধশালী হবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.